গ্রেপ্তার ৪
বগুড়ার জোড়া খুন: শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মিঠুসহ গ্রেপ্তার ৪
বগুড়ায় শরীফ ও রুমন হত্যার ঘটনায় মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ কবির আহমেদ মিঠুসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারা হলেন, শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ কবির আহমেদ মিঠু, নিশিন্দারা খাঁপাড়া এলাকার শেখ সৌরভ, নিশিন্দারা পূর্বপাড়া এলাকার নাঈম হোসেন ও সুলতানগঞ্জ পাড়ার আজবিন রিফাত।
আরও পড়ুন: জমি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুন
এর আগে এ ঘটনায় ১৩ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন নিহত শরীফের মা হেনা বেগম।
এ ঘটনায় নিহতরা হলেন, ওই এলাকার দুদু শেখের ছেলে নোমান আহম্মেদ ওরফে শরিফ ও রফিকুল ইসলামের ছেলে রুমন আহম্মেদ।
এ ঘটনায় হোসাইন ওরফে বুলেট নামে আরেক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ আহত যুবক একই এলাকার বাদল সরকারের ছেলে।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইয়ান ওলিউল্লাহ বলেন, শরীফ-রুমন হত্যার ঘটনায় ১৩ জনের নাম ও অজ্ঞাতনামা ১৪-১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তারদের আদালতে সোপর্দ করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে বলেও জানান বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আখতার বলেন, মঙ্গলবার সকালে ঘটনাস্থল থেকে দুই রাউন্ড গুলির খোসা পাওয়া গেছে।
এর আগে মঙ্গলবার ভোরে বগুড়ার নিশিন্দারা চাকর পাড়া এলাকায় শরীফ ও রুমনকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
আরও পড়ুন: ঈদের রাতে বগুড়ায় জোড়া খুন
সিলেটের গোয়াইনঘাটে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন
৬ মাস আগে
বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নারীকে নির্যাতন, গ্রেপ্তার ৪
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে উল্টো করে বেঁধে ছকিনা বেগম নামে এক নারীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগে নারীসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন- উপজেলার রাখালবুরুজ পচাঁরিয়া দক্ষিণপাড়া গ্রামের শাহজাহান আলী, একই গ্রামের চামেলী বেগম ও আব্দুল ছাত্তার এবং ছকিনা বেগমের প্রাক্তন স্বামী মোনারুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: ইবিতে শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনায় তিন ছাত্রলীগকর্মীর সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি
ভুক্তভোগী ছকিনা বেগম জানান, ওই গ্রামের শাহজাহান আলী, চামেলী বেগম, আব্দুল ছাত্তার, হারুন মিয়া, আইনুল ইসলাম ও দেলবর রহমানসহ ছয়জন মিথ্যা অপবাদ দিয়ে তাকে ঘর থেকে টেনে-হিঁচড়ে বের করে বাড়ির পাশে বৈদ্যুতিক খুটির সঙ্গে উল্টো করে দুই হাত রশি দিয়ে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করেন এবং মাথার চুল কেটে দেন।
পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থল থেকে নির্যাতিত ছকিনাকে উদ্ধার করা হয়েছে। পরে তাকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন। পরে এ ঘটনায় মামলা করেন ছকিনা বেগম।
গ্রেপ্তার হওয়া চামেলী বেগম বলেন, ছকিনা সম্পর্কে আমার জা হয়। সে ঘরের ভেতরে প্রাক্তন স্বামীকে নিয়ে ঘুমাচ্ছিল। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে নির্যাতন করে এবং মাথার চুল কেটে দেয়।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল আলম শাহ্ বলেন, এ ঘটনায় অভিযুক্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে এবং বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: প্রেমিক যুগলকে নির্যাতন: ইউপি চেয়ারম্যান সাময়িক বরখাস্ত
