মুজিব জন্ম শতবর্ষে প্রধানমন্ত্রী নিজ উদ্যোগে দেশের আশ্রয়হীনদের আশ্রয় দিতে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প হাতে নিয়ে একযোগে সারা দেশে লক্ষাধিক ঘর নির্মাণ করেছেন। যা বিশ্বব্যাপী আজ নন্দিত। কিন্তু ভাটির জেলা সুনামগঞ্জের প্রত্যন্ত শাল্লা উপজেলায় দেখা গেছে অন্য চিত্র।
আরও পড়ুনঃ নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই ভেঙে পড়েছে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর
নির্মিত প্রায় প্রতিটি ঘরেই দেখা দিয়েছে বড় বড় ফাটল। অনেক সুবিধাভোগীরা জানিয়েছেন ঘর পেয়ে তাদের নানান অসুবিধার কথা।
উপজেলার বাহাড়া (সদর) ইউনিয়নের শান্তিপুর গ্রামে বুধবার ৭ জুলাই বিকেলে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ওই গ্রামে নির্মিত ঘরগুলোর অনেক ঘরেই দেখা দিয়েছে বিশাল বড় বড় ফাটল ও মেঝে ভাঙ্গা, টয়লেট ভাঙ্গাসহ নানা ত্রুটি।
আরও পড়ুনঃ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে নির্মিত নিউচর আশ্রয়ণ প্রকল্প হস্তান্তর
সুবিধাভোগীদের মধ্যে আব্দুল গনি মিয়া নামে এক ব্যক্তি জানান, ঘর পেতে আমাকে অনেক কষ্ট পোহাতে হয়েছে। পাশাপাশি নিজের হাত থেকে নগদ টাকাও ব্যয় করতে হয়েছে।
ওই গ্রামের খায়রুল মিয়ার স্ত্রী পাখি বেগম বলেন, ঘর পেয়ে আমরা এখন বিপদে আছি। আমার স্বামী একজন দিন মজুর। ঘরের জন্য সারা বছর কোনো কাজ করতে পারেনি। ঘর পেয়ে আমাদের আরও ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা ধারকর্জ করতে হয়েছে। তারপরও ঘরে বিশাল বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। যে কোনো সময় ভেঙ্গে আমাদের ওপর পরতে পারে।
আরও পড়ুনঃ খুলনার আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর পেয়ে খুশি গৃহহীন পরিবারগুলো
ঘর প্রাপ্ত সুবিধাভোগীদের অনেকেই বলেন, নিম্নমানের মালামাল দিয়ে ঘর নির্মাণ করায় আজ এ অবস্থায় দাঁড়িয়েছে। তারা আরও জানান যে, তারা এসব নিম্নমানের মালামাল দিয়ে ঘরের কাজ করতে নিষেধ করলে কেউ তাদের কথা শুনেননি।
এ নিয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও উপজেলা সংশ্লিষ্ট কমিটির সদস্য সচিব শেখ মোঃ ফজলুল করিমের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমি এখনই ইউএনও স্যারের সাথে কথা বলছি, দেখি কি করা যায়।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল মুক্তাদির হোসেনের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, ‘ এসব ঘরগুলোর অবস্থা আমিও দেখেছি, এগুলো মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় মালামাল সংগ্রহ করছি। তাড়াতাড়িই এসব ঘর মেরামত করে দেবো।