সুরমা, চেলা, মরা চেলা, খাসিয়ামারা, কালিউরি, চিলাই, ধূমখালী ও ছাগলচোরা নদীসহ উপজেলার সব হাওর ও খালবিলে হু হু করে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
পানি বৃদ্ধির ফলে শুক্রবার দুপুরে দোয়ারাবাজার উপজেলা পরিষদের সামনের অংশ সুরমা নদীতে ধসে গেছে। মাঝেরগাঁও গ্রামের আব্দুল মছব্বিরের দুই ছেলে ফয়জুল করিম ও আজাদ মিয়ার উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন দুটি চায়ের দোকান নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।
এছাড়াও হুমকির মুখে আছে নইন গাঁও গ্রামের আব্দুল হাকিমের চারটি দোকানঘর। যেকোনো সময় সুরমা এগুলো গ্রাস করতে পারে। সেই সাথে, তীব্র ভাঙনের মুখে থাকা পার্শ্ববর্তী আরও ২০-২৫টি দোকান যেকোনো সময় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে।
সুরমা নদীর তীরে বসবাসকারী মংলার গাঁও, মাঝের গাঁও, মুরাদপুর, পূর্ব মাছিমপুর ও পশ্চিম মাছিমপুরসহ কয়েকটি গ্রামের লোকজন নদী ভাঙনের হুমকির মুখে আছে।
এ নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা বলেন, কিছু দিনের ভেতর স্থায়ী সমাধানের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। তবে, দ্রুত যদি কোনো বিকল্প ব্যবস্থা না হয় তাহলে ভারী বর্ষণ ও বন্যার কারণে সুরমার তীরবর্তী মানুষগুলো তাদের শেষ সম্বলটুকু নদীগর্ভে হারিয়ে ফেলবে বলে আশঙ্কা করা যাচ্ছে।
নদী ভাঙন প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মো. তাজুল ইসলামকে বলেন, ‘অনেক জায়গায় ফোন করেছি এবং অনেক জায়গায় গিয়েছি। এ মুহূর্তে ভাঙন প্রতিরোধে যদি কোনো ব্যবস্থা না নেয়া হয়, তাহলে মাঝেরগাঁও রক্ষা করা যাবে না। উপজেলার সরকারি স্থাপনাগুলো রক্ষা করা যাবে না।’
তাই দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করেন তিনি।