নিহত গৃহবধূর বাবা সদর উপজেলার নিমতলী গ্রামের মোশারেফ হোসেন বাদী হয়ে মেয়ের জামাইসহ ৪ জনকে আসামি করে সোমবার রাতে যশোর কোতয়ালি থানায় মামলা করেন।
আসামিরা হলেন- শহরের বারান্দিপাড়া কদমতলার মৃত মাসুদ আলী খানের ছেলে টগর হোসেন (৪৭), খোকন (৪৫), সাজু (৪২) ও মামুন খান বাবু (৪০)। এঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার করা হয়নি।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামি টগর হোসেনের সাথে লিনার ১৬-১৭ বছর আগে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ১৩ বছরের একটি ছেলেও রয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে আসামি খোকন, সাজু ও মামুনের কুপরামর্শে ও ইন্ধনে আসামি টগর ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে লিনাকে শারীরিক ও মানুষিকভাবে নির্যাতন করে আসছিল। লিনা বিষয়টি তার পরিবারকে জানালে বিভিন্ন সময় নগদ ৫ লাখ ও ৩ লাখ টাকা দেয়া হয়।
গত ১ জুন সন্ধ্যায় আসামি টগর গৃহবধূ লীনাকে আবারও ১০ লাখ টাকা যৌতুক এনে দিতে বলার পর অপারগতা প্রকাশ করলে আসামিরা লিনাকে মারধর করে এসময় টগর মোটরসাইকেলের লোহার তালা দিয়ে লিনার মাথার পেছনে আঘাত করে এবং গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। লিনার গোংরানিতে প্রতিবেশিরা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রথমে খুলনার গাজী মেডিকেল হাসাপাতালে পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক লিনাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শরীফুল ইসলাম বলেন, মামলা আমি হাতে পেয়েছি। আসামি ধরার জন্য শিগগিরই অভিযান চালাবো।