বসতঘর
বসতঘরে লাগা আগুনে পুড়ে নারীর মৃত্যু
শেরপুর নালিতাবাড়ীতে নিজের ঘরে লাগা আগুন পুড়ে ফাতেমা খাতুন নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (১৯ মে) দিবাগত রাতে উপজেলার কলসপাড় ইউনিয়নের সূর্যনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নারীর মৃত্যু
নিহত ৯০ বছর বয়সী নারী ফাতেমা ওই গ্রামের মৃত আমিনুল হকের স্ত্রী।
নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল আলম ভুঁইয়া বলেন, ৯০ বছর বয়সী নারী একাই ওই বসত ঘরে বাস করতেন।
ধারণা করা হচ্ছে, শনিবার দিবাগত রাতে কুপির বাতি থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে বসত ঘরে পুড়ে মারা যান ফাতেমা।
ওসি আরও বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে রবিবার দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে ফাতেমার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতাল মর্গে
এ ঘটনায় নালিথাবাড়ী থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যু
৫ মাস আগে
কুড়িগ্রামে আগুনে বসতঘরসহ গরু পুড়ে ছাই
কুড়িগ্রামে আগুনে পুড়ে সাইদুল ও মাইদুল ইসলাম নামে দুই দিনমজুরের ৫টি বসতঘর ও ৬টি গরু পুড়ে মারা গেছে।
শুক্রবার রাত ৯ টার দিকে জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার ভিতরবন্দ ইউনিয়নে ঝাকুয়াবাড়ি গ্রামে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
এতে প্রায় ১২ লাখ টাকার ক্ষতির দাবি করছে পরিবারগুলো। ঘরবাড়ি পুড়ে যাওয়া নিঃস্ব হওয়া পরিবারটির পাশে আর্থিক সহায়তা করেছে উপজেলা প্রশাসন।
আরও পড়ুন: ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে প্রাইভেটকারে আগুন
পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, পরিবারের লোকজন শুক্রবার ঈদের দাওয়াত খেতে গেলে রাত ৯ টার দিকে সাইদুলের গোয়ালঘর থেকে হঠাৎ আগুন দেখতে পায় স্থানীয়রা।
পরে তারা দৌড়ে এসে আগুন নেভাতে চেষ্টা করা হলেও এতে দুই পরিবারের থাকার বসতঘর ও গোয়ালঘরে থাকা ৬টি গরু পুড়ে মারা যায়। কীভাবে আগুন লেগেছে কেউ জানে না।
স্থানীয় শিক্ষক আমিনুর রহমান বলেন, সাইদুলের বাড়িতে হঠাৎ আগুন দেখতে পেয়ে আমরা ছুটে গিয়ে দেখি গোয়াল ঘরে গরু ও বসতঘরসহ আসবাব পত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
ভিতরবন্দ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শফিউল আলম শফি বলেন, আগুনে পুড়ে যাওয়া পরিবার দুইটিকে ইউএনও স্যারসহ আমি দেখে আসছি। পরিবার দুইটিকে সব প্রকার সহযোগিতা করার চেষ্টা করছি।
নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও মো. সিব্বির আহমেদ বলেন, আগুনে পুড়ে যাওয়া পরিবারগুলোকে উপজেলা প্রশাসন থেকে আর্থিক সহায়তা করেছে এবং পরবর্তী জেলা প্রশাসন থেকে সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন তিনি।
আরও পড়ুন: ভাষানটেকে আগুনে একই পরিবারের ৬ জন দগ্ধ
ঢাকার হাজারীবাগে বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে
৬ মাস আগে
মৌলভীবাজারে আগুনে পুড়ে এক নারীর মৃত্যু
মৌলভীবাজারে বসতঘরে আগুন লেগে নূরজাহান বেগম নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছেন। এ সময় দুইটি গরু ও একটি ছাগল পুড়ে মারা যায়।
সোমবার (১ এপ্রিল) সকালে রাজনগরে প্রবাসী মিন্টু মিয়ার বাড়ির কেয়ারটেকার ময়না মিয়ার বসত ঘরে ঘটনাটি ঘটে গতকাল
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪০ ছুঁই ছুঁই
নিহত নারী নূরজাহান বেগম ৬ সদস্যদের পরিবার নিয়ে প্রবাসীর বাড়িতে একটি টিনশেডের ঘরে থাকতেন।
স্থানীয়রা জানায়, ময়না মিয়ার পরিবারের সবাই সেহেরি খেয়ে ঘুমানোর পর বসতঘরে আগুন লাগে। এসময় প্রাণে বাঁচতে পরিবারের ছয় সদস্যের মধ্যে পাঁচজন বের হতে পারলেও নূরজাহান বের হতে পারেননি। তিনি ঘরের ভেতরেই দগ্ধ হয়ে মারা যান।
খবর পেয়ে রাজনগর ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং নূরজাহানের লাশ উদ্ধার করে। তবে কী কারণে আগুন লেগেছে তা এখনো নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি।
রাজনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুস ছালেক বলেন, আগুন লাগার কারণ বের করতে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ তদন্ত করছে।
আরও পড়ুন: সৌদি থেকে ফিরে পরিবারের খোঁজে সরোয়ার
ঝিনাইদহে ইটভাটার ট্রাক্টর চাপায় কলেজশিক্ষক নিহত
৭ মাস আগে
বগুড়ায় বস্তিতে আগুনে পুড়ল ১৪টি বসতঘর
বগুড়া শহরের চেলোপাড়ার রেললাইন সংলগ্ন বস্তিতে আগুনে অন্তত ১৪টি বসত-বাড়ি পুড়ে গেছে। এর মধ্যে মুসলিম উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি ও তার ৮ সন্তানের ১০টি ঘর ছিল।
সোমবার (১১ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে ওই অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে আগুনে পুড়ল ৮ দোকান, কোটি টাকার বেশি ক্ষতি
বগুড়া ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক খন্দকার আব্দুল জলিল বলেন, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে খবর পেয়ে চারটি ইউনিট আগুন নেভাতে সক্ষম হয়।
বগুড়া সদর থানার নারুলী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর তরিকুল ইসলাম জানান, ফায়ার সার্ভিস এবং স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আগুন দ্রুত নেভানো সম্ভব হলেও ঘরে রাখা জিনিসপত্র রক্ষা করা সম্ভব হয়নি।
বগুড়ার জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম জানান, মুসলিম উদ্দিনকে বসবাসের জন্য অনেক আগেই জেলার সারিয়াকান্দি উপাজেলায় ‘বীর নিবাস’ নামে একটি বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তিনি সেখানে না থেকে শহরের ওই বস্তিতে বসবাস করেন। আমরা মুসলিম উদ্দিনকে তার বাড়িতে ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেছি। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি-ঘর নেই এমন পাঁচজনকে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাড়ি-ঘরে বসবাস করতে বলা হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে মুসলিম উদ্দিনের কন্যা সাহেরা বেগম জানান, আগুনে তার ঘরে রাখা নগদ দেড় লাখ টাকা পুড়ে গেছে।
তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার মেয়ের বিয়ের জন্য টাকাগুলো ঘরে রেখেছিলাম। কিন্তু আগুনে সব শেষ হয়ে গেল।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ফের আগুন, এবার দুটি গরুসহ পুড়ল ১৮ ঘর
কুষ্টিয়ায় আগুনে পুড়ল রেস্তোরাঁ
৭ মাস আগে
চাঁদপুরে ৪ ভাইয়ের বসতঘর পুড়ে ছাই, দগ্ধ ৬
চাঁদপুর শহরতলীতে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীসহ চার ভাইয়ের চারটি বসতঘর পুড়ে গেছে। এসময় আগুন নেভাতে গিয়ে ছয়জন দগ্ধ হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাতে ৮টার দিকে (১৩ নম্বর ওয়ার্ড) খলিশাঢুলী বরকন্দাজ বাড়িতে রান্নাঘরের চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে মুদি দোকানে আগুনে পুড়ে কিশোর নিহত, দগ্ধ-২
ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন- সোহেল, রুবেল ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী দুই ভাই মোতালেব, আলমগীর।
দমকল কর্মকর্তা মোহাম্মদ সানাউল্লাহ জানান, আগুন লাগার মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে চাঁদপুর ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট এসে এক ঘণ্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
তিনি আরও জানান, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১০ লাখ টাকা হবে বলে প্রাথমিক হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে।
খবর পেয়ে সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম আজাদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: প্রাক্তন স্বামীর আগুনে দগ্ধ চিকিৎসকের খোঁজ নিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ভাসানচরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দগ্ধ ৯
৮ মাস আগে
চট্টগ্রামে আগুনে পুড়ে গেছে ১৮ বসতঘর, ৫ জন দগ্ধ
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় আগুন লেগে ১৮টি বসতঘর পুড়ে গেছে। এ সময় আগুনে পুড়ে দগ্ধ হয়েছে শিশুসহ পাঁচজন।
রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নে উত্তর পরুয়া পাড়া ১ নম্বর ওয়ার্ডে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে এ আগুন লাগে।
দগ্ধরা হলেন- মো. হেলাল (৩৫), মো. জামাল (৪৫), শিশু নিহা (১৩), হাসান (১০) ও তানিয়া (৫)। তাদের সবাইকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
ইউপি সদস্য মো. ইসহাক জানান, রবিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে আগুনে ১৮টি বসতঘর পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। অগ্নিকাণ্ডে শিশুসহ পাঁচজন দগ্ধ হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ জামাল, মোহাম্মদ হেলাল, আবুল কালাম, আবুল কাসেম, আজগর আলী, আমজাদ হোসেন, আনোয়ার, আব্দুস সত্তার, মোহাম্মদ মামুন, মোহাম্মদ আমির, মোহাম্মদ জসিম, কাইয়ুম, মোহাম্মদ সেলিম, নুরুল হক, আব্দুল হক, জাহানারা বেগম, আব্দুস সালাম ও মোহাম্মদ ইউসুফের পরিবার।
আনোয়ারা ফায়ার স্টেশনের ইনচার্জ মং সুইন্যু মারমা বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে প্রায় আধ ঘণ্টা সময় লাগে। একটি ইউনিটের ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি।
৮ মাস আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আগুনে গরুসহ বসতঘর পুড়ে ছাই
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে আগুনে গরুসহ বসতঘর পুড়ে ছাই হয়েছে।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার বুধন্তি ইউনিয়নের ইসলামপুরে এই আগুন লাগে। বিদ্যুতের তার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস।
আরও পড়ুন: বরিশালে অগ্নিকাণ্ডে ৪ বসতঘর পুড়ে ছাই
প্রত্যক্ষদর্শীর জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার বুধন্তি ইউনিয়নের ইসলামপুরে বিল্লাল হোসেনের ঘর ও পরে শামিম মিয়ার ঘরে আগুন লাগে। এসময় কয়েকটি গরুও আগুনে পুড়ে মারা যায়। এছাড়া প্রায় ১৫ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
বিল্লাল হোসেনের ছেলে বশির মিয়া জানান, ঘরের উপর কারেন্টের তার ছিঁড়ে পড়ে আগুন লেগেছে।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটি স্টেডিয়াম এলাকায় অগ্নিকাণ্ড: ১২টি দোকান পুড়ে ছাই
বিজয়নগর ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন নিয়াজী জানান, আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাহিনুর জাহান জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদানের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বস্তিতে আগুন, ৪০টি ঘর পুড়ে ছাই
ভৈরব পাদুকা মার্কেটে আগুন, জুতার কাঁচামাল পুড়ে ছাই
৯ মাস আগে
চট্টগ্রামে বসতঘরে আগুন লেগে বৃদ্ধের মৃত্যু
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে বসতঘরে আগুন লেগে সুখেন্দু কর্মকার (৬৫) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার চাম্বল ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কর্মকার পাড়া সুখেন্দু কর্মকার বাড়িতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী পারুল কর্মকার বলেন, ‘রাত ৮টার দিকে হঠাৎ আগুন দেখে আমরা দিশেহারা হয়ে পড়ি। বাড়িতে তখন কেউ ছিল না। আগুন দেখে দৌড়ে এসে ঘরের ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করেও আগুনের তীব্রতায় ঢুকতে পারিনি।’
তিনি আরও বলেন, হয়তো শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে। মুহূর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ে। পরে বিষয়টি ফায়ার সার্ভিসকে অবগত করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কিশোরের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার
বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ মো. আজাদুল ইসলাম বলেন, রাতে ‘অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। আমরা যাওয়ার আগেই স্থানীয় লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় একই পরিবারের ৪টি বসতঘর পুড়ে যায়। এ সময় অসুস্থ অন্ধ সুখেন্দু কর্মকার নামে এক ব্যক্তি আগুনে পুড়ে মারা যান। বৈদ্যুতিক তার থেকে শর্ট সার্কিট হয়ে এ আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে জানা গেছে।’
রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল খালেক পাটোয়ারী, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তোফায়েল আহমেদ।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ যুবক নিহত
চট্টগ্রামে গরু চোর সন্দেহে ৫ যুবককে গণপিটুনি
১০ মাস আগে
চাঁদপুরে বসতঘর থেকে ব্যবসায়ীর গলিত লাশ উদ্ধার
চাঁদপুর শহরের পুরান বাজার হরিসভা এলাকায় বসতঘর থেকে এক ব্যবসায়ীর গলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) দুপুরে ওই এলাকার রনাগোয়াল পণ্ডিত সাহার বাড়ি থেকে গলিত লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত ব্যবসায়ী সুজন সাহা (৩৫) পুরান বাজারের আড়ত ব্যবসায়ী ছিলেন। এছাড়া তিনি চাঁদপুর পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের সমির কান্তি সাহার ছেলে। তিন ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট। দীর্ঘ দিন ধরে একাই একটি একতলা বিল্ডিংয়ে বসবাস করছিলেন। তিনি অবিবাহিত এবং আলাদা ফ্লাটে থাকতেন।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় মাঠ থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
এদিকে ধারণা করা হচ্ছে, চার থেকে পাঁচ দিন ধরে লাশটি ওই ঘরে পড়েছিল।
খবর পেয়ে চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইয়াসির আরাফাত ও মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহসিন আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এ বিষয়ে ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আব্দুল মালেক শেখ বলেন, খবর পেয়ে বিষয়টি পুলিশকে জানাই।
সুজনের মেজো ভাই সুমন সাহা বলেন, সে একজন সফল ব্যবসায়ী ছিল। তার সঙ্গে অনেকের টাকা-পয়সা লেনদেন আছে। আমরা তিন ভাই সবাই আলাদা থাকায় তার সঙ্গে তেমন একটা যোগাযোগ হয় না।
এ বিষয়ে বড় ভাই ও পৌর হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি রিপন সাহা বলেন, আমার ভাইয়ের লাশটি কয়েকদিনের পুরানো বলে মনে হয়। কীভাবে মারা গেলো তা বলতে পারছি না। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি।
এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসা চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইয়াসির আরাফাত বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছি। সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি। আশা করছি, দ্রুতই বিস্তারিত উদঘাটন করা সম্ভব হবে।
এ সময় চাঁদপুর সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রাজ্জাক, পুরান বাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রাজিব শর্মাসহ পুলিশ ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় পুকুর থেকে দুদকের আইনজীবীর লাশ উদ্ধার
রাজধানীতে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতার লাশ উদ্ধার
১ বছর আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মায় ভাঙন, বিলীন হচ্ছে বসতঘরসহ আবাদি জমি
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ভাঙন শুরু হয়েছে।
সদর উপজেলার শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের ১৩ রশিয়া থেকে নারায়ণপুর ইউনিয়নের খলিফারচর পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এই ভাঙন দেখা দিয়েছে।
গত দুই সপ্তাহের ভাঙনে নদীগর্ভে চলে গেছে- অর্ধশতাধিক বসতভিটা, মসজিদ ও আবাদি জমি।
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্টকে পদ্মা সেতুর চিত্রকর্ম উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী
