এ ঘটনায় অভিযুক্ত শাহাদাত হোসেনকে (৩৬) বুধবার দুপুরে গ্রামবাসী আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশ সোপর্দ করেছে।
আটক শাহাদাত জেলার বিজয়নগর উপজেলার সেজামুড়া গ্রামের লুৎফুর রহমানের ছেলে।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, মঙ্গলবার শাহাদাত ওই স্কুলছাত্রীর ঘরে প্রবেশ করে জোরপূর্বকভাবে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এসময় ওই ছাত্রী চিৎকার করলে স্থানীয় লোকজন এসে প্রথমে তাকে আটক করে। পরে গণধোলাই দিয়ে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। এ ঘটনায় স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ অভিযোগটি এজাহারভুক্ত করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, শাহাদাত ২০১৮ সাল থেকে তার বোনের সাথে মিনারকোট গ্রামে বসবাস করে আসছে। শাহাদাতের বোন ও ছাত্রীর মা সম্পর্কে জা হয়। জায়ের বসতঘর মেরামত করার কারণে তাদের একটি ঘরে থাকার জন্য আশ্রয় দেয়া হয়। তখন থেকেই শাহাদাত তার মেয়েকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছে। ২০১৯ সালে ১ এপ্রিল শাহাদাত সুযোগ বুঝে তাদের পরিবারের সবাইকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে প্রথমে অচেতন করে। পরে তার মেয়েকে জোরপূর্বকভাবে ধর্ষণ করে। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে ভয়-ভীতি দেখিয়ে একাধিকবার তার মেয়েকে ধর্ষণ করে। লোকলজ্জা ও মান সম্মানের ভয়ে কাউকে এ ঘটনার কথা গোপন রাখে ওই ছাত্রী। পরবর্তীতে মারাত্মকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে বিষয়টি ছাত্রী তার মাকে জানায়।
এদিকে মঙ্গলবার পুনরায় ঘরে প্রবেশ করে ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। তার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে ওই শাহাদাতকে আটক করে। একপর্যায়ে গণধোলাই দিয়ে থানায় সোপর্দ করে।
আখাউড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাসুদুল আলম মাসুদ জানান, এ ঘটনায় স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছে। অভিযুক্তকে আটক করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।