গত কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিতে হবিগঞ্জের খোয়াই নদী ছাড়া জেলার সব নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এতে করে নবীগঞ্জ উপজেলায় কুশিয়ারা নদীর বাঁধ উপচে চারটি ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামের বাড়ি-ঘরে পানি প্রবেশ করেছে ও রাস্তাঘাট প্লাবিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: টেকনাফে ভারী বৃষ্টিতে ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপ দাস অনু বলেন, এরই মধ্যে হবিগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বেশকিছু গ্রামে পানি প্রবেশ করেছে।
এছাড়া পানিবন্দি ৫৫ পরিবারকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপ দাস অনু।
এদিকে গত কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিতে হবিগঞ্জ শহরের শ্যামলী, ইনাতাবাদ, নিউমুসলিম কোয়ার্টার, উমেদনগর, শায়েস্তানগর এলাকার রাস্তাঘাট প্লাবিত হয়েছে। কোনো কোনো এলাকায় বাড়ি-ঘরে পানি প্রবেশ করেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম মাহমুদ বলেন, বুধবার দুপুর ১টায় রিডিং অনুযায়ী শেরপুর পয়েন্টে ১২ সেন্টিমিটার, মারকুলি পয়েন্টে ২১ সেন্টিমিটার ও আজমিরীগঞ্জে ৩১ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার ওপর দিয়ে কুশিয়ারা নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছিল।
শামীম মাহমুদ আরও বলেন, খোয়াই নদীর পানি এখনও বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে উজানে (ভারতের ত্রিপুরায়) ভারী বৃষ্টি হলে নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।
এদিকে ভারী বৃষ্টিতে ও বন্যার পানিতে হাওরগুলো ডুবতে শুরু করেছে বলে জানান পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম মাহমুদ।
আরও পড়ুন: সিলেটে ফের বিপৎসীমার ওপরে সুরমা-কুশিয়ারার পানি
সিলেট-সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে, আরও ৩ জেলায় বন্যার আশঙ্কা