হুমকির মধ্যে রয়েছে- প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয়, বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র, হাট, কমিউনিটি ক্লিনিকসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের বসতভিটা ও ফসলি জমি।
ভাঙন অব্যাহত থাকায় নদী তীরের অনেকে তাদের বাড়িঘর অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন। ভাঙন কবলিত এই এলাকার মানুষের একটাই দাবি ভাঙনরোধে দ্রুত নদীতে বাঁধ নির্মাণ করা হোক।
জানা গেছে, পাশাপাশি অবস্থিত এই দুই উপজেলার দুটি ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে গত দুই-তিন বছর আগে পদ্মায় ভাঙন শুরু হয়।
ভাঙনে ঘরবাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদসহ বিপুল পরিমাণ ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।
তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে ভাঙনরোধে এখন পর্যন্ত কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বর্ষা মৌসুম এলেই এসব চরাঞ্চলের মানুষ থাকেন নদী ভাঙন আতংকে।
নারায়ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজির হোসেন জানান, পদ্মায় ভাঙনটা প্রায় সারা বছরই থাকে। কখনো কম আবার একটু বেশি। এখন এই যে বর্ষা আসলো এর তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আরও পড়ুন: গোয়ালন্দে অসময়ে পদ্মায় ভাঙন
বর্তমানে শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের ১৩ রশিয়া থেকে তার ইউনিয়নের খলিফারচর পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ভাঙন চলছে। গত ১৫দিনে তার ইউনিয়নে ৭/৮টা মত বসত ভিটা, কিছু আবাদি জমি নদীতে গেছে।
ভাঙন আতংকে নারায়ণপুর আদর্শ কলেজ ও নারায়ণপুর দারুল হুদা আলিম মাদরাসা সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। এখন ১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি উচ্চ বিদ্যালয়, বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র, হাট, ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, কমিউনিটি ক্লিনিকসহ অনেক বাড়িঘর ও আবাদি জমি হুমকির মধ্যে রয়েছে।
বর্তমানে এসব এলাকা থেকে নদী ১ কিলোমিটার দূরেও নাই।
তিনি আরও জানান, ১নং ওয়ার্ডের সরদারপাড়া, বাঘপাড়া, ঘোসপাড়া, মন্ডলপাড়া, ৪ নং ওয়ার্ডের পান্নাপাড়া, চটকপাড়া সবই নদী থেকে হাফ থেকে ১ কিলোমিটার দূরত্বে রয়েছে।
ভাঙনরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড দ্রুত ব্যবস্থা না নিলো একে একে সব পদ্মায় বিলীন হয়ে যাবে।
এদিকে পাঁকা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক জানান, দুই মাসের উপর থেকে দক্ষিণ পাঁকা তেরো রশিয়া এলাকায় একটু একটু করে ভাঙন চলছিলো। এখন পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ভাঙ্গনের তীব্রতা বেড়েছে। এরই মধ্যে বেশ কিছু বাড়ি নদীতে নেমে গেছে।
আরও পড়ুন: পদ্মায় ভাঙন রোধে ১০৭৭ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন
ভাঙন আতংকে আছে অনেকে। তাদের কেউ কেউ ঘরবাড়ি অন্য জায়গায় সরিয়ে নিচ্ছে।
স্থানীয় ইউপি মেম্বার রফিকুল ইসলাম জানান, বর্তমানে নদী ভাঙনের তীব্রতা বাড়ছে। এখন পর্যন্ত ৫০টি মত বসতভিটা নদীতে নেমে গেছে। নদী পাড়ের মানুষ এখন ভাঙন আতংকে দিন পার করছে। কেউ কেউ ভাঙনের ভয়ে ঘরবাড়ি অন্য জায়গায় সরিয়ে নিচ্ছে। এখন পর্যন্ত ৫০টি মত ঘরবড়ি অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেসুর রহমান জানান, কয়েক বছর থেকে ওই এলাকা ভাঙছে। বর্তমানে নদীতে পানি বাড়ছে। এবারও অল্পদিন থেকে হালকা ভাঙন শুরু হয়েছে।
পাঁকা ও নারায়ণপুর ইউনিয়নের মধ্যে প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে। পাঁকা ও নারায়ণপুর ইউনিয়নের ভাঙন প্রতিরোধে কাজ করার জন্য প্রকল্প প্রস্তাব উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দাখিল করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধে পর্যটক ও ভ্রমণকারীদের করণীয়
তবে এখনো কাজ করার কোনো অনুমতি এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। প্রকল্প অনুমোদন হলে ও অর্থ বরাদ্দ পাওয়া গেলেই কাজ শুরু করা হবে।
১ বছর আগে