বন্যাকবলিত
বন্যাকবলিত ১০ জেলায় ১২৩৫ মোবাইল টাওয়ার অকেজো: বিটিআরসি
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১০ জেলার ১৩ হাজার ৪৯১টি মোবাইল টাওয়ারের মধ্যে ১ হাজার ২৩৫টি অকেজো হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
জেলাগুলো হলো- নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও সিলেট।
ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মোবাইল অপারেটর এবং টাওয়ার অপারেটরদের পরিষেবাগুলো পুনরায় চালু করার জন্য সরঞ্জাম, জেনারেটর এবং জ্বালানি বহনের জন্য জাহাজ এবং স্পিডবোটসহ প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা দিচ্ছে।
তবে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত পানির নিচে তলিয়ে যাওয়া টাওয়ারগুলো সচল হবে না।
জেনারেটরের মাধ্যমে মোবাইল নেটওয়ার্ক পুনঃস্থাপিত হওয়ায় বন্যাকবলিত এলাকায় চার্জিং সুবিধাও দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
এদিকে মৌলভীবাজার ও সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতির কারণে টেলিযোগাযোগ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
তবে মোবাইল অপারেটর, টাওয়ার কো-অপারেটর ও কর্তৃপক্ষ মোবাইল নেটওয়ার্ক পুনরায় সচল করার চেষ্টা করছে।
৩ মাস আগে
ঘরের চাল ছুঁই ছুঁই পানি তবু পিপাসার্ত কুড়িগ্রামের বন্যাকবলিতরা
ঘরের চাল ছুঁই ছুঁই বন্যার পানি। পানির তোড়ে ভেসে গেছে বাড়ি-ঘর, ক্ষেতের ফসল আর সব। তবু পিপাসার্ত কুড়িগ্রামের বন্যাকবলিত এলাকার মানুষ। সুপেয় পানির অভাব তীব্র হচ্ছে দুর্গতদের মাঝে।
কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ের খেয়ার আলগা চরের বাসিন্দা সাহেরা বেগম বলেন, 'হামার ঘরত পানি উঠছে, মানুষের বাড়িত আশ্রয় নিছি আজ দুই দিন হলো। নদীর পানি আজ সকালেও এক হাত বাড়ছে। কিন্তু খাওয়ার পানির খুব কষ্ট হইছে।’
সদর উপজেলার চর যাত্রাপুর ইউনিয়নের পোড়ার চরের বাসিন্দা মতিয়ার রহমান বলেন, 'আজ পাঁচ দিন থেকে বন্যার পানিত খুব কষ্টে চলাচল করছি। নৌকা ছাড়া বের হতে পারছি না। যে হারে পানি বাড়তেছে জানি না কী হবে।’
সরেজমিনে দেখা গেছে, কুড়িগ্রামে সবগুলো নদ-নদীর পানি আবার বাড়তে শুরু করছে। জেলার নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়ে বন্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ফসলি জমি, আমন ধানখেত পানিতে তলিয়ে গেছে। কী দিয়ে কাটবে বছর, তারই চিন্তায় দিন কাটছে কৃষকদের।
এ ছাড়া, রাস্তা-ঘাট তলিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছে মানুষ।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে তিস্তার ভাঙনে ৫০টি বাড়ি বিলীন
১ বছর আগে
মঙ্গলবার থেকে পানি কমতে শুরু করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
আগামী মঙ্গলবার থেকে দেশের বন্যাকবলিত এলাকা থেকে পানি কমতে থাকবে এবং টানা তিনদিন কমবে বলে জানিয়েছেন ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘আবহাওয়া অধিদপ্তর ও বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র থেকে আমরা যে বার্তা পেয়েছি সেখানে বলা হয়েছে সোমবার পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকবে। মঙ্গলবার থেকে পানি কমতে থাকবে এবং টানা তিনদিন কমবে।’
রবিবার (১৯ জুন) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী জানান, বিভিন্ন জায়গায় মানুষ আটকে পড়ে আছে। সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি সামান্য উন্নতি হয়েছে কিন্তু সুনামগঞ্জে পরিস্থিতি এখনও অপরিবর্তিত আছে। একই সাথে হবিগঞ্জ, মৌলভিবাজারে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।
সিলেট-সুনামগঞ্জের বন্যাকবলিত এলাকা থেকে প্রায় এক লাখ পানিবন্দি মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে জানিয়ে এনামুর রহমান বলেন, সিলেট জেলার ৬০ এবং সুনামগঞ্জের প্রায় ৯০ শতাংশ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। প্রায় ৪০ লাখ মানুষ পানিবন্দি আছেন। এদের উদ্ধারে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড এবং ফায়ার সার্ভিস স্পিড বোট নিয়ে উদ্ধার কাজ করছে। সবশেষ খবর অনুযায়ী সেনাবাহিনীর ৩২, নৌবাহিনীর ১২ এবং ফায়ার সার্ভিসের ৪টি বোট কাজ করছে দু জায়গায়। এরই মধ্যে তারা প্রায় এক লাখ মানুষকে উদ্ধার করে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে এসেছে।
পড়ুন: পানিবন্দি ২ লাখ মানুষ, কুড়িগ্রামে বাড়ছে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা নদীর পানি
