পৌর শহরের রেল স্টেশন, চৌরাস্তা, মহিলা কলেজ মোড়, বিলাসী শপিংমল, তালতলা, ডাকবাংলো মোড়ের ফুটপাতের পিঠার দোকানে সন্ধ্যা নামলেই ভিড় লক্ষ্য করা যায়।
প্রতি বছর শীত মৌসুম এলেই পৌরসভার বিভিন্ন স্থানের সড়কের পাশে ফুটপাতে পিঠা তৈরির ব্যস্ততা চোখে পড়ে। শহরের ব্যস্ততার মাঝে পৌর নারীদের আর এখন গ্রামের নারীদের মতো পিঠা তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটানোর অবকাশ নেই। তাই বোয়ালমারী বাজারের বিভিন্ন রাস্তার পাশে পিঠা বানিয়ে বিক্রি করছেন নিম্ন আয়ের মানুষ, বিশেষ করে নারীরা।
আরও পড়ুন: এতিম শিশুদের পিঠা উৎসব
পিঠা বিক্রি করে তারা সংসারও চালাচ্ছেন। অসচ্ছলতার কারণে কেউ পিঠা বিক্রি করে পরিবারের সদস্যদের অর্থ যোগান দিচ্ছেন, কেউ কিনছেন জীবন রক্ষাকারী ওষুধ।
পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের নান্নু কমিশনারের বাড়ির সামনের ফাঁকা জায়গায় বসে চিতই পিঠা বিক্রি করছেন ছোলনা গ্রামের ফরহাদ মোল্যা।
তিনি জানান, প্রতিদিন পিঠা বিক্রি করে ৫০০ টাকার মতো আয় হয়। তা দিয়ে সংসারের যাবতীয় ব্যয় নির্বাহ করেন। শীত মৌসুম শেষ হলে ফরহাদ মোল্যা তার পেশায়ও পরিবর্তন আনেন।
আরও পড়ুন: করোনা প্রতিরোধে ‘আইডিয়া’র ‘ইমিউনিটি পিঠা’
কুমিল্লায় বসন্ত উৎসব ও পিঠাপুলির মেলা
ধনী, মধ্যবিত্ত, দরিদ্র-সব শ্রেণির লোকেরাই এসব পিঠার ক্রেতা। পিঠার মধ্যে ভাপা পিঠা ও চিতই পিঠার কদর বেশি। চিতই ৫ টাকা এবং ভাপা পিঠা ১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বিক্রেতারা জানান, ভাপা পিঠা তৈরির উপকরণ হচ্ছে চালের গুঁড়া, নারকেল, খেজুরের গুড়। গোল আকারে পাতিলে কাপড় পেচিয়ে ঢাকনা দিয়ে হাঁড়ির ফুটন্ত পানিতে ভাপ দিয়ে তৈরি হয় ভাপা পিঠা।
অন্যদিকে চালের গুঁড়া পানিতে মিশিয়ে মাটির হাঁড়িতে বিশেষ উপায়ে তৈরি করা হয় চিতই পিঠা। এই পিঠা বিক্রি চলবে শীত মৌসুম পর্যন্ত।
বোয়ালমারী পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ চরপাড়ার ফুটপাতে বসা পিঠা বিক্রেতা সুফিয়া বেগম জানান, শীত মৌসুম এলে সন্ধ্যায় পিঠা বিক্রি করেন। প্রতিদিন প্রায় ২০০ টাকার পিঠা বিক্রি হয় তার দোকানে।