মানিকগঞ্জের ঘিওরে বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক কলেজছাত্রীর শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। আগুনে ওই কলেজছাত্রীর শরীরের ৪০ শতাংশ পুড়ে গেছে।
সোমবার রাতে উপজেলার বালিয়াখোড়া ইউনিয়নের দ্বিমূখা গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। অভিযুক্ত বখাটে মো. শরিফ মিয়ার (৪০) দুই সন্তানের জনক।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে বখাটের ভয়ে গ্রাম ছাড়া ভাই বোন
ভুক্তভোগীর মা বলেন, এক বছর পূর্বে পারিবারিকভাবে মেয়েটিকে মোবাইল ফোনে শিবালয় উপজেলার ফেচুয়াধারা গ্রামের সাউথ আফ্রিকা প্রবাসী সোহেল রানার সাথে বিয়ে হয়। মেয়েটির বিয়ের পর ছেলেটির অনৈতিক কাজ প্রত্যাখ্যান করলে শরিফ তাকে নানাভাবে উত্যক্ত করতে থাকে। স্বামী প্রবাসে থাকায় কাজল তার বাবার বাড়ি থেকে পড়াশোনা চালিয়ে আসছিলেন। সোমবার রাতে বাড়ির সবাই ঘুমিয়ে থাকায় কৌশলে ডেকে নিয়ে যায় বাড়ির পাশে কাঠ বাগানে। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে বখাটে শরিফ কলেজছাত্রীর শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। মেয়েটি কাঠ বাগানের পাশেই পানি থাকায় আগুন নিয়ে পানিতে ঝাঁপ দেয়। আশে পাশের লোকজন তার চিৎকার শুনে এসে মুমূর্ষু অবস্থায় মেয়েটিকে উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: পিরোজপুরে বখাটের উৎপাতে স্কুলছাত্রীর ‘আত্মহত্যা'
কাজলকে গুরুতর অবস্থায় প্রথমে স্থানীয় মুন্নু মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, পরে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর তাঁকে রাজধানী ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে রেফার্ড করেন। তার অবস্থা সংকটজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭ টায় কাজল আক্তারের মা রেনু বেগম ঘিওর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় বখাটেদের ছুরিকাঘাতে দোকানি নিহত
ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি ) মো. রিয়াজউদ্দিন আহমেদ বিপ্লব বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করেছি। মেয়ের মা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ঢাকার হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।