নারী ও শিশু
ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ বন্ধ করুন, নারী ও শিশুদের বাঁচান: বিশ্ব নেতাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যকার সর্বশেষ যুদ্ধসহ সব ধরনের যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা এসব যুদ্ধ চাই না। একজন নারী রাজনীতিবিদ বা নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নয়, একজন মা হিসেবে আমি বিশ্ব নেতাদের এই যুদ্ধগুলো বন্ধ করার আহ্বান জানাবো।’
তিনি বলেন, ‘অস্ত্র ও অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধ করুন, কারণ এগুলো নারী ও শিশুদের জন্য সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে স্ট্যান্ডার্ড এভিয়েশন নেভিগেশন সার্ভিসের জন্য আইসিএওর সহায়তা কামনা প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধানমন্ডিতে নবনির্মিত ১২ তলা জয়িতা টাওয়ার উদ্বোধন শেষে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন।
তার সরকারি বাসভবন গণভবনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, এই মুহূর্তে সারাবিশ্বে সবাই যুদ্ধের হাহাকার দেখছে।
তিনি বলেন, ‘আগে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, এখন ইসরাইল ফিলিস্তিনে হামলা চালিয়েছে এবং ইসরায়েল ইতোমধ্যে ফিলিস্তিনের অর্ধেকেরও বেশি দখল করে নিয়েছে।’
তিনি উল্লেখ করেছেন যে তার পরিবারের সদস্যদের ও তার যুদ্ধ ও হত্যাকাণ্ড নিয়ে ভয়াবহ অভিজ্ঞতা রয়েছে।
আরও পড়ুন: গণভবনে বঙ্গবন্ধুর বায়োপিকের শিল্পী ও কলাকুশলীদের নিয়ে নৈশভোজের আয়োজন প্রধানমন্ত্রীর
তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় আমরা দখলদার বাহিনীর হাতে বন্দী ছিলাম এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর আমরা শরণার্থী জীবনের নৃশংসতা দেখেছি।’
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি সচিব নাজমা মোবারেক এবং জয়িতা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফরোজ খান অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী ধানমন্ডি ২৭ নম্বরে গিয়ে জয়িতা টাওয়ারের উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করেন এবং জয়িতা টাওয়ারে জামদানি গ্যালারি ও জয়িতা মার্কেট প্লেসের উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ নিয়ে ডাকটিকিট প্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর
১ বছর আগে
অবিলম্বে ২০০ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বহনকারী নৌকা উদ্ধার করুন: দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় সংসদ সদস্যদের আহ্বান
দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় সংসদ সদস্যরা আসিয়ানের সদস্য রাষ্ট্র ও এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশগুলোকে নারী ও শিশুসহ ২০০ জন রোহিঙ্গা শরণার্থী বহনকারী একটি নৌকাকে জরুরি ভিত্তিতে উদ্ধার করার আহ্বান জানিয়েছেন। যেটি প্রায় সপ্তাহখানেক ধরে থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও ভারতের উপকূলে ভেসে বেড়াচ্ছে বলে জানা গেছে।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর) অনুযায়ী, নভেম্বরের শেষের দিক থেকে নৌকাটি গভীর সাগরে পাড়ি জমায় এবং যাত্রার পর থেকে জাহাজে থাকা কয়েক ডজন লোক ইতোমধ্যেই মারা গেছে। অন্যদিকে বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের খাবার, পানীয় জল বা ওষুধ নেই।
