সোমবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার (এসপি) মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন জানান, মান্নাতের স্ত্রী শারমিন সুলতানা সুমির সাথে মো. শাহ আলম নামে একজনের পরকীয়া সম্পর্ক হয়। এ কারণে মান্নাত-সুমির সংসারে অশান্তি লেগে ছিল। পরে মান্নাতকে খুন করার জন্য আলম পরিকল্পনা করেন। কারবালা এলাকায় ২৩ অক্টোবর রাতে ইটের আঘাতে তাকে হত্যা করা হয়।
মামলার এক নম্বর আসামি পলাতক আলমসহ অন্যদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে বলে জানান এসপি।
মান্নাত (৪২) রাতের কোনো এক সময় খুন হন। পরদিন সকালে মরদেহ উদ্ধার ও থানায় মামলা হয়। মামলাটি করেছিলেন মান্নাতের মা আনোয়ারা বেগম।
মান্নাত হত্যায় পুলিশ এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা হলেন- সদর উপজেলার মাহিদিয়া গ্রামের মো. হাবিবুর রহমানের ছেলে মো. আল-আমিন (১৯), শহরের পুরাতন কসবা কাঁঠালতলা নান্টুর বাগানের আবু তাহেরের ছেলে মো. রিফাত (১৯), সুজলপুরের আব্দুর রশিদ শেখের ছেলে মো. রায়হান শেখ (২২) ও একই গ্রামের শফিকুল ইসলাম বাবুর ছেলে মো. নয়ন হোসেন (২০)।
তাদের কাছ থেকে একটি পাইপ, একটি ইট, একটি মোটরসাইকেল এবং মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়েছে জানিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, এগুলো হত্যার কাজে ব্যবহার করা হয়।