৪ রো রো, ৪টি কে-টাইপ ও ২টি মিডিয়ামসহ মোট ১০টি ফেরি দিয়ে পার হচ্ছে যাত্রী এবং যানবাহন।
এদিন দক্ষিণবঙ্গগামী মানুষের চাপ কম ছিল। কিন্তু দক্ষিণবঙ্গ থেকে হাজার হাজার মানুষ কর্মস্থলে ফিরছেন। ফেরিগুলো কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে শিমুলিয়ায় আসছে। সেখানে গাড়ির সংখ্যা কম, যাত্রীর সংখ্যাই বেশি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের এজিএস মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, সকাল থেকে কাঠালবাড়ি থেকে হাজার হাজার মানুষ শিমুলিয়ায় আসছেন। পরিবার পরিজন নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই তারা আসছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সকালে পদ্মায় ২ নং সতর্কতা সংকেত উঠিয়ে নেয়া হয়েছে। পদ্মা এখনও কিছুটা উত্তাল। বাতাসের কারণে সবগুলো ফেরি চলতে পারছে না। ফেরিগুলো যাওয়া আসায় সময় লাগছে বেশি। আমরা চেষ্টা করছি নির্বিঘ্নে পারাপারের। এছাড়া কর্ণফুলী নামে একটি ছোট ফেরি স্ট্যান্ডবাই রাখা আছে। জরুরি প্রয়োজনে এটি ব্যবহার করা হবে।’
এদিকে যাত্রীরা শিমুলিয়া ঘাটে এসে পড়ছেন বিপাকে। গণপরিবহন না থাকায় তাদের ছোট গাড়ি, অটোরিকশা, সিএনজি, মোটরসাইকেল এমনকি পিকাপে বা ট্রাকে করেও গন্তব্যে রওনা দিতে দেখা গেছে। কেউ কেউ ঘাটে কোনো যানবাহন না পেয়ে পায়ে হেঁটেও রওনা দিয়েছেন। পর্যাপ্ত যানবাহন না থাকায় যাত্রীদের কয়েক গুণ বেশি ভাড়া গুণতে হচ্ছে।
মাওয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সিরাজুল কবির বলেন, ‘আমরা যাত্রীদের নিরাপত্তায় কাজ করছি, কিন্তু যাত্রীরা শুনছেন না। কারো ধৈর্য নেই। ঘাটে এসে হুড়োহুড়ি করে তারা ঝুঁকি নিয়ে বিভিন্ন যানে চড়ে গন্তব্যে রওনা দিচ্ছে। নৌপথে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।’