চট্টগ্রামের রাউজানে ট্রাকের সাথে সিএনজি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে চার জন নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের রাউজান উপজেলার গশ্চি নয়াহাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন মো. মোরশেদ (৪০), মো. কামরুল (৩৭), মো. ইদ্রিস (৪০), মো. সিরাজ (৫৫)।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ট্রাক-সিএনজি সংঘর্ষে নিহত ৩
স্থানীয় পাহাড়তলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রোকন উদ্দিন বলেন, রাঙ্গুনিয়ামুখী একটি সিএনজিচালিত যাত্রীবাহী অটোরিকশার সাথে শহরমুখী বালুবাহী ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলে চারজন নিহত হন। রাউজান থানা পুলিশ ও রাঙ্গুনিয়া ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার কাজ চালান।
নোয়াপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক হুমায়ুন কবির বলেন, ‘রাতে নয়াহাট এলাকায় ট্রাকের সাথে সিএনজি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই অটোরিকশার চার যাত্রীর মৃত্যু হয়। মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
সারা দেশের পরিস্থিতি
জানুয়ারিতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪৮৪: আরএসএফ
চলতি বছরের জানুয়ারিতে সারা দেশে ৪২৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ৪৮৪ জন নিহত এবং ৬৭৩ জন আহত হয়েছেন।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের (আরএসএফ) তথ্যমতে, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় সড়ক দুর্ঘটনা ২৫.৫৮ শতাংশ এবং হতাহতের সংখ্যা ৮.৭৬ শতাংশ বেড়েছে।
সম্প্রতি আরএসএফ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত বছরের জানুয়ারিতে ৩৪০টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৪৫ জন নিহত হন।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে সারা দেশে ১৫৯টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৬৮ জন মারা গেছেন, যা মোট নিহতের ৩৪ শতাংশ এবং মোট দুর্ঘটনার ৩৭.২৩ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ১১
যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৫৩ জন, যা মোট হতাহতের ১০ দশমিক ৯৫ শতাংশ।
চারটি নৌ দুর্ঘটনায় সাতজন নিহত, চারজন আহত এবং ছয়জন নিখোঁজ রয়েছেন। একই সময়ে ১১টি রেল দুর্ঘটনায় ১৪ জন নিহত এবং ছয়জন আহত হয়েছেন।
১৫৩টি দুর্ঘটনা (৩৫.৮৩ শতাংশ) মহাসড়কে, ১০৭টি দুর্ঘটনা (২৫.০৫ শতাংশ) আঞ্চলিক সড়কে এবং ১১টি দুর্ঘটনায় (২.৫৭ শতাংশ) অন্যান্য সড়কে ঘটেছে।
ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে। সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা ঘটেছে সিলেট বিভাগে।
দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, বেপরোয়া গতি, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাসহ সড়ক দুর্ঘটনায় ১০টি প্রধান কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে।
আরএসএফ সাতটি জাতীয় দৈনিক, পাঁচটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।