চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানার আগ্রাবাদ এলাকায় নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর ছবি সুপার কম্পোজের মাধ্যমে অশ্লিল ছবির সঙ্গে জোড়া দিয়ে তা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া মো. জাহাঙ্গীর আলম (২২) কুমিল্লার চান্দিনা থানার মহনপুর গ্রামের মো. ওয়াহিদের ছেলে।
আরও পড়ুনঃ মরিশাসে কাজে গিয়ে ধর্ষণের শিকার, ন্যায়বিচার চান নারী
সিএমপির ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে জানান, ভুক্তভোগী ১৪ বছরের শিশু। স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। জাহাঙ্গীর প্রায়ই তাকে বিরক্ত করত।একদিন বাসায় কেউ না থাকার সুযোগে জাহাঙ্গীর মেয়েটি বাসায় যায়। এ সময় ভুক্তভোগী চিৎকারের চেষ্টা করলে জাহাঙ্গীর তাকে কিছু নগ্ন ছবি দেখায়। মূলত ভুক্তভোগীর ছবি এডিট করে জাহাঙ্গীরই এই ছবি বানায়। এসব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ১৪ বছরের সেই শিশুকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনার পর ভুক্তভোগী তার মোবাইল বন্ধ করে দেয়। কিন্তু লোকলজ্জার ভয়ে এই ঘটনা কাউকেই বলেনি। তার কিছুদিন পর জাহাঙ্গীর আরও দুইবার ভুক্তভোগীর বাসায় গেলে সে তার চোখে মরিচের গুড়া ছিটিয়ে নিজেকে আত্মরক্ষা করে। মরিচের গুড়ার ভয়ে কাছে ঘেষতে না পারায় জাহাঙ্গীর অন্যভাবে শিশুটিকে ঘায়েল করার চেষ্টা করে। শেষে মঙ্গলবার ৯৯৯ এ ফোন করে অভিযোগ জানালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুনঃ পান দিতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার প্রতিবন্ধী তরুণী
ভিকটিমের মা বাদি হয়ে জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন।