সিরাজগঞ্জে বন্যায় তাঁত সমৃদ্ধ এলাকার হাজার হাজার তাঁত কারখানার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এখনও অনেক তাঁত কারখানা বন্যার পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। এতে তাঁত মালিকরা লোকসানের মুখে পড়েছে। সেইসাথে লাখ লাখ তাঁত শ্রমিক এখন কাজ না পেয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর, বেলকুচি, চৌহালী, এনায়েতপুর, কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার প্রায় ৫ লাখ পাওয়ারলুম ও হ্যান্ডলুম মেশিনে তাঁত-পণ্য তৈরি হয়। বিশেষ করে তাঁত সমৃদ্ধ শাহজাদপুর, বেলকুচি ও এনায়েতপুরে তাঁত পণ্য বেশি তৈরি হয়। এবারের বন্যায় তাঁত সমৃদ্ধ এলাকাসহ এসব এলাকার হাজার হাজার তাঁত পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে।
যমুনায় পানি কমতে থাকলেও এখনও অনেক তাঁত কারখানা পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। এতে তাঁত কারখানার সুতা প্রস্তুত করার ভিম, লোহার ল্যাংগোজ, মেশিনের পায়া ও ইলেকট্রনিক মটরসহ সুতা নষ্ট হয়ে গেছে। বন্যা পরবর্তীতে এসব তাঁত কারখানা চালু করতে নতুন করে সুতা ক্রয় ও ভিম তৈরি করতে হবে। মেরামত ও পরিবর্তন করতে হবে পাওয়াররুম-হ্যান্ডলুমের অনেক যন্ত্রাংশ।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি, নিম্নাঞ্চলের মানুষের দুর্দশা বাড়ছে
সিরাজগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি, নতুন এলাকা প্লাবিত
বন্যা ও করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত তাঁত মালিকরা চরম আর্থিক সংকটে পড়েছেন। এ কারণে তারা আবারও তাঁত কারখানা চালু করতে হিমশিমে পড়েছে এবং চরম আর্থিক সংকটের কারণে অনেক তাঁত কারখানা চালু করার সম্ভাবনা নেই।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত তাঁত কারখানা পুনরায় চালু করতে সরকারি প্রণোদনা ও স্বল্প-সুদে ঋণের দাবি করছেন তাঁত মালিকেরা।
জেলা প্রশাসক ড.ফারুক আহম্মেদ বলেছেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিক ও বিভিন্ন পেশাজীবীসহ অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী ও খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে।
এছাড়া তাঁত মালিক ও শ্রমিকদের আর্থিক সহায়তায় ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।