বার্ন ইউনিট
একনেকে চমেক হাসপাতালে বার্ন ইউনিট ও খুলনায় মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রকল্প অনুমোদন
২০২৬ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ১ হাজার ৮৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে খুলনায় একটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনসহ ১০টি উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
১০টি প্রকল্পের মোট প্রাক্কলিত ব্যয় ৫ হাজার ৫৬৩ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৫ হাজার ২০৩ কোটি ২১ লাখ টাকা এবং বাকি ৩৬০ কোটি ৪৭ লাখ টাকা আসবে বৈদেশিক উৎস থেকে।
এর মধ্যে আটটি নতুন প্রকল্প ও দুটি সংশোধিত প্রকল্প রয়েছে।
আরও পড়ুন: একনেকে ৮৪২৫ কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন
বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুস সালাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজ অনুমোদিত ১০টি প্রকল্পের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প হলো ঢাকার বাইরে প্রথমবারের মতো, চট্টগ্রামে বার্ন ইউনিট স্থাপন এবং আরেকটি হচ্ছে খুলনায় একটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন।’
মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্প সম্পর্কে পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব সত্যজিৎ কর্মকার বলেন, দেশের ৮টি বিভাগে একটি করে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে সরকারের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে 'শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা স্থাপনের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ, উন্নয়ন ও মৌলিক অবকাঠামো নির্মাণ' শীর্ষক প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ২৮৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বার্ন ইউনিট প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
আরও পড়ুন: অবকাঠামো নির্মাণের পাশাপাশি গ্রামীণ উন্নয়নে গুরুত্ব দিন: একনেক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী
নতুন অন্য ৬টি প্রকল্প হলো- ১৪৪ কোটি ৭ লাখ টাকা ব্যয়ে 'ক্যাপাসিটি বিল্ডিং অব স্ট্যাটিস্টিকস সার্ভিস বেজড অন প্ল্যাটফর্ম' প্রকল্প; ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে 'পিরোজপুর ও ঝালকাঠি জেলার গুরুত্বপূর্ণ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন'; ১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বরিশাল জেলার গুরুত্বপূর্ণ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন; ৮১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা ব্যয়ে 'প্রোগ্রাম ফর সাসটেইনেবিলিটি ইন দ্য টেক্সটাইল অ্যান্ড লেদার সেক্টর (এসটিআইএল)' প্রকল্প; ৩৩৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকা ব্যয়ে 'ঢাকা জেলায় বিদ্যমান সার্কিট হাউজ ভবনের স্থলে নতুন আধুনিক সার্কিট হাউজ ভবন নির্মাণ' এবং 'বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের নবনির্মিত গাজীপুর ব্যাটালিয়নের (৬৩ বিজিবি) জন্য বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ' প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ২২৩ কোটি ২ লাখ টাকা।
একনেক দুটি সংশোধিত প্রকল্প অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে একটি হলো, ‘ছাতক সিমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড (সিসিসিএল), ছাতক, সুনামগঞ্জ (২য় সংশোধিত) ওয়েট প্রসেসকে ড্রাই প্রসেসে রূপান্তর' প্রকল্পের ব্যয় বাড়িয়ে ৫২৭ কোটি ৭৭ লাখ টাকা করা হয়েছে। অন্যদিকে আরবান রেজিলিয়েন্স প্রজেক্ট (ইউআরপি): ডিডিএম অংশ (৩য় সংশোধিত)-এর জন্য ব্যয় ৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা কমানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: একনেকে ১১ হাজার ৩৮৮ কোটি টাকা আনুমানিক ব্যয়সহ ১৮টি প্রকল্প অনুমোদন
৬ মাস আগে
নুসরাত হত্যার ৩য় বাষির্কী, সামাজিক অপপ্রচারে আতংকিত পরিবার
আজ নুসরাত হত্যার তৃতীয় বাষির্কী। ২০১৯ সালের ১০ এপ্রিল রাত সাড়ে নয়টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান অগ্নিদগ্ধ মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি। ২০১৯ সালের ১১ এপ্রিল বিকালে লাখো মানুষের উপস্থিতিতে সোনাগাজী মোহাম্মদ ছাবের সরকারি মডেল পাইলট হাইস্কুল মাঠে নামাজে জানাজা শেষে তাকে সামাজিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
শনিবার বিকেলে নুসরাতের মৃত্যুবাষির্কীতে সামাজিক হামিদিয়া মসজিদে মিলাত, দোয়া ও ইফতারের মাধ্যমে পারিবারিকভাবে তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়েছে বলে জানান নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান।
রবিবার নুসরাত পরিবারের সঙ্গে ইফতার করবেন পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। প্রতিবারের মতো এবারও উত্তর চর ছান্দিয়া গ্রামে নুসরাতের কবরে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করবে ফেনীর পিবিআই।
আরও পড়ুন: নুসরাত হত্যা: ওসি মোয়াজ্জেমের জামিন শুনানি ৩ মাস মুলতবি
নোমান বলেন, নুসরাত হত্যাকাণ্ডের তিন বছরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রামে আমাদের পরিবারের বিরুদ্ধে বিষেদাগার করে অপপ্রচার করছে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের আত্মীয় স্বজনরা। যার কারণে আমরা সামাজিক মান সম্মানের ভয়ে আতংকিত থাকি। এ ব্যাপারে আমরা আইসিটি আইনে মামলা করেছি, যা পিবিআইতে তদন্তাধীন রয়েছে।
নুসরাত জানান রাফির মা শিরিন আক্তার বলেন, তিনটি বছর পার হলেও আজও নুসরাতের স্মৃতিরক্ষায় তেমন কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। নিজের জীবন দিয়ে নারী নির্যাতনের প্রতিবাদ করলেও পাননি সরকারি-বেসরকারি কোন সম্মান। আফসোস করে তিনি বলেন, প্রতিবছর এইদিনে পুলিশ ও সাংবাদিকরা এসে খোজঁখবর নেন, তারপর আর কোন খবর থাকে না। নুসরাত হত্যাকাণ্ডের পর অনেকে নানা রকম প্রতিশ্রুতি দিলেও আজও তার বাস্তবায়ন হয়নি। নুসরাতের স্মৃতি রক্ষার্থে একটি সড়ক, স্কুল বা মাদরাসার নাম করণের দাবি জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ছয় বছরেও তনু হত্যা মামলার অগ্রগতি নেই
নুসরাতের মা শিরিন আক্তারের কাছে তার প্রিয় কন্যা নুসরাত রাফির শূন্যতা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আজও প্রতিদিন ভোরে তাকে খুঁজি। মনে হয় এই বুঝি নুসরাত এসে জড়িয়ে ধরে মা বলে ডাকছে। তার স্মৃতি আজও ঘরের, বাড়ির সবকিছুতেই রয়েছে। তার পড়ার বই, জামা কাপড় ও পছন্দের সবকিছুই গোঁছানোভাবে রাখা হয়েছে ঘরের মধ্যে। আজ তিন বছর আমি আমার মেয়ের কণ্ঠে মা ডাকটি শুনতে পাই না। রাতে ঘুম হয় না। কারণ আমার মেয়ের হাত-পা বেঁধে যখন তারা আগুন লাগিয়েছিল, তখন আমার মেয়ে কি করেছিল? সেদিন আমি খবর পেয়ে ফেনী সদর হাসপাতালে ছুটে যাই, তখন পুলিশ সদস্যরা আমার মেয়ের কাছে ভিড়তে দেয় নাই। তার পুরো শরীর ব্যান্ডেজ করে ফেলে ডাক্তাররা। পুলিশরা আমাকে বলে তার শরীরের ৮৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। বাঁচে কিনা সন্দেহ? আপনি মেয়ের আগুনে পোড়া এই শরীর দেখলে সহ্য করতে পারবেন না। ডাক্তাররা আপনাকে দূরে থাকতে বলেছে। তখন আমার মেয়ে মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করছিল।
দেশে করোনাভাইরাসে হাজার হাজার লোক মারা যাচ্ছে। তাদের আত্মীয়-স্বজনরা মনেরে বুঝ দিতে পারবে, করোনাভাইরাসে তারা মারা যাচ্ছে। কিন্তু আমার মেয়েকে জানোয়ারেরা হাত-পা বেঁধে আগুন দিয়ে পুড়ে মেরেছে। বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের ৯৯ ভাগ মানুষ আমার মেয়ের পাশে ছিল। আমাদের পরিবারের পাশে ছিল। আসামি ও তাদের স্বজনরাসহ এক পার্সেন্ট মানুষ আমাদের পরিবারের বিরুদ্ধে থাকতে পারে।
তিনি আরও বলেন, আমরা বিচারিক আদালতে ন্যায় বিচার পেয়েছি। শুনেছি উচ্চ আদালতে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা আপিল করেছেন। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে আসামিদের রায় দ্রুত কার্যকরের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।
বাদীপক্ষের আইনজীবী এম শাহজাহান সাজু বলেন, ২০১৯ সালের ২৯ অক্টোবর আসামিদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য (ডেথ রেফারেন্স) মামলার যাবতীয় কার্যক্রম হাইকোর্টে রয়েছে। ফৌজদারি কার্যবিধি অনুসারে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডাদেশ হলে তা অনুমোদনের জন্য উচ্চ আদালতে পাঠাতে হয়। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পেপারবুক (মামলার যাবতীয় নথি) ছাপানো শেষ করা হয়। পরে প্রয়োজনীয় কাজ শেষে শুনানির জন্য মামলাটি প্রধান বিচারপতি বরাবর উপস্থাপন করা হয়। আপিল অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শুনানির জন্য বেঞ্চ গঠন করেছিলেন প্রধান বিচারপতি। বিচারপতি হাসান ইমাম ও সৌমেন্দ্র সরকার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে এ মামলার শুনানির জন্য নির্ধারণ করা হয়েছিল। সে বেঞ্চ করোনার কারণে বাতিল হয়ে গেছে। এরপর বেঞ্চ গঠন হয়নি। তাই মামলাটির শুনানি হচ্ছে না।
ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসায় পরীক্ষা দিতে গিয়ে আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফির গায়ে কেরোসিন ঢেলে ২০১৯ সালের ৬ এপ্রিল মাদরাসার প্রশাসনিক ভবনের ছাদে নিয়ে তাঁর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। চারদিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান।
২০১৯ সালের ২৪ অক্টোবর ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ মামলার রায়ে ১৬ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন। পাশাপাশি প্রত্যেক আসামিকে এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড করা হয়। আসামিরা হলেন- সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ এসএম সিরাজ উদ-দৌলা (৫৭), নূর উদ্দিন (২০), শাহাদাত হোসেন শামীম (২০), কাউন্সিলর ও সোনাগাজী পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ আলম (৫০), সাইফুর রহমান মোহাম্মদ জোবায়ের (২১), জাবেদ হোসেন ওরফে সাখাওয়াত হোসেন (১৯), হাফেজ আব্দুল কাদের (২৫), আবছার উদ্দিন (৩৩), কামরুন নাহার মনি (১৯), উম্মে সুলতানা পপি (১৯), আব্দুর রহিম শরীফ (২০), ইফতেখার উদ্দিন রানা (২২), ইমরান হোসেন মামুন (২২), সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মাদরাসার সাবেক সহ-সভাপতি রুহুল আমিন (৫৫), মহিউদ্দিন শাকিল (২০) ও মোহাম্মদ শামীম (২০)।
২ বছর আগে
ফতুল্লায় সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: দগ্ধ ২ জনের মৃত্যু
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় গাড়ির গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ দুই ব্যক্তি সোমবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা গেছেন।
নিহতরা হলেন, আলম হোসেন (৪০) ও জজ মিয়া (৫০)।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর বাচ্চু মিয়া জানান, আলমের শরীরের শতভাগ পুড়ে যায় এবং রাত ১২টা ৩০ মিনিটের দিকে তার মৃত্যু হয় এবং জজ মিয়া ৮০ শতাংশ দগ্ধ হয়ে সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের দিকে মারা যান।
রবিবার ফতুল্লার আলীগঞ্জে একটি গাড়ির গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে শিশুসহ ১০ জন দগ্ধ হন।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, বাস বা ট্রাকের একটি গ্যাস সিলিন্ডার মেরামতের কাজ করার সময় সিগারেটের আগুন থেকে এ বিস্ফোরণ ঘটে।
আরও পড়ুন: ফতুল্লায় সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ১০জন দগ্ধ
২ বছর আগে
লঞ্চের আগুনে আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক: সামন্ত লাল
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারির সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন শনিবার হাসপাতালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান।
শুক্রবার প্রায় ২১ জনকে ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নিয়ে যাওয়া হয় এবং তাদের মধ্যে ১৬ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: ৩০ জনের জানাযা সম্পন্ন
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তামিম হাসানের (৮) শরীরের ৩০ শতাংশ, বাচ্চু মিয়ার (৫১) চার শতাংশ, ইসরাত জাহান সাদিয়ার (২২) ২০ শতাংশ, শাহিনুর খাতুনের (৪৫) ২৫ শতাংশ, মারুফার (৪৮) ১৫ শতাংশ, সেলিম রেজার (৪৫)১৮ শতাংশ, লামিয়ার (১৩) ১০ শতাংশ, মমতাজের (৭০) ৮ শতাংশ, মোহাম্মদ রাসেলের (৩৮) ১৮ শতাংশ, বঙ্কিম মজুমদারের (৬০) ১২ শতাংশ, মনিকা রাণীর (৪০) ৩০ শতাংশ, গোলাম রাব্বানীর (২০) ৯ শতাংশ, বিকাশ মজুমদার (১৬), খাতিজার (২৭) ১৫ শতাংশ এবং বশিরের (৩৫) শরীরের ৬ শতাংশ পুড়ে গেছে। শুক্রবার রাতে আহত হাবিব খান (৪৫) মারা যান।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন এসএম আইয়ুব হোসেন জানান, রাত সাড়ে ১১টার দিকে হাবিব শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
উল্লেখ্য শুক্রবার ভোরে ঝালকাঠি সদর উপজেলার উপকূলে সুগন্ধা নদীর মাঝখানে অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে ৩৯ যাত্রী দগ্ধ ও ৭২ জন আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
