নিহত নয়ন হোসেন মোল্যা (৫৫) যশোর সদরের হৈবতপুর এলাকার বাসিন্দা।
শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে যশোর–মাগুরা মহাসড়কের হুদারাজাপুর এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন হবে ১১১ দফা সুপারিশ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্থানীয়দের বরাতে যশোর কোতয়ালী থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান জানান, নয়ন মোল্যা ও তার ছেলে জাফর একটি মোটরসাইকেলে খাজুরা এলাকা থেকে যশোরের দিকে আসছিলেন। ওই সময় যশোর–মাগুরা মহাসড়কের হুদারাজাপুর এলাকায় পৌঁছলে পেছন দিক থেকে একটি কাভার্ডভ্যান তাদের মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে দুর্ঘটনাস্থলেই নয়ন মোল্যা নিহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।
ওসি জানান, কাভার্ডভ্যানের চালককে এখনও আটক করতে পারেনি পুলশ।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় চিকিৎসকসহ নিহত ২
যশোর জেনারেল হাসপাতালের ডাক্তার দেলোয়ার হোসেন খান বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই নয়ন হোসেন মোল্যা মারা যান। তার ছেলের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করা হয়েছে।
এদিকে, গত নভেম্বর মাসে দেশের সড়ক ও মহাসড়কে দুর্ঘটনা ও হতাহতের সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে বলে সম্প্রতি জানিয়েছে নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করা রোড সেফটি ফাউন্ডেশন নামে এক সংস্থা।
তাদের প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়, নভেম্বর মাসে ৪১৭ দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে। এতে ৪৩৯ জন নিহত এবং ৬৮২ জন আহত হয়েছেন। একই সময়ে চারটি নৌ-দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত ও আটজন আহত এবং ২৯টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ৩২ জন নিহত ও সাতজন আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মাদরাসা শিক্ষক নিহত
ওই প্রতিবেদনে দেশে সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ হিসেবে ১০ বিষয়ের কথা উল্লেখ করেছে সংস্থাটি। এগুলো হলো- ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, বেপরোয়া গতি, চালকদের বেপরোয়া মানসিকতা, অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা, নির্দিষ্ট বেতন ও কর্মঘণ্টা না থাকা, মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল, তরুণ ও যুবদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো, জনসাধারণের মধ্যে ট্রাফিক আইন না জানা ও না মানার প্রবণতা, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, বিআরটিএ’র সক্ষমতার ঘাটতি এবং গণপরিবহণ খাতে চাঁদাবাজি।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ৪