করোনা ঝুঁকি নিয়ে কর্মস্থলে যোগ দিতে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ঢাকায় ফিরছেন অনেক মানুষ। ঈদ শেষে করোনার ভয় উপেক্ষা করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কর্মস্থলে ছুটছেন তারা।
রবিবার সকাল থেকে শিমুলিয়া ঘাটে মানুষ চাপ বেড়েছে। হাজার হাজার শ্রমজীবী মানুষ ফেরিতে করে নদী পার হয়ে শিমুলিয়ায় এসে পৌঁছেছেন।
এদিকে, করোনাভাইরাসের কারণে সারাদেশে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে বিভিন্ন যানবাহনে কর্মস্থলে ছুটছেন যাত্রীরা।
আরও পড়ুন: বিজিবির চেকপোস্ট উপেক্ষা করেই শিমুলিয়ায় ঘরমুখো মানুষের ঢল
বিআইডব্লিউটিসির এজিএম শফিকুল ইসলাম জানান, করোনাভাইরাসের কারণে সারাদেশে গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও জরুরি পরিষেবার যানবাহন পারাপারের জন্য ফেরি সচল রাখা হয়েছে। কিন্তু ফেরি সচল থাকায় জরুরি পরিষেবার যানবাহনের সাথে কর্মস্থলে ফেরা মানুষ সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে এবং স্বাস্থ্যবিধি না মেনে গাদাগাদি করে নদী পার হচ্ছেন। এতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি আরও বেড়ে যাচ্ছে। ১৮টি ফেরি দিয়ে পারাপার করেও কুলিয়ে ওঠা যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: শনিবার থেকে দিনে ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা
তিনি জানান, মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়ায় চাপ না থাকলেও মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাটে কর্মস্থলে ফেরা মানুষের প্রচণ্ড চাপ রয়েছে। রবিবার সকাল থেকে মানুষের চাপে ফেরিতে ঠিকমতো গাড়ি পার করা যাচ্ছে না। প্রতিটি ফেরিতেই মানুষের উপচেপড়া ভিড়। গাদাগাদি করে ফেরিতে নদী পার হচ্ছে হাজার হাজার মানুষ।
আরও পড়ুন: নাব্যতা সংকটে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ঘাটে তীব্র যানজট, ভোগান্তি চরমে
ঢাকামুখী যাত্রীরা বলেন, জীবনের ঝুঁকি থাকলেও কর্মস্থলে যেতেই হবে, না যেতে পারলে চাকরি থাকবে না।