২ বছর আগে
মুন্সীগঞ্জে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ২ ভাইবোনের মৃত্যু
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার চরমুক্তারপুরের একটি ভবনে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ দুই ভাইবোনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে তাদের মৃত্যু হয়।
নিহতরা হলো, ইয়াসিন (৬) ও ফাতেমা (৩)। নিহতের মা শান্তা বেগমের (২৭) শরীরের ৫৫ শতাংশ পুড়ে গেছে এবং বাবা কাওসার খানের (৩৬) ৬০ ভাগ পুড়ে গেছে। তারা বর্তমানে শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন আছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার ভোর রাত সাড়ে ৪টার দিকে শহরের চর মুক্তারপুরের শাহ সিমেন্ট রোডে জয়নাল মিয়ার চারতলা ভবনের দ্বিতীয় তলার তিনটি কক্ষে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে একই পরিবারের চারজনসহ পাচঁ জন দগ্ধ হন। অপর দগ্ধ প্রতিবেশী হৃতিকা পালকে (৪) স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মুন্সিগঞ্জে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৪ সদস্য দগ্ধমুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি )তদন্ত রাজিব খান জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে গ্যাস লিকেজ হয়ে কক্ষে জমে থাকা গ্যাস থেকে এই বিস্ফোরণ ঘটে। তবে প্রকৃত কারণ উদঘাটনে তদন্ত চলছে। সিআইডি পুলিশের সংশ্লিষ্ট টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
তবে তিতাস গ্যাসের সহকারি কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম তুহিন বলেন, গ্যাস লিগেজের কোন প্রমাণ মিলেনি। রান্নার পরে চুলোর গ্যাস বন্ধ না করার কারণেও এই বিস্ফোরণ হতে পারে।মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ হাসিব সরকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, ঘটনাটি মর্মান্তিক। তবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বিস্ফোরণের সঠিক কারণ।
আরও পড়ুন: মুগদা অগ্নিকাণ্ড: পরিবারের সর্বশেষ আহত সদস্যের মৃত্যু
২ বছর আগে
কেরানীগঞ্জে গ্যাসের আগুনে একই পরিবারের দগ্ধ ৫
ঢাকার কেরানীগঞ্জে গ্যাসের আগুন রুমে ছড়িয়ে পড়ে একই পরিবারের পাঁচ জন সদস্য দগ্ধ হয়েছে। মঙ্গলবার কেরানীগঞ্জে মডেল থানার জিনজিরা তাওয়াপট্টি রোড এলাকায় আহম্মদ হোসেনের বাড়ির তৃতীয় তলায় এ ঘটানা ঘটে।
দগ্ধরা হলেন, জুলহাস (৫৫), তার স্ত্রী শাহিদা বেগম (৫০), ছেলে আতিকুর রহমান (২২) অপর ছেলে এনামুল (১৯) ও মেয়ে তানজিলা (১৪)।
আরও পড়ুনঃ রান্নাঘরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে সিলেটে নারীসহ আহত ৬
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানা, সকালের নাস্তা তৈরি করার জন্য গ্যাসের চুলা জালালে মুহূর্তেই আগুন রুমে ছড়িয়ে পড়ে। এসময় ওই পাঁচজন সদস্য আগুনে দগ্ধ হয়। এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিট হাসপাতালে ভর্তি করেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আহতদের ৩০ ভাগ থেকে ৫৫ ভাগ পর্যন্ত শরীর দগ্ধ হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ বরগুনায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত ১, আহত অর্ধ শতাধিক
ঘটনার পরপর কেরানীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি দল এসে ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছে। তাদের দাবি গ্যাস লাইনের রাইজার নষ্ট হওয়ার কারনে চুলায় গ্যাসে চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় এ ঘটনা ঘটেছে।
এ ব্যাপারে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে বলে ওসি জানিয়েছেন।
৩ বছর আগে
না’গঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণ: সরকারের সহায়তা চান স্বজনহারারা
সরকারের পক্ষ থেকে নিহত পরিবার প্রতি ৫০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের পশ্চিম তল্লা এলাকার বায়তুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণে হতাহত পরিবারের সদস্যরা।
৪ বছর আগে
অগ্নিদগ্ধ সাংবাদিক নান্নু মারা গেছেন
দৈনিক যুগান্তরের অপরাধ বিভাগের প্রধান এবং ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্র্যাব)-এর সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন নান্নু অগ্নিদগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
৪ বছর আগে