জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) মৃতের শরীর থেকে সংগ্রহ করা নমুনা পরীক্ষা করে এ তথ্য জানিয়েছে।
মঙ্গলবার কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান বলেন, আইইডিসিআর থেকে মৃত ব্যক্তি ছাড়াও তার স্ত্রী, পুত্রবধূ ও ভাইয়ের স্ত্রীর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। এ তিনজনেরও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার না-বাচক প্রতিবেদন পাওয়া গেছে।
ডা. মুজিবুর জানান, ইতালিফেরত ব্যক্তিকে চিকিৎসা দেয়া চিকিৎসকদের ভাষ্য অনুযায়ী তার মৃত্যু হৃদরোগজনিত কারণে হতে পারে।
এদিকে, করোনা সন্দেহে মৃত রোগীর সংস্পর্শে আসার কারণে ভৈরব শহরের লক্ষ্মীপুর এলাকার আবেদীন হাসপাতাল ও কমলপুর এলাকার সাঈদ ইউসুফ মেমোরিয়াল হাসপাতালকে সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার নোটিশ দেয়া হয়েছিল। এখন আইইডিসিআরের প্রতিবেদনের পর তাদের পুনরায় স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বুলবুল আহমেদ জানিয়েছেন।
ইতালিফেরত আবদুল খালেক জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। রবিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কমলপুর এলাকার ডক্টরস চেম্বার নামে পরিচিত বেসরকারি সাঈদ ইউসুফ মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এর আগে তাকে আবেদীন হাসপাতালে নেয়া হলে সরকারি আইসোলেশন সেন্টারে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল।
সোমবার সকালে ঢাকা থেকে আইইডিসিআরের লোকজন ভৈরবে এসে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে মারা যাওয়া আবদুল খালেকের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে। সেই সাথে তার পরিবারের তিন সদস্যের নমুনাও তখন সংগ্রহ করা হয়।
আবদুল খালেকের বাড়ি ভৈরব পৌর শহরের জগন্নাথপুর এলাকায়। তিনি গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ইতালি থেকে দেশে ফিরেছিলেন।