কুমিল্লায় ৩ শিশুকে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ এনে ইউপি মেম্বারের বিরুদ্ধে মামলা
৭ মাস আগে
যুবলীগ নেতার কাছে চাঁদা দাবি, গ্রেপ্তার ৪
নাটোরে যুবলীগের এক নেতার কাছে চাঁদা দাবি করার অভিযোগে চার ভুয়া সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রবিবার (১৭ মার্চ) সকালে সদর থানা থেকে তাদের আদালত পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
গ্রেপ্তার চার ভুয়া সাংবাদিক হলেন, নূর জামান ইসলাম, সুরুজ আরিয়ান সোহান, সাঈদ ও পাপিয়া খাতুন ঐশি। তারা সবাই রাজশাহী থেকে এসেছেন।
আরও পড়ুন: দেবহাটায় মাদরাসা ছাত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগে স্বামী গ্রেপ্তার
পুলিশ জানায়, নাটোর শহরের চকবৈদ্যনাথ এলাকার যুবলীগ নেতা রাশেদুল ইসলাম কোয়েলের কাছে যান চার ভুয়া সাংবাদিক। পরে তারা কোয়েলের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আছে উল্লেখ করে সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন।
সন্দেহ হলে ওই চারজনকে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেন যুবলীগ নেতা কোয়েল। পরে কোয়েলের সহযোগী মোস্তাক সরদার বাদী হয়ে চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
আদালত পুলিশের পরিদর্শক মোস্তফা কামাল জানান, সোমবার তাদের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শানু আকন্দের আদালতে হাজির করা হবে।
আরও পড়ুন: রাণীনগরে প্রতিবন্ধী স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে চা ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার
চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে যৌন নিপিড়নের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেপ্তার
৯ মাস আগে
হবিগঞ্জে নারীকে বেত্রাঘাত ও পাথর মারার অভিযোগ, গ্রেপ্তার ৪
হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের বড়জুম গ্রামে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ তুলে এক নারীকে বেত্রাঘাত ও পাথর মারার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৭ এপ্রিল) এ ঘটনায় জড়িতের অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন- উপজেলার আলীনগর গ্রামের হাফেজ মো. নুরুল ইসলাম (৩০), বড়জুম গ্রামের বায়েজিদ হোসেন (৭০), আকবর আলী (৬৯) ও আতিক উল্লাহ (৫০)।
ভুক্তভোগী ও গ্রেপ্তারেরা একই গ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ের ১৪ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
পুলিশ জানায়, বড়জুম গ্রামে এক প্রবাসীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ তুলে সালিশের আয়োজন করা হয়। সালিশের সিদ্ধান্ত মতে গত মঙ্গলবার রাতে বড়জুম গ্রামের মো. বাচ্চু মিয়ার বাড়ির উঠানে ভুক্তভোগীকে ৮২টি বেত্রাঘাত ও ৮০টি পাথর নিক্ষেপ মারা হয়। এছাড়া ভুক্তভোগীএকমাস বাড়ি থেকে বের হতে পারবে না বলে সিদ্ধান্ত হয়।
স্থানীয় আকবর আলী (৬৮) ভুক্তভোগীকে ৮২টি বেত্রাঘাত করেন এবং উপস্থিত অন্যন্যরা তার গায়ে পাথর মারেন।
পরে ভুক্তভোগী চুনারুঘাট থানায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করে।
চুনারুঘাট থানার পরিদর্শক রাশেদুল হক জানান, প্রাথমিক তদন্তে ভুক্তভোগীকে বেত্রাঘাত ও পাথর নিক্ষেপের সত্যতা পাওয়া গেছে। শুক্রবার মামলা করা হলে ওইদিনই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের নিদের্শে কারাগারে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: আদালত থেকে ছিনিয়ে নেওয়া জঙ্গি সোহেলের স্ত্রী গ্রেপ্তার
রাজধানীতে ইডব্লিউইউ শিক্ষার্থীর ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ২
১ বছর আগে
কুষ্টিয়ায় আ.লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে পাল্টাপাল্টি মামলা, গ্রেপ্তার ৪
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে নারিকেল গাছের ডাব খাওয়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও দলীয় কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (২৭ মার্চ) সকালে দুই পক্ষ হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা করেছেন।
এ ঘটনায় দুইটি মামলায় ৪৪ জনকে আসামি করা হয়। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাত আসামি রয়েছে আরও ২০ থেকে ৩০ জন।
অপরদিকে মামলায় গত রবিবার আটক উভয়পক্ষের চারজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে সোমবার দুপুরে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারো হলেন- উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের উত্তর চাদপুর গ্রামের মো. সজল (২০), মো. ওবাইদুল বিশ্বাস (৩৫), মো. বিপ্লব (২৮) ও মো. আলামিন ওরফে আমিন (৩০)।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে যদুবয়রা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. তৌহিদুল ইসলামের সঙ্গে ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সবুজ আলী ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি আকাশ রেজার সঙ্গে বিরোধ চলে আসছে। আগামী ৯ এপ্রিল উত্তর চাঁদপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
আরও পড়ুন:ফটিকছড়িতে ছুরিকাঘাতে প্রবাসী খুন, গ্রেপ্তার ২
ইতোমধ্যে উভয়পক্ষের ১৩ জন সমর্থক নির্বাচনের মনোয়ানপত্র জমাও দিয়েছেন।
গত শনিবার দুপুরে ওই এলাকার মোল্লাপাড়ার নির্মাণাধীন সড়কের একটি নারিকেল গাছের ডাব খাওয়াকে কেন্দ্র করে দু'পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সন্ধ্যায় উত্তর চাঁদপুর বাজারে যুবলীগ নেতা সবুজ ও ছাত্রলীগ নেতা আকাশ রেজার কার্যালয়ে হামলা চালায় প্রতিপক্ষরা।
এসব ঘটনার জেরে গত রবিবার উভয়পক্ষের মধ্যে ফের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এসময় উভয়পক্ষের চারজনকে আটক করে পুলিশ।
আরও জানা গেছে, সোমবার সকালে আওয়ামী লীগ নেতা তৌহিদুল ইসলামের চাচা আইয়ুব আলী বাদী হয়ে হামলা ও ভাঙচুর মামলা করেন। মামলায় ২৩ জনকে আসামি করেন তিনি।
এমামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ১০/১৫ জনকে।
এরপর একই সময়ে ছাত্রলীগ নেতা আকাশ রেজা বাদী হয়ে তার আওয়ামী লীগ কার্যালয় ভাঙচুর ও সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগে থানায় মামলা করেন।
এ মামলায় ২১ জনকে আসামি করেন তিনি। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ১০/১২ জনকে।
ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে গ্রেপ্তার চারজনকে সোমবার দুপুরে আদালতে পাঠায় পুলিশ।
এবিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা আকাশ রেজা বলেন, ‘তুচ্ছ ঘটনায় প্রতিপক্ষরা তার কার্যালয়ে ভাঙচুর করেছে, বঙ্গবন্ধুর ছবি ছিঁড়ে ফেলেছেন এবং সমর্থকদের আহত করেছে। তিনি সুষ্ঠু বিচারের আশায় থানায় মামলা করেছেন। তিনি আর মারামারি চান না।’
আওয়ামী লীগ নেতা তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘তার ভাই বাদি হয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ তুলে মামলা করেছেন।’
তিনিও আর মারামারি চান না, গ্রামে শান্তিতে বসবাস করার আশা ব্যক্ত করেন তিনি।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহসীন হোসাইন বলেন, আওয়ামী লীগের দুই পক্ষ পাল্টাপাল্টি মামলা করেছেন। মামলায় পূর্বে আটককৃত চারজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: খুলনা আ. লীগ নেতা হত্যা: ৩১ জনের নামে মামলা, গ্রেপ্তার ৩
চট্টগ্রামে ২৪টি চোরাই মোটরসাইকেল জব্দ, গ্রেপ্তার ৪
১ বছর আগে
পুলিশ পরিচয়ে পথরোধ করে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৪
খুলনা মহানগরীতে পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করলে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।
বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে নগরীর আড়ংঘাটা থানার বাইপাস সড়কের একটি বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলো-নগরীর আড়ংঘাটা মোড়লপাড়ার মো. খোরশেদ মোড়লের ছেলে বেল্লাল মোড়ল (৪৬), দেয়ানা মধ্যপাড়ার মৃত ফরুক আলম চৌধুরীর ছেলে মো. আজিজুর রহমান ওরফে মিঠু চৌধুরী (৪০), দিঘলিয়া ব্রহ্মগাতী গ্রামের রেজা মুন্সির ছেলে মো. জিহাদ মুন্সি (২৪) ও আড়ংঘাটা দক্ষিণপাড়ার মো. আব্দুস সাত্তার শেখের ছেলে মো. রাসেল শেখ (২২)।
র্যাব-৬ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোসতাক আহমেদ জানান, নগরীর আড়ংঘাটা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: এমসি কলেজে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: মামলা দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে বদলির নির্দেশ
র্যাব-৬ এর এ কর্মকর্তা জানান, আড়ংঘাটা এলাকায় ভুক্তভোগী স্বামী-স্ত্রী ঘুরতে বের হন। ঘোরাফেরা শেষে রাত সাড়ে ৮টার দিকে আড়ংঘাটা বাজারে যাওয়ার পথে চার ব্যক্তি নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাদের গতিরোধ করে। পরে তারা ভয়ভীতি দিয়ে ভুক্তভোগীর স্বামীকে একটি স্থানে আটকে রাখে। পরে ভুক্তভোগী ওই নারীকে চার ব্যক্তি পর্যায়ক্রমে ধর্ষণ করে। এ সময় আসামিরা মোবাইলে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে। ধর্ষণের ঘটনাটি কোথাও জানালে ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয়। পরে গভীর রাতে ভুক্তভোগীকে ছেড়ে দেয়। ভুক্তভোগী ওই নারী বিষয়টি তার স্বামীকে জানায়। পরে ভুক্তভোগীকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী আড়ংঘাটা থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
তিনি আরও জানান, এই ঘটনা জানতে পেরে অভিযানে নামে র্যাব। তথ্য প্রযুক্তি ও সার্বিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে আসামিদের শনাক্ত করা হয়। পরে তাদের গ্রেফতার করা হয়। আসামিদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
মোবাইলে ধর্ষণের ভিডিও পাওয়া যায়। জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ১৩ ডিসেম্বর বিকেল ৫টায় ভিকটিম তার স্বামী জীবন শেখকে নিয়ে ঘোরার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়। সন্ধ্যা ৭টার দিকে তারা দৌলতপুর থেকে একটি ইজিবাইকযোগে আড়ংঘাটা বাইপাস মোড়ে এসে নামে। বাইপাস মোড়ে কিছু সময় ঘোরা ফেরার পর পায়ে হেঁটে তারা আড়ংঘাটা বাজারের দিকে আসার পথে মোড়ল পাড়াস্থ নূরানী জামে মসজিদের নিকট আসলে উল্লেখিত আসামিরা নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাদের পথরোধ করে। ভিকটিমের স্বামীকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায় এবং ভিকটিমকে অভিযুক্ত বেল্লাল মোড়লের বাড়ির একতলা ছাদে নিয়ে রাত সাড়ে ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
এ সময় ৪নং আসামি মো. রাসেল শেখ মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে। বিষয়টি জানাজানি করলে ধারণ করা ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়।
ভিকটিমের স্বামী জানায়, পুলিশ পরিচয় দিয়ে আমাদেরকে তল্লাশির নাম করে একটি স্থানে নিয়ে যায়। পরে আমাকে চোখ বেঁধে একটি স্থানে আটকে রাখে। আমার স্ত্রী দুই ঘন্টা পর অজ্ঞাত স্থান থেকে আমাকে ফোন দিয়ে কান্নারত অবস্থায় ঘটনার বিবরণ দেয়।
তিনি ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদেরকে বৃহস্পতিবার আদালতে পাঠানো হয়। পরে শুনানি শেষে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত।
আরও পড়ুন: লোহাগাড়ায় মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার
যশোরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার
২ বছর আগে