করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে যশোরের বেনাপোল ও শার্শা উপজেলা ৭ দিনের জন্য কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
২২ জুন জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বুধবার (২৩ জুন) থেকে মঙ্গলবার (২৯ জুন) পর্যন্ত বেনাপোল ও শার্শা উপজেলায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগে ১৭ জুন থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত এক সপ্তাহ লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছিল।
আরও পড়ুনঃ নাটোরের ৮ পৌরসভায় ২৯ জুন পর্যন্ত সর্বাত্মক লকডাউন
বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ সকাল থেকে দোকানপাট, রাস্তাঘাট ও সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। এসময় বিনা প্রয়োজনে কাউকে বাড়ির বাইরে বের হতে নিষেধ করা হয়।
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন খান জানান, এবারের লকডাউনে কাঁচাবাজার, মুদি দোকান সকাল ৬ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। আন্তজেলা বাস ট্রেন, সকল প্রকার গণপরিবহন, সিএনজি, রিক্সা, ভ্যান, অটোরিকশা, মোটর সাইকেল, থ্রিহুইলার, হিউম্যান হলার চলাচল বন্ধ থাকবে। এছাড়া সকল প্রকার গণজমায়েত, সভা সমাবেশ, মিছিল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ওষুধের দোকান, আইন শৃখংলা বাহিনী ও তাদের বহনকারী গাড়ি, সংবাদকর্মীদের গাড়ি লক ডাউনের আওতামুক্ত থাকবে। তাছাড়া বিনা কারণে কেউ যাতে বাড়ির বাইরে বা বাজার ঘাটে ঘোরাফেরা করতে না পারে সে জন্য উপজেলার ১১ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভার রাস্তায় রাস্তায় সচেতনমূলক মাইকিং করা হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ লকডাউন: খুলনায় কঠোর বিধিনিষেধ চলছে
সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মাঠে কাজ করছেন, উপজেলা প্রশাসনসহ পুলিশ আনসার ও বিজিবি।
তবে সরকারের রাজস্ব আদায়ের স্বার্থে বেনাপোল বন্দরে অমদানি রপ্তানি বাণিজ্য সচল রাখা হয়েছে। আমদানি রপ্তানি সংক্রান্ত কাজে যারা নিয়োজিত তারা কাস্টমস ও বন্দরে কাজ করতে পারবেন।
আরও পড়ুনঃ মঙ্গলবার থেকে ৭ জেলায় ‘লকডাউন’
শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ ইউছুফ আলী জানান, গত ২৪ ঘন্টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয় এর মধ্যে ২৯ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তারা সবাই হোম কোয়ারেন্টাইনে ভালো আছে।