তিনি বলেন এর মধ্যে সুনামগঞ্জে ৭৫ হাজার আর সিলেটে ৩০ হাজারের মতো মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। নিখোঁজের কোনো তথ্য এখনও আমরা পাইনি। গতকালের পর থেকে কোনো ক্যাজুয়ালটিও হয় নি।
বন্যায় এখন পর্যন্তু দু’জনের মৃত্যু হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রাণহানি আমরা দু’জনের খবর পেয়েছি, একজন এসএসসি পরীক্ষার্থী সে স্রোতে ভেসে গেছে আরেকজন বয়স্ক ব্যাক্তি বিদ্যুৎস্পর্শে মারা গেছেন।
সোমবারের পর থেকে সিলেট সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও উত্তরাঞ্চলে অবনতি হতে পারে বলে ধারণা করছেন ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘এ সময় উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চল বা ভাটির দিকে অবনতি হবে। আরও নতুন করে যে জেলাগুলোতে বন্যা দেখা দিয়েছে সেগুলো হলো রংপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, নীলফামারী, নেত্রকোণা, কিশোরগঞ্জ, শেরপুর, জামালপুর, মৌলভিবাজার ও হবিগঞ্জ। এখন ১২টি জেলা বন্যাকবলিত। প্রায় ৭০টি উপজেলায় বন্যা রয়েছে। এটা বাড়ছে। উত্তর পূর্বাঞ্চলে কমবে কিন্তু উত্তরাঞ্চলে বন্যা বাড়বে কারণ ব্রহ্মপুত্র, ধরলা তিস্তা নদীর পানি বাড়ছে। এর ফলে ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা বেসিনে যে সব জেলা আছে সেগুলো বন্যাকবলিত হচ্ছে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গতকাল পর্যন্ত আমরা একেকটি জেলায় ৮০ লাখ টাকা দিয়েছিলাম, আজ আরও ৫০ লাখ করে দিয়েছি। সিলেট ও সুনামগঞ্জে মোট এক কোটি ৩০ করে ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যে জেলাগুলো নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে সেগুলোতে আমরা ১০ লাখ টাকা, ১০০ মেট্রিক টন চাল আর ৪ হাজার প্যাকেট করে শুকনা খাবার আমরা এরই মধ্যে পাঠিয়ে দিয়েছি।
তিনি বলেন, যে সংখ্যায় বন্যাকবলিত হয়েছে এখানে আরও ত্রাণ দরকার। কিন্তু আমরা যেটা দিচ্ছি বিতরণ করে পারছে না। এ কারণে সাপ্লাইয়ের একটি কনটিনিউয়াস চেইন মেইনটেইন করা হচ্ছে। গতকাল প্রধানমন্ত্রী আমাদের আরও ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত জিআর চাল আছে, শুকনা খাবারও আছে। যখন যেখানে প্রয়োজন সেখানে আমরা দেব।
পড়ুন: সুনামগঞ্জে আটকা পড়া ২১ ঢাবি শিক্ষার্থীসহ উদ্ধার প্রায় ১০০
বন্যার ক্ষতি এড়াতে ভারতের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী পররাষ্ট্রমন্ত্রী
২ বছর আগে
বন্যাকবলিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
সিলেটের বন্যাকবলিত মানুষদের সহায়তা কাজে যুক্ত হওয়ার জন্য এবং বন্যার পানিতে আটকে পড়াদের উদ্ধারে সরকারের সঙ্গে হাত মেলাতে সবাইকে আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, প্রশাসন বন্যাকবলিত অঞ্চলে পানিবন্দি মানুষকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক স্পিডবোট ও নৌযান মোতায়েন করছে।
শুক্রবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে দেয়া এক ভিডিও বার্তায় সিলেট অঞ্চলের সব বন্যা দুর্গত মানুষের জন্য সরকারি সহায়তা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
ত্রাণ ও শুকনো খাবারের কোনো ঘাটতি না থাকায় তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও নেতাদের স্বেচ্ছায় রান্না করা খাবার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে পৌঁছে দেয়ার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: বন্যা পরিস্থিতির অবনতিতে ওসমানী বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠা-নামা বন্ধ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এসএসসি পরীক্ষা নিয়ে সেখানকার শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ ছিল, কিন্তু আপাতত তা স্থগিত করা হয়েছে। সিলেট সিটি করপোরেশন কুমারগাঁও বিদ্যুৎ সাবস্টেশনকে বন্যার হাত থেকে রক্ষা করতে না পাড়ায় অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ বিঘ্নিত হয়েছে।’
মোমেন বলেন, সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয় যৌথভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের একটি শিক্ষা দিচ্ছে, কারণ আমরা খাল, হাওর, বিলের মতো জলাশয়গুলো দখল করেছি। যার কারণে বন্যা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়েছে, তাই এগুলোর ড্রেজিংয়ের প্রয়োজন।’
এদিকে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলার বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
আরও পড়ুন: সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হওয়ার শঙ্কা
