পার্বত্য জেলা
৩১ অক্টোবর পর্যন্ত তিন পার্বত্য জেলা এড়িয়ে চলতে পর্যটকদের প্রতি অনুরোধ
নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে ৮ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত পার্বত্য জেলা বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতে ভ্রমণ থেকে বিরত থাকার জন্য পর্যটকদের অনুরোধ করেছে জেলা প্রশাসন।
খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. শহিদুজ্জামান বলেন, খাগড়াছড়িতে সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটির ঝুলন্ত সেতু পানির নিচে, হতাশ পর্যটকরা
পরিস্থিতি বিবেচনায় পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অক্টোবরের শেষ পর্যন্ত স্থানীয় পর্যটনের স্থানগুলোতে যেতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর ও ১ অক্টোবর খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি জেলায় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে, এতে বেশ কয়েকটি ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
আরও পড়ুন: সাজেক থেকে ফেরার পথে চালকসহ তিন পর্যটককে অপহরণের চেষ্টা
২ মাস আগে
৬ সপ্তাহের মধ্যে পার্বত্য তিন জেলার ইটভাটা ধ্বংসের নির্দেশ হাইকোর্টের
পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে আনতে আগামী ছয় সপ্তাহের মধ্যে পার্বত্য তিন জেলা-বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটির ১৩০টি অবৈধ ইটভাটা ও এর আনুষঙ্গিক স্থাপনা গুড়িয়ে দিয়ে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সাথে এসব অবৈধ ইটভাটার মালিকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরসহ যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
পরিবেশের ক্ষতি ও দূষণ থেকে রক্ষায় প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে পরিবেশ ও মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) করা রিট আবেদনের শুনানি করে সোমবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি ফাতেমা নাজিবের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিরেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
রিট আবেদনের পক্ষের আইনজীবী মনজিল মোরশেদ সাংবাদিকদের বলেন, ইটভাটা নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৩ অনুসারে অবৈধ ইটভাটা পরিচালনার সর্বোচ্চ শাস্তি ২ বছরের কারাদণ্ড। তারপরও অবৈধভাবে বিভিন্ন জেলায় ইটভাটা পরিচালিত হচ্ছে। এতে পরিবেশ দূষণের সৃষ্টি হচ্ছে। এজন্য রিট করেছিলাম।
আরও পড়ুন: ৫ জেলার অবৈধ ইটভাটা ধ্বংসের নির্দেশ হাইকোর্টের
তিনি বলেন, হাইকোর্ট আজ পার্বত্য তিন জেলায় অবৈধভাবে পরিচালিত ১৩০টি ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া এসব ইটভাটার মালিকদের রিুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে তিন পার্বত্য জেলার জেলা প্রশাসকরা অবৈধভাবে পরিচালিত ইটভাটার বিষয়ে হাইকোর্টে পৃথক প্রতিবেদন দাখিল করেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রাঙামাটিতে ২৫টি, খাগড়াছড়িতে ৩৫টি ও বান্দরবানে ৭০টি অবৈধ ইটভাটা চলছে। এছাড়া স্থানীয় প্রশাসন তিন জেলায় মোট ৬৪টি অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়ের মাধ্যমে এ সংক্রান্ত পৃথক তিনটি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করে জানান, এই তিন জেলার বিভিন্ন জায়গায় ১৩০টি অবৈধ ইটভাটা আছে।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ ৫ জেলায় অবৈধ ইটভাটা ৩১৯, একেবারে বন্ধ ৯৫টি
২ বছর আগে
বৃষ্টি না হওয়ায় দিন দিন কমে যাচ্ছে কাপ্তাই হ্রদের পানির স্তর
রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলায় টানা খরা চলছে। বৃষ্টি না হওয়ায় কাপ্তাই লেকে পানির স্তর দিন দিন কমে যাচ্ছে। লেকে পানি কম থাকায় কাপ্তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদনও কমে যাচ্ছে।
কাপ্তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দায়িত্বশীল একটি সুত্র থেকে জানা যায়, বিদ্যুৎ কেন্দ্রের রুলকার্ভ (পানির পরিমাপ) অনুযায়ী বর্তমানে মঙ্গলবার কাপ্তাই হ্রদে পানি রয়েছে ৭৫.১২ ফুট মীন সী লেভেল (এমএসএল)। কিন্তু রুলকার্ভ অনুযায়ী হ্রদে এই মুহুর্তে (১৮ মে) পানি থাকার কথা ৭৯ ফুট এমএসএল। প্রয়োজনের তুলনায় কাপ্তাই হ্রদে বর্তমানে ৪ ফুট পানি কম রয়েছে।
আরও পড়ুন: কাপ্তাই হ্রদের মৎস্যজীবীদের জন্য আরও ৪৩৯.১২ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ
হ্রদের পানি কম থাকায় কাপ্তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদনও কমিয়ে আনা হয়েছে।
দায়িত্বশীল সুত্র জানায়, কাপ্তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫টি জেনারেটরের মধ্যে ৪টি বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য সম্পুর্ণ প্রস্তুত রয়েছে। ২ নম্বর জেনারেটরটি রক্ষনাবেক্ষনের কাজের জন্য বর্তমানে বন্ধ রাখা হয়েছে। ৪টি জেনারেটর প্রস্তুত থাকা সত্বেও বিদ্যুৎ উৎপাদনে রয়েছে ১টি মাত্র জেনারেটর। এই জেনারেটর থেকে বর্তমানে ২৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হচ্ছে। স্বাভাবিকের চেয়ে লেকে পানি কম থাকায় বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম থাকা সত্বেও ৩, ৪ ও ৫ নম্বর জেনারেটর চালানো সম্ভব হচ্ছেনা।
আরও পড়ুন: কাপ্তাই হ্রদে আগামী ৩ মাস মাছ ধরা নিষিদ্ধ
কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী এটিএম আব্দুজ্জাহের কাপ্তাই লেকে পানি কম থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, কাপ্তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সক্ষমতা থাকা সত্বেও হ্রদের পানি কম থাকায় সব জেনারেটর সচল রেখে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানো যাচ্ছেনা।
অচিরেই ভারি বৃষ্টি হবার আশা প্রকাশ করে ব্যবস্থাপক বলেন, বৃষ্টি হলে কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে। তখন সব জেনারেটর চালু করা গেলে বিদ্যুৎ উৎপাদনও বাড়ানো সম্ভব হবে।
সুত্র জানায় কাপ্তাইয়ে মোট ২৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে। কাপ্তাই লেকে ৯০ ফুট এসএমএলের উপর পানি থাকলে এবং সবগুলো জেনারেটর একযোগে চালানো সম্ভব হলে এই কেন্দ্র থেকে ২৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে।
জানা গেছে, কাপ্তাই থেকে উৎপাদিত বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ প্রতি ইউনিট মাত্র ২৫ পয়সা। বাংলাদেশে আর কোথাও এত কম খরচে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়না বলেও সুত্র নিশ্চিত করেছে।
৩ বছর আগে
রাজগুরু বৌদ্ধ বিহারের মূর্তিটি ৮০০ বছরের পুরনো
বান্দরবানের রাজগুরু বৌদ্ধ বিহারে রক্ষিত বুদ্ধমূর্তিটি ৮০০ বছরের পুরনো বলে জানিয়েছে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর।
৪ বছর আগে
পার্বত্য তিন জেলায় জনপ্রিয় পাহাড়ী খাবার ‘বাঁশ কড়ুল’
অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি দেশের পার্বত্য অঞ্চল। যেখানে প্রকৃতি তার নিজস্ব নিয়মে রূপ ও সৌন্দর্য পরিবর্তন করে। প্রাকৃতিক বৈচিত্রের পাশাপাশি পার্বত্য অঞ্চলে খুঁজে পাওয়া যাবে নানান বর্ণের মানুষ, নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি ছাড়াও যাদের খাবারেও রয়েছে বৈচিত্র।
৪ বছর আগে