এ ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে গৃহবধূর বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মিরাজ (২৬) নামে এক যুবককে আটক করেছে। তিনি একই গ্রামের নুর মোহাম্মদের ছেলে।
সোমবার গভীর রাতে উপজেলার চর আলগী ইউনিয়নের চর নেয়াতম গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় গৃহবধূকে উদ্ধার করে রামগতি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন স্থানীয়রা। অবস্থার অবনতি হলে তাকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: দলবেঁধে ধর্ষণ: ফাঁসির ৫ আসামি আপিলের রায়ে খালাস
সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. আনোরায়ার হোসেন জানান, রোগীর অবস্থা এখন মোটামুটি ভালোর দিকে আছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই গৃহবধূ তার বাবার বাড়িতে রাতের খাবার শেষে পরিবারের সদস্যদের সাথে ঘুমিয়ে ছিলেন। গভীর রাতে হঠাৎ একদল অজ্ঞাত লোক ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে পরিবারের সদস্যদের হাত-পা বেঁধে ফেলে। পরে পরিবারের সদস্যদের সামনেই পালাক্রমে ওই কিশোরী গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন তারা।
আরও পড়ুন: ধর্ষণ মামলায় বরিশালে যুবকের যাবজ্জীবন
শুধু ধর্ষণ করেই ক্ষান্ত হননি অপরাধীরা। তারা ধর্ষণ শেষে ভুক্তভোগীকে পিটিয়ে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ ক্ষত-বিক্ষত করে দেন। সেই সাথে পালিয়ে যাওয়ার সময় ঘরে থাকা নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যার।
পরে পরিবারের লোকজনের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে মুমূর্ষু অবস্থায় গৃহবধূকে উদ্ধার করে হাসপাতাল নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ধর্ষণের শিকার তরুণীকে বিয়ে করে জামিন পেলেন আসামি
রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলায়মান বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনায় মিরাজ নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় গৃহবধূর বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।’
তদন্ত শেষে প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।
ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড
ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে গত ১৭ নভেম্বর জাতীয় সংসদে ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) বিল-২০২০’ পাস হয়।
আরও পড়ুন: গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে বরগুনায় ভাসুর গ্রেপ্তার
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০-এর ৯ (১) ধারা অনুযায়ী ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি ছিল যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। এখন ওই ধারায় ‘যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড’ শব্দগুলোর পরিবর্তে ‘মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড’ শব্দগুলো প্রতিস্থাপিত করা হয়েছে।
এর আগে, দেশে সম্প্রতি ধর্ষণের ক্রমবর্ধমান ঘটনার বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রতিবাদের পরিপ্রেক্ষিতে সংসদের অধিবেশন না থাকায় গত ১৩ অক্টোবর ঘৃণ্য এ অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে এ সংক্রান্ত আইনের (নারী ও শিশু নির্যাতন দমন) একটি সংশোধনী প্রস্তাব অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হয়েছিল।