আসিয়ান পার্লামেন্টারিয়ানস ফর হিউম্যান রাইটসের (এপিএইচআর) বোর্ড সদস্য ইভা সুন্দরী বলেন, আমরা জরুরি ভিত্তিতে আসিয়ান সদস্য দেশ ও এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশগুলোকে তাদের মানবিক বাধ্যবাধকতা পূরণ করতে এবং তাদের যথাযথভাবে অবতরণ করার অনুমতি দিয়ে নৌকাটি তাদের জল সীমায় প্রবেশ করলে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান শুরু করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।
তারা আরও বলেন, এটা লজ্জাজনক যে গুরুতর বিপদে পুরুষ, নারী ও শিশুদের নিয়ে নৌকাটিকে ভেসে থাকতে হচ্ছে। ওই মানুষগুলোকে অবহেলা করা মানবতার অবমাননার কম কিছু নয়।
আরও পড়ুন: মিয়ানমার বিষয়ক আসিয়ানের বিশেষ দূতকে সু চির সঙ্গে দেখা করার আহ্বান
গণমাধ্যমের প্রতিবেদন ও মানবাধিকার সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, গত সপ্তাহ থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বহনকারী আরও দুটি নৌকা ভেসে বেড়াচ্ছে।
এদিকে, ১৫৪ শরণার্থী বহনকারী একটি নৌকাকে ৮ ডিসেম্বর ভিয়েতনামের একটি তেলবাহী জাহাজ উদ্ধার করে। তাদের মিয়ানমার নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়। ১০৪ শরণার্থী বহনকারী আরেকটি নৌকাকে ১৮ ডিসেম্বর শ্রীলঙ্কার নৌবাহিনী উদ্ধার করে এবং তাদেরকে কানকেসান্তুরাই হারবারে অবতরণ করা হয়।
রোহিঙ্গারা তাদের স্বদেশ মিয়ানমারে কয়েক দশক ধরে নিপীড়নের শিকার হচ্ছে।
১৯৯০ এর দশকের গোড়ার দিকে কর্তৃপক্ষ তাদের অধিকাংশকে রাষ্ট্রহীন করে দেয় এবং সত্তরের দশকের শেষের দিক থেকে সবচেয়ে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হয় তারা।
২০১৬ ও ২০১৭ সালে নৃশংস সামরিক অভিযানের শিকার হয়ে প্রতিবেশি বাংলাদেশে সাত লাখ ৩০ হাজার রোহিঙ্গা বাস্তুচ্যুত হয়। এজন্য মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে গণহত্যার জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে তাদের অনেকেই উন্নত জীবন খোঁজার জন্য অসাধু মানব পাচারকারীদের হাতে আত্মসমর্পণ করে আন্দামান সাগরের মধ্য দিয়ে অত্যন্ত বিপজ্জনক পথে মালয়েশিয়ার মতো দেশে পাড়ি জমায়।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে মিয়ানমারের মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা হচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
এপিএইচআর-এর চেয়ারপারসন ও মালয়েশিয়ার সাবেক সংসদ সদস্য চার্লস সান্টিয়াগো বলেন, ‘সব সম্ভাবনা বিচারে এসব নৌকা উদ্ধারে বিলম্বের কারণে ইতোমধ্যেই অবর্ণনীয় দুর্ভোগ ও প্রাণহানি ঘটেছে। আর কোনো বিলম্ব অযৌক্তিক। সাগরে আটকে থাকা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রতি এই অবহেলা নতুন কিছু নয়। যেমনটি বছরের পর বছর ধরে চলছে এবং এর ফলে শত শত, এমনকি হাজার হাজার মৃত্যু হয়েছে। যা সহজেই প্রতিহত করা যেত যদি এই অঞ্চলের দেশগুলো প্রাথমিক মানবিক নীতিগুলি পূরণ করত।’
এপিএইচআর আসিয়ানকে সমুদ্রে আটকা পড়া শরণার্থীদের ইস্যুতে একটি বিস্তৃত ও সমন্বিত আঞ্চলিক প্রতিক্রিয়া তৈরি করার লক্ষ্যে কার্যকরভাবে কাজ করা ও মানবিক নীতি অনুসারে এই ধরনের পরিস্থিতিতে সমুদ্রে জীবন বাঁচানোর সম্মিলিত প্রচেষ্টার আহ্বান জানিয়েছে।
মঙ্গলবার এপিএইচআর জানায় যে আসিয়ানের উচিত রোহিঙ্গাদের এত বছর ধরে এই ট্র্যাজেডির মূল কারণগুলোরও সমাধান করা। যার মধ্যে রয়েছে- মিয়ানমার কর্তৃপক্ষকে তাদের নাগরিকত্ব ফিরিয়ে আনার জন্য চাপ সৃষ্টি করা এবং বর্তমানে বাংলাদেশের ক্যাম্পে বসবাসকারী শরণার্থীদের ফিরিয়ে নেয়া।
