যমুনা নদীর পানি সামান্য কমলেও সিরাজগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। বর্তমানে যমুনার পানি বিপৎসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ডুবে গেছে পাট ও বোনা আমনসহ বিভিন্ন ফসল। নদীর তীরবর্তী অনেক স্থানে প্রচণ্ড ভাঙন শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে শতাধিক ঘরবাড়ি ও জায়গা জমি যমুনা গর্ভে বিলীন হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (হেডকোয়ার্টার) নাসির উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি ৬ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে সিরাজগঞ্জের নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। বিশেষ করে যমুনা তীরবর্তী শাহজাদপুর, চৌহালী, বেলকুচি, কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চরাঞ্চলসহ নিম্নাঞ্চল বন্যাকবলিত রয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ জানিয়েছে, বন্যায় নিম্নাঞ্চলের ৯ হাজার ১০৬ হেক্টর জমির রোপা আমন, পাট, তিল, সবজিসহ বিভিন্ন ফসল ডুবে গেছে। পানি কমতে শুরু করলেও কৃষকের ফসল ঘরে তোলার সম্ভাবনা নেই।
জেলা ত্রাণ ও পূর্ণবাসন কর্মকর্তা আকতারুজ্জামান জানান, যমুনা নদীর তীরবর্তী পাঁচটি উপজেলার ৩৮টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যেই ১৪০ মেট্রিক ট্রন চাল, প্যাকেট জাত শুকনা খাবার ও নগদ অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এসব ত্রাণ সামগ্রী বন্যাকবলিত এলাকায় বিতরণ শুরু করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।