আহতরা হলেন- রাজাপুর গ্রামের আনিসুর রহমানের ছেলে আইনজীবী রাসেল পারভেজ (৩০), রেজাউল মোড়লের ছেলে মহিউজ্জামান লিটন (৪৯) ও খুরশিদ আলমের ছেলে শাহজাহান (৪০)। তাদের যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতদের অভিযোগ, পানিসারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নওশের আলীর আদেশে পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালানো হয়েছে।
আইনজীবী রাসেল পারভেজ বলেন, বটতলা বাজার থেকে বাড়ি ফেরার সময় চেয়ারম্যান নওশের আলীর বাড়ির কাছে পৌঁছালে তার ছেলে লাবু, ভাই মন্টু, ভাইপো তুষার, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সেলিম হোসেনসহ আরও কয়েকজন আমার ওপর হামলা চালিয়ে কুপিয়ে জখম করে। পরে আমার চিৎকারে পাশের বাড়ির লিটন ও শাহজাহান এগিয়ে আসলে তারা তাদেরকেও কুপিয়ে জখম করে। পরে লিটনের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করাসহ ব্যাপক তান্ডব চালায় তারা।
রাসেল পারভেজ আরও বরেন, ‘গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী বাবর জান বারুর মিছিলে হামলা চালায় প্রতিপক্ষ নওশের আলীর সমর্থকেরা। ওই ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলাটি আমি দেখভাল করার কারণে ক্ষিপ্ত চেয়ারম্যান নওশের আলীর পরিকল্পনায় তার লোকজন আমাদের উপর হামলা চালিয়ে জখম ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে।’
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আব্দুর রশিদ জানান, আহতদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ভর্তি করে সার্জারি ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। তবে এখন তারা আশংকামুক্ত।
অভিযোগ প্রসঙ্গে পানিসারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নওশের আলী জানান, ‘আইনজীবী রাসেল পারভেজসহ অন্যান্যরা আগে আমার লোকজনকে মারধর করেছে। পরে আমার লোকজন তাদের ওপর হামলা করেছে।’
ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ. রাজ্জাক বলেন, হামলার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আসামিদের আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।