কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার উৎমা পাথর কোয়ারিতে মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত কংস বিশ্বাস (৪০) উপজেলার পূর্ব ইসলামপুরের জীবনপুর গ্রামের গোপাল বিশ্বাসের ছেলে।
আরও পড়ুন: সিলেটে ৩ দিনের পরিবহন ধর্মঘট ৬০ ঘণ্টা পর শিথিল
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার উৎমা কোয়ারির আলমগীর, শাহেদ ও মাকসিদুল টিপুর মালিকানাধীন জায়গায় গোপনে পাথর উত্তোলন করছিলেন কয়েকজন শ্রমিক। দুপুর ১টার দিকে ট্রাক্টরে পাথর তুলতে গিয়ে নিচে চাপা পড়ে কংস ঘটনাস্থলেই মারা যান।
আরও পড়ুন: সিলেটে তৃতীয় দিনের মতো চলছে পরিবহন ধর্মঘট
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) জানান, খবর পেয়ে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
এ ঘটনায় কংসের স্ত্রীর বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে অটোরিকশা ধর্মঘট প্রত্যাহার
ওসি জানান, উৎমাসহ সব কোয়ারিতেই পাথর উত্তোলন বন্ধ রয়েছে। তবু কতিপয় ব্যক্তি লুকিয়ে শ্রমিকদের মাধ্যমে পাথর আহরণ করছেন। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।
পরিবেশের বিপর্যয় ঠেকাতে ২০১৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর সিলেটের জাফলং, ভোলাগঞ্জ, শাহ আরেফিন টিলা, বিছনাকান্দি ও লোভছড়া- এ পাঁচ জায়গায় কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলন নিষিদ্ধ করে খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। এর আগে, ২০১৪ সালে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বেলা) দায়ের করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে সিলেটের পাথর কোয়ারিগুলোতে সব ধরনের যন্ত্রের ব্যবহার নিষিদ্ধ করে উচ্চ আদালত।
আরও পড়ুন: সিলেটে পরিবহন ধর্মঘটের ২য় দিন চলছে, ভোগান্তি চরমে
কিন্তু পরিবেশ দূষণ ও নিরীহ শ্রমিকদের প্রাণহানি ঠেকাতে সরকার পাথর কোয়ারি বন্ধ রাখলেও এখনও পাথরখেকোরা গোপনে এটি উত্তোলন অব্যাহত রেখেছেন। তারা কোয়ারি খুলে দেয়ার জন্য আন্দোলন করে যাচ্ছেন। সম্প্রতি তাদের আন্দোলনে যোগ দেন সিলেট বিভাগীয় ট্রাক, পিকআপ, কাভার্ড ভ্যান মালিক ঐক্য পরিষদ। সংগঠনটির ডাকে পালন করা হয় ৬০ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট।