নিখোঁদের মধ্যে রয়েছে আসলাম (২৪) ও এমাইদুল (৩৮)। অপর শ্রমিকের নাম জানা যায়নি। নিজাম (৪০) নামে অপর এক শ্রমিক তীরে উঠতে সমর্থ সক্ষম হন।
ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস এবং ডুবুরি দল তলব করা হয়েছে। জাহাজটি শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। এদিকে এ ঘটনায় লঞ্চটির চালকসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন-অর-রশীদ জানান, শনিবার রাতে চলাচলের কারণে বালুভর্তি একটি জাহাজকে কোস্টগার্ড আটক করে গজারিয়া ঘাটের কাছে নোঙ্গর করে। রবিবার ভোর সোয়া ৫টার দিকে বরিশাল থেকে ঢাকার সদরঘাটগামী লঞ্চ এমভি কীর্তনখোলা-২ ওই জাহাজটিকে ধাক্কা দিলে ঘুমন্ত চার শ্রমিকসহ ডুবে যায়।
কোস্টগার্ডের স্টেশন অফিসার এম এম আসিফ জানান, এ ঘটনায় সকালে ঢাকার সদরঘাট থেকে লঞ্চটির চালক মো. শহিদুল ইসলাম এবং দুই মাস্টার জাহাঙ্গীর হোসেন ও ইউনুচ ব্যাপারীকে আটক করা হয়েছে।
চালক মো. শহিদুল ইসলাম জানান, কুয়াশা থাকায় খুব কাছে আসার পর জাহাজটি দেখা যায়। দ্রুত লঞ্চটি ঘুরিয়ে নেয়ার আগেই বালুর জাহাজটি ডুবে যায়।
এ ব্যাপারে বালুর জাহাজটির মালিক রহুল আমিন জানান, চাঁদপুর এলাকা থেকে বালু ভর্তি করে। কিন্তু সেখানে জাহাজ রাখার জায়গা না থাকায় বাড়ির কাছে চরহোগলার কাছে মেঘনায় নিয়ে আসা হচ্ছিল। রাতে চলাচলের কারণে কোস্টগার্ড এটি আটক করে নিয়ে যায়।
মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার বলেছেন, ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস এবং ডুবুরি দল তলব করা হয়েছে।