সোমবার গভীর রাতে উপজেলার দোগাছি গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
তারা হলেন- বাঘারপাড়া উপজেলার দোগাছি গ্রামের সৌমিত্র গোলদার, তার ভাই অমিত গোলদার, লক্ষিকান্ত গোলদার, কৃষ্ণপদ বিশ্বাস ও কৃষ্ণ বিশ্বাস।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে ইউপি সদস্য হত্যা, নারীসহ ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
মঙ্গলবার পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, রবিবার বাঘারপাড়া উপজেলার রঘুরামপুর বেজিগাড়া মাঠের খাল থেকে শিমুল বিশ্বাসের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ঘটনায় তার বাবা মুকুল বিশ্বাস হত্যার অভিযোগে দুজনকে আসামি করে বাঘারপাড়া থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর মামলাটি তদন্ত করতে ডিবি পুলিশকে নির্দেশনা দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: খুলনায় পুলিশের সোর্স হত্যায় গ্রেপ্তার ৩
সাতক্ষীরায় ইজিবাইক ‘ছিনতাই চক্রের’ ৯ সদস্য গ্রেপ্তার
তারা শিমুল বিশ্বাসের মোবাইলের কললিস্ট চেক করে তার প্রতিবেশী এজাহারনামীয় আসামি সৌমিত্র গোলদার ও অমিত গোলদারকে আটক করে। তারা হত্যার দায় স্বীকার করে। একই সাথে হত্যায় জড়িত আরও তিনজনের বিষয়ে তথ্য দেয়। এরপর পুলিশ লক্ষিকান্ত গোলদার, কৃষ্ণপদ বিশ্বাস ও কৃষ্ণ বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তাররা জানিয়েছে, শিমুলকে নিয়ে তারা রঘুরামপুর মন্দিরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখতে যায়। সেখান থেকে ফেরার পথে পূর্বের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। সৌমিত্র গোলদার এক পর্যায়ে শিমুলের গলাটিপে ধরে হত্যা করে। এ সময় অন্যরা তাকে সহায়তা করে। এরপর মরদেহ গুম করার উদ্দেশে রঘুরামপুর বেজিগাড়া মাঠের খালের মধ্যে ফেলে আসে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে কাউন্সিলর হত্যায় ঘটনায় একজন গ্রেপ্তার
গাইবান্ধায় পুলিশের গাড়িতে আগুন-হামলা: দুই মামলা দায়ের, গ্রেপ্তার ৫
মঙ্গলবার গ্রেপ্তারদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ সুপার জানিয়েছেন।