আড়াই বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। এখনও খোঁজ মেলেনি সিলেটের বিয়ানীবাজার পৌরশহরের ফতেহপুর গ্রামের হারুনুর রশীদ ইমনের (৩২)। আব্দুল খালিকের ছেলে ইমন ২০১৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে লিবিয়া হয়ে ইতালি যাওয়ার উদ্দেশে ঘর ছাড়েন। লিবিয়ায় প্রায় তিন মাস থাকার পর পরিবারের ফোনে তিনি সর্বশেষ বার্তা পাঠান- আর কিছুক্ষণ পর তিনি নৌকায় চড়বেন। এরপর থেকে তার আর কোনো খবর নেই। তার নৌকা কী তীরের দেখা পেয়েছিল? তা জানে না কেউ।
ইমনের ছোট ভাই হাসানুর রশীদ বলেন, ‘ভাইকে ইতালি পাঠানোর জন্য উপজেলার মুড়িয়া ইউনিয়নের কোনা গ্রামের আদম ব্যবসায়ী কামরুল হাসান মিন্টুর সাথে ১০ লাখ টাকার চুক্তি হয়। ভাই লিবিয়ায় পৌঁছার পর পুরো টাকাই তুলে দেয়া হয় মিন্টুর হাতে। টাকা নিয়ে লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ভাইকে ইতালি পৌঁছানোর কথিত আয়োজন করে আদম ব্যবসায়ী ও তার সহযোগীরা। এরপর থেকে ভাইয়ের আর খোঁজ নেই।’
‘আমরা অনেকবার ভাইয়ের খোঁজে দালাল মিন্টুর বাড়িতে গেয়েছি। কিন্তু কেউ তার সন্ধান দিতে পারেননি। বর্তমানে ওই দালাল গ্রিসে বসবাস করছেন। কিন্তু তার পরিবার কিংবা গ্রামের লোকজন তার বিষয়ে কিছু জানেন না বলে আমাদের জানিয়েছেন। আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। কিন্তু থানা পুলিশ কিংবা ডায়েরি তো আমার ভাইকে এখনও উদ্ধার করে দিতে পারেনি,’ যোগ করেন হাসানুর রশীদ।
তিনি জানান, তার ভাইয়ের সাথে যাওয়া বিয়ানীবাজার, গোলাপগঞ্জ এবং আরও বিভিন্ন এলাকার অন্তত ১০ যুবকের এত দিন ধরে কোনো খোঁজ নেই।