নিহত শারমিন আক্তার সাভারের রাজফুলবাড়িয়ার ভাওয়ালীয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তার বাড়ি শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া থানার বাহের কুশিয়া গ্রামে।
আরও পড়ুন: সাভারে ফেনসিডিলসহ আটক ২
পুলিশ জানায়, নেশার টাকা না পেয়ে স্থানীয় বিশ্বাস গার্মেন্টেসের শ্রমিক শারমিন খাতুনকে ভাড়া বাড়িতে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন সুজন। পরে স্ত্রীকে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ পোশাক শ্রমিকের লাশ উদ্ধার এবং নেশাগ্রস্ত স্বামী সুজনকে আটক করে।
এদিকে, অপর ঘটনায় সাভারের জালেশ্বর এলাকায় এক স্কুলছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ভাড়া বাড়ি থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: যশোরে অস্ত্রসহ যুবক আটক
নিহত তাজবী রহমান লাজিন (১৫) কুষ্টিয়ার লুৎফর রহমানের ছেলে ও বিপিএটিসি স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র।
পরিবার জানায়, রাতে তাজবী ছাড়া আর কেউ বাসায় ছিল না। পরে পরিবারের সদস্যরা ঘরে এসে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় পান। রহস্যজনকভাবে তার মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেন তারা।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ বলেন, ভোর রাতে পুলিশ সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে সংশ্লিষ্ট দুজনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়।
আরও পড়ুন: সাভারে র্যাবের অভিযানে জাল সার্টিফিকেট তৈরি চক্রের সদস্য আটক
এ ঘটনায় সাভার মডেল থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এর আগে, গত ৩ ডিসেম্বর সাভার ও আশুলিয়ায় পৃথক ঘটনায় দুই যুবককে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ওই দিন দুপুরে সাভারের জামসিং ও আশুলিয়ার ইউসুফ মার্কেট থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, জামসিং এলাকায় ফজলুক হকের ছেলে মিলন মিয়াকে (২৩) প্রকাশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি ধারালো দা উদ্ধার করেছে।
অন্যদিকে, ইউসুফ মার্কেট এলাকায় মোরসালিন নামে (২০) এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করে আম গাছে ঝুলিয়ে রাখে দুর্বৃত্তরা। নিহত যুবক সুমানগঞ্জ জেলার আজমল মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন: কানাইঘাট সীমান্তে মাদকসহ ভারতীয় নাগরিক আটক
সাভার মডেল থানার ওসি (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম এবং আশুলিয়া থানার ওসি কামরুজ্জামান জানিয়েছিলেন যে উভয় ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত চলছে।