দেশের ১৩টি নদ-নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এবং আগামী ২৪ ঘণ্টায় তিস্তার পানি বিপদসীমার কাছাকাছি বা ওপরে থাকতে পারে।
এতে বলা হয়েছে, লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে।
ছাতক ও সুনামগঞ্জ গ্রিড সাবস্টেশন বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় দুর্ঘটনা এড়াতে সুনামগঞ্জ জেলা ও এর আশেপাশের এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
অপরদিকে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় আগামী ২৫ জুন পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি)।
শুক্রবার সকালে এক জরুরি সিন্ডিকেট সভায় শাবিপ্রবি কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নেয়।
এছাড়া প্রবল বন্যা নিয়ন্ত্রণে সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় সেনা মোতায়েন করা হয়েছে বলে আইএসপিআরের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বন্যা পরিস্থিতির অবনতিতে এসএসসি পরীক্ষা স্থগিত
২ বছর আগে
সিরাজগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি, নতুন এলাকা প্লাবিত
প্রবল বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় সিরাজগঞ্জের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে। বর্তমানে যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৬৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যমুনার তীরবর্তী জেলার পাঁচটি উপজেলার নিম্নাঞ্চল বন্যাকবলিত হয়েছে এবং নতুন নতুন অঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। এতে চরাঞ্চলসহ নিম্নাঞ্চলের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ায় দুঃখ দুর্দশা বাড়ছে।
এদিকে বাড়িঘরে পানি উঠায় চরাঞ্চলের পানিবন্দি মানুষেরা কলা গাছের ভেলা নৌকা ও ঘরের ভিতর মাচল করে বসবাস করছে। বিশুদ্ধ পানির ও জ্বালানির অভাবে তারা খাবার রান্না করতে না পেরে নিদারুণ কষ্টে দিনাতিপাত করছে। সেইসাথে শিশু খাদ্যের সংকটে তাদের জীবন-যাপন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। গো-খাদ্যের অভাবে গবাদি পশু নিয়ে দুশ্চিন্তায় বন্যার্ত মানুষেরা। সাপ-পোকামাকড়ের ভয়ে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে বানবাসি মানুষের জীবন।
সিরাজগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম জানান, জেলার সদর, কাজিপুর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলায় ১’শ মেট্রিক টন চাল ও ১ লাখ করে টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়া ৭৬ মেট্রিক টন চাল ও আড়াই লাখ টাকা মজুদ রাখা হয়েছে। বরাদ্দকৃত চাল ও নগদ অর্থ বিতরণ করা হচ্ছে এবং কোন এলাকায় ত্রাণের প্রয়োজন রয়েছে কি না তার খোঁজখবর রাখা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাদ্য সহায়তা বিতরণ শুরু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনায় সিরাজগঞ্জের এমপি স্বপনের মৃত্যু
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী (হেড কোয়ার্টার) জাকির হোসেন জানান, উজানের ঢল ও দফায় দফায় বর্ষণে যমুনার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যেই যমুনার তীরবর্তী শাহজাদপুর, বেলকুচি, চৌহালী, কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার নিম্নাঞ্চল বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে এবং প্লাবিত হচ্ছে আরও নতুন নতুন অঞ্চল। এসব অঞ্চলের অনেক কাঁচা ও পাকা সড়ক বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ডুবে গেছে আঁখ, আউশ রোপা, তিল ও সবজি বাগানসহ বিভিন্ন ফসল।
৩ বছর আগে
৩৩ জেলার পৌনে ১০ লাখ মানুষ পানিবন্দী, ক্ষতিগ্রস্ত ৫৪ লাখ
অতিবর্ষণ জনিত কারণে সৃষ্ট বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে এ পর্যন্ত ১১ হাজার ৭৫০ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করেছে সরকার।
৪ বছর আগে
গত ২৪ ঘণ্টায় আটজনসহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৬৯
সারা দেশে চলমান বন্যায় শুক্রবার পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় আরও আটজনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে বন্যায় নিহতে সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৬৯ জন।
৪ বছর আগে
সিরাজগঞ্জে সাকিব আল হাসান ফাউন্ডেশনের ত্রাণ বিতরণ
সিরাজগঞ্জে বন্যাকবলিত এলাকায় র্যাব-১২ ও সাকিব আল হাসান ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে বন্যার্ত মানুষের মাঝে বৃহস্পতিবার ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
৪ বছর আগে