বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, গ্যাস আমদানি করা সম্ভব না হওয়ায় নভেম্বরের আগে বাংলাদেশে চলমান লোডশেডিং পরিস্থিতির কোনো উন্নতির আশা নেই।
সোমবার মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ঢাকা ও আশপাশে সারাদিনে পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের কথা উল্লেখ করে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পর্যাপ্ত জ্বালানি সরবরাহের অভাবে সরকারকে বিকল্প ভিত্তিতে কিছু বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনা করতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: গ্রিড বিপর্যয়ের সঠিক কারণ খুঁজতে আরও সময় প্রয়োজন: নসরুল হামিদ
তিনি বলেন, `আমরা কিছু বিদ্যুৎ উৎপাদন ইউনিট দিনের বেলায় বন্ধ রাখি এবং অন্যগুলো রাতে বন্ধ রাখি। যে কারণে লোডশেডিংয়ের মাত্রা বেড়েছে।‘
নসরুল হামিদ বলেন, `বাংলাদেশের বর্তমান লোডশেডিং পরিস্থিতি আরও কিছুদিন অব্যাহত থাকবে এবং নভেম্বর থেকে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।’
প্রতিমন্ত্রী এর আগে সেপ্টেম্বরের পর বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতি হবে এবং অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ থেকে লোডশেডিং থাকবে না বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন।
তার আগের বক্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে নসরুল হামিদ বলেন, করোনা মহামারির পর শিল্পে উৎপাদন বেড়ে যাওয়ায় সম্প্রতি শিল্পকারখানায় গ্যাসের চাহিদা বেড়ে গেছে। তাই সরকার বিদ্যুৎকেন্দ্রে না দিয়ে তাদের গ্যাস সরবরাহ করতে বাধ্য হচ্ছে।
বৈশ্বিক পরিস্থিতি আবারও ভিন্ন হওয়ায় জ্বালানি সরবরাহের পরিস্থিতি আরও দীর্ঘ সময়ের জন্য অব্যাহত থাকতে পারে বলেও ইঙ্গিত দেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বাংলাদেশে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহের বিষয়ে জনগণকে আরও ধৈর্যশীল হওয়ার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: সন্ধ্যা ৭টায় পুরোপুরি বিদ্যুৎ চালু হতে পারে: নসরুল হামিদ
বিশ্বব্যাংককে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রকল্পে অর্থায়ন ত্বরান্বিত করার আহ্বান নসরুল হামিদের