গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে উল্টো করে বেঁধে ছকিনা বেগম নামে এক নারীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগে নারীসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন- উপজেলার রাখালবুরুজ পচাঁরিয়া দক্ষিণপাড়া গ্রামের শাহজাহান আলী, একই গ্রামের চামেলী বেগম ও আব্দুল ছাত্তার এবং ছকিনা বেগমের প্রাক্তন স্বামী মোনারুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: ইবিতে শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনায় তিন ছাত্রলীগকর্মীর সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি
ভুক্তভোগী ছকিনা বেগম জানান, ওই গ্রামের শাহজাহান আলী, চামেলী বেগম, আব্দুল ছাত্তার, হারুন মিয়া, আইনুল ইসলাম ও দেলবর রহমানসহ ছয়জন মিথ্যা অপবাদ দিয়ে তাকে ঘর থেকে টেনে-হিঁচড়ে বের করে বাড়ির পাশে বৈদ্যুতিক খুটির সঙ্গে উল্টো করে দুই হাত রশি দিয়ে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করেন এবং মাথার চুল কেটে দেন।
পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থল থেকে নির্যাতিত ছকিনাকে উদ্ধার করা হয়েছে। পরে তাকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন। পরে এ ঘটনায় মামলা করেন ছকিনা বেগম।
গ্রেপ্তার হওয়া চামেলী বেগম বলেন, ছকিনা সম্পর্কে আমার জা হয়। সে ঘরের ভেতরে প্রাক্তন স্বামীকে নিয়ে ঘুমাচ্ছিল। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে নির্যাতন করে এবং মাথার চুল কেটে দেয়।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল আলম শাহ্ বলেন, এ ঘটনায় অভিযুক্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে এবং বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: প্রেমিক যুগলকে নির্যাতন: ইউপি চেয়ারম্যান সাময়িক বরখাস্ত
কুমিল্লায় ৩ শিশুকে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ এনে ইউপি মেম্বারের বিরুদ্ধে মামলা