কোরবানির ঈদের দিন চট্টগ্রাম নগরীর যত্রতত্র জবাই করা কোরবানির পশুর চামড়া ফেলে দেয়া যাবে না। কোন মৌসুমী ব্যবসায়ী যদি অন্যান্য বারের মতো চমড়া সংরক্ষণের ব্যবস্থা না করে যত্রতত্র ফেলে দেয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)।
এই জন্য ঈদের দিন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ম্যাজিস্ট্রেটরা, পুলিশ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে তৎপর থাকবেন বলে জানা গেছে ।
আরও পড়ুনঃ কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে ঢাদসিকের ১০ কমিটি
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে জাতীয় সম্পদ কাঁচা চামড়ার সংরক্ষণ, ক্রয় ও বিক্রয়, পরিবহনসহ সার্বিক ব্যবস্থাপনা সার্বক্ষণিক তদারকির লক্ষ্যে চসিক টাইগারপাসস্থ অস্থায়ী ভবনের সম্মেলন কক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গঠিত মনিটরিং কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। উল্লেখ্য দীর্ঘদিন পর সরকার এবার চামড়া রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ করোনা সংক্রমণ এড়াতে কোরবানির সময় যা যা মেনে চলবেন
সভায় চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম বলেন, ‘সরকার দীর্ঘদিন পর এবার চামড়া রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় থেকেও বলা হয়েছে ওয়ার্ড পর্যায়ে কাউন্সিলরদের সমন্বয়ে চামড়া সংরক্ষণে প্রচার প্রচারণা চালাতে। শেষ মুহূর্তে যেহেতু সিদ্ধান্ত এসেছে এবার প্রাথমিকভাবে প্রচার প্রচারণা হিসেবে সিসিএলে বিজ্ঞাপন দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও করপোরেশনের ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেটরা তৎপর থাকবেন যাতে কোন মৌসুমী ব্যবসায়ী যেখানে সেখানে চামড়া ফেলে যেতে না পারে।‘
আরও পড়ুনঃ কোরবানির পশুর চামড়ার দাম বাড়ালো সরকার
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জানান, ‘এবার কোরবানির পশুর চামড়া সংরক্ষণ ও চামড়া ছাড়ানোর প্রক্রিয়ার বিষয় নিয়ে ২০ হাজার লিফলেট ছাপিয়েছেন। যা মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানা ও নগরবাসীর মাঝে বিলি করা হবে। কারণ চামড়া সংরক্ষণ করে মাদ্রাসা ও এমিতখানাগুলো। কাজেই যতাযথ প্রচারে জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসন তৎপর থাকলে চামড়া শিল্প এবার লাভজনক হবে বলে আশা করি।‘
উল্লেখ্য চট্টগ্রাম নগরে এইবার আট লাখ নয় হাজার পশু জবাই হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।