রবিবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে শেরপুর-ঝিনাইগাতী সড়কের বাজিতখিলা উইনিয়নের মির্জাপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দুপুরে জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নালিতাবাড়ী উপজেলার চাদগাও এলাকার কেতু মিয়ার ছেলে লাল মিয়ার (৩৫) মৃত্যু হয়।
এর আগে নালিতাবাড়ীর চাদগাও তিনঘরিয়া এলাকার তাহের আলীর ছেলে সেলিম মিয়া (২৫), নলজোড়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের স্ত্রী রোকসানা বেগম (৩০), সিএনজি চালক বন্দধারা গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে জোবেদ আলী (২৫) ও তিনানী ঘুটুরাপাড়া গ্রামের আব্দুল হাইয়ের ছেলে আব্দুল মান্নান (৫৮) মারা যান।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
খুলনায় সড়ক দুর্ঘটনায় ২ কলেজছাত্র নিহত
শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ঝিনাইগাতী থেকে শেরপুর আগত যাত্রীবাহী সিএনজি অটোরিকশার সাথে বিপরীত দিক থেকে আসা ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই সিএনজির তিন যাত্রী নিহত হয়। গুরুতর অবস্থায় সিএনজি চালকসহ অন্য তিনজনকে জেলা হাসপাতালে ভর্তির পর একজনের মৃত্যু হয়। অন্য দুজনের অবস্থাও আশংকাজনক।
ট্রাকটি জব্দ করা হলেও চালক পালিয়ে গেছে বলে ওসি জানান।
আরও পড়ুন: বন্ধুর জন্য মোটরসাইকেল কিনে ফেরার পথে দুর্ঘটনায় পুলিশ সদস্য নিহত
বান্দরবানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩, আহত ৫
এদিকে, নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) সম্প্রতি তাদের এক প্রতিবেদনে দুর্ঘটনার কারণ হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে সড়কে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও মনিটরিংয়ের অভাব, চালকদের মধ্যে প্রতিযোগিতা ও বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর প্রবণতা, লাইসেন্স ছাড়া চালক নিয়োগ, পথচারীদের মধ্যে সচেতনতার অভাব, ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করে ওভারটেকিং করা, বিরতি ছাড়াই দীর্ঘসময় ধরে গাড়ি চালানো, সড়ক-মহাসড়কে মোটরসাইকেল ও তিন চাকার গাড়ি বৃদ্ধি, মহাসড়ককে নির্মাণ ত্রুটি ও রাস্তার পাশে হাট-বাজার ও দোকানপাট বসানো।
আরও পড়ুন: ২০২০ সালে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় নিহত ৭২৯ শ্রমিক: বিলস
এছাড়াও অশিক্ষিত ও অদক্ষ চালক, রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব, সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ বাস্তবায়ন না হওয়া মূল কারণ বলে প্রতিবেদনে চিহ্নিত করা হয়। এছাড়া দুর্ঘটনার জন্য দায়ী যানবাহনগুলো হচ্ছে বাস-ট্রাক, মোটরসাইকেল, কাভার্ডভ্যান, প্রাইভেট কার, সিএনজি অটোরিকশা, রিকশা ও সাইকেল উল্লেখযোগ্য।