সিলেটের গোলাপগঞ্জে ডাকাতি শেষে পালিয়ে যাওয়ার সময় গণপিটুনিতে এক ডাকাত নিহত হয়েছেন। রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) ভোরে উপজেলার ঢাকা দক্ষিণের দত্তরাইল মিশ্রপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় ডাকাতদের ছোড়া গুলিতে আরও পাঁচজন আহত হয়েছেন। তাদের সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গুলিবিদ্ধরা হলেন-ঢাকা দক্ষিণের পশ্চিম দত্তরাইল গ্রামের মৃত সাহাবুদ্দিনের ছেলে দেলোয়ার হোসেন (২২), মানোয়ার হোসেন (২৪), একই এলাকার আতিব আলীর ছেলে সাইদুল ইসলাম (৪০), বকু মিয়ার ছেলে আরমান আহমদ (৩০) ও মনন আহমদের ছেলে দুলাল আহমদ (২৭)।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে নৈশকোচে ডাকাতি : গ্রেপ্তার আরও ৩
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রবিবার ভোর রাত ৩টার দিকে বাড়ির গেট ভেঙ্গে ৫-৬ জনের সংঘবদ্ধ একটি ডাকাতদল স্থানীয় জ্ঞান সেনের বাড়িতে প্রবেশ করে। এসময় পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সবাইকে বেঁধে ফেলে। জ্ঞান সেনের ছেলে দুলাল সেন (৪০) বাঁধা দিলে তাকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বেধড়ক মারধর করে মালামাল লুটপাট চালায়। ডাকাতরা ঘরে থাকা নগদ ২ লাখ টাকা, ক্যামেরা, ১ হাজার কানাডিয়ান ডলার, ৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়।
এদিকে ডাকাতি শেষে ভোররাতে ডাকাতদল পশ্চিম দত্তরাইল জামে মসজিদে আশ্রয় নেয়। এসময় মসজিদের ইমাম বিষয়টি স্থানীয় মহল্লাবাসীকে অবগত করলে স্থানীয়রা চারপাশ থেকে ডাকাতদলকে ঘিরে ফেলে। এ সময় ডাকাতদের ছোড়া গুলিতে পাঁচজন আহত হন। এক পর্যায়ে বাকি ডাকাতরা পালিয়ে গেলেও গ্রামবাসী এক ডাকাতকে ধরে গণপিটুনি দেয়। এতে ওই ডাকাত ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
গোলাপগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশীদ চৌধুরী বলেন, ডাকাতি শেষে পালানোর সময় স্থানীয় জনতার মারধরে এক ডাকাত মারা গেছেন। ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত অস্ত্র ও লুট করা কিছু মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি ডাকাতদের ধরতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে ডাকাতির ৪৩ লাখ টাকার সুতাসহ গ্রেপ্তার ৪