সোমবার ভোরে গাজীপুরের চন্দ্রা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন হোসেন আলী (২৬) ও মুন্না মিয়া (২৭)।
পুলিশ জানায়, আসামিরা খুবই চতুর প্রকৃতির। পুলিশ উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করলেও ঘন ঘন স্থান পরিবর্তন করায় তাদের ধরতে দুই মাস সময় লেগেছে। তাদের বিরুদ্ধে এলাকায় নানা অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে।
সাভার মডেল থানার ওসি (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম জানান, গত ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে সাভারের কাউন্দিয়া এলাকায় বাড়িতে স্বামীর হাত-পা বেঁধে এক গৃহবধূকে রাতভর সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেন হোসেন ও মুন্না। পরে ওই গৃহবধূ সাভার মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করলে পুলিশ আজ ভোরে গাজীপুরের চন্দ্রা থেকে তাদের আটক করে।
তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
সরকার ধর্ষণের শাস্তি জোরদার করলেও দেশব্যাপী এ অপরাধের ঘটনা ঘটেই চলেছে। বিচার না হওয়া এবং নৈতিক অবক্ষয়সহ বিভিন্ন কারণে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে এ অপরাধ দেশের সবচেয়ে বিপজ্জনক বিপত্তি হিসেবে দেখা দিয়েছে।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) মতে, এ বছরের জানুয়ারি থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশে ২০৮ জন সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষিত হওয়াসহ ৯৭৫ নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৪৫ জনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে এবং ১২ জন আত্মহত্যা করেছেন।
আসক আরও জানায়, এ সময়ে ১৬১ নারী যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন এবং তাদের মাঝে ১২ জন আত্মহত্যা করেছেন।
ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড
ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে গত ১৭ নভেম্বর সংসদে বহুল আলোচিত ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) বিল, ২০২০’ পাস হয়েছে। ধর্ষণ মামলায় সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করতে বিলটি সংশোধন করা হয়।
প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী, ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। সংশোধনের আগের আইন অনুযায়ী এ শাস্তি ছিল যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। ধর্ষণের বিরুদ্ধে সম্প্রতি দেশব্যাপী আন্দোলনের মুখে সরকার আইনের এ সংশোধন আনে।