রোহিঙ্গা জনগণের বিরুদ্ধে নৃশংসতার অপরাধীদের জবাবদিহি করতেও আসিয়ানকে সহায়তা করা উচিত, বিশেষ করে এখন যে সেনাবাহিনী তাদের বিরুদ্ধে ২০১৬ ও ২০১৭ সালে গণহত্যামূলক সামরিক অভিযান শুরু করে,তারাই ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি একটি অবৈধ অভ্যুত্থান ঘটিয়ে মিয়ানমারে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে।
এপিএইচআর বোর্ডের সদস্য ও প্রাক্তন থাই পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাসিত পিরোম্যা বলেন, ‘বহু বছর ধরে আসিয়ান ও বৃহত্তরভাবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দীর্ঘ সময় ধরে নির্বিকার রয়েছে, কারণ রোহিঙ্গা ট্রাজেডি বছরের পর বছর ধরে চলে আসছে। যেসব দেশ মানবাধিকার রক্ষার দাবি করে, তাদের রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার সংকটের মূল কারণগুলো মোকাবিলা করার নৈতিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে; নতুবা এই মানবিক ট্রাজেডিগুলো বারবার পুনরাবৃত্তি হবে। সেইসঙ্গে আসিয়ান সদস্য দেশগুলো এই অঞ্চলে ও এর বাইরেও তাদের অংশীদারদের অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের অধিকার পুনরুদ্ধার করবে, সমস্ত বৈষম্যমূলক আচরণের অবসান ঘটাবে এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনবে।’
আরও পড়ুন: আন্তরিকতার অভাবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিলম্বিত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
২ বছর আগে
খুলনায় নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন
নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে চারজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন খুলনার একটি আদালত। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
বুধবার বিকালে খুলনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ৩ এর বিচারক আ. ছালাম খান এ রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, শিউলী বেগম, হাসিনা (পলাতক), আ. রব ওরফে রাহুল (পলাতক) ও আমিন।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. রুবেল খান।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী তার বাবাকে নিয়ে গবরচাকা এলাকার হাবির বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতেন। অভাবের সংসার হওয়ায় স্থানীয় একটি বিউটি পার্লারে কাজ করতেন তিনি। আর এ সুযোগ কাজে লগিয়ে মামলার এজাহার নামীয় আসামি লাবনী ২০১১ সালের ২১ নভেম্বর তাকে গার্মেন্টেসে কাজ দেয়ার কথা বলে ঢাকায় নেয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে নিয়ে যায়।
কিছুদিন পর আসামি শিউলী ও লাবনী বাড়ি ফিরে আসে। ভুক্তভোগীর বাবাকে তারা জানায়, তার মেয়ে ঢাকায় একটি গার্মেন্টেসে চাকরি করছে। অনেক টাকা বেতন পায়। অল্প সময়ের মধ্যে বাড়ি ফিরে আসবে। এ কথা বলে ভুক্তভোগীর বাবার হাতে এক হাজার টাকা ধরিয়ে দেয়।
মেয়ে ফিরে না আসায় বাবা আসামিদের জিজ্ঞাসা করে। কিন্তু তাদের কথায় সন্দেহ বাড়ে বাবার। পরবর্তীতে কয়েকজনকে নিয়ে আসামিদের বাড়িতে গেলে তারা স্বীকার করে যে তাকে চাকরি দেয়ার কথা বলে ঢাকায় না নিয়ে ভারতে বিক্রি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সোনাডাঙ্গা থানায় ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন:খুলনায় মুক্তিপণের দাবিতে অপহৃত ২ জন উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৩
আদালত সূত্রে আরও জানা গেছে, ঘটনার দিন আসামি শিউলী বেগম ভুক্তভোগীকে ভারতে পাচারের উদ্দেশে আসামি আমিনের সহায়তায় বোম্বে নিয়ে যায়। সেখানে নেয়ার পর ওই দুই আসামি হাসিনার হেফাজতে রাখেন। পরবর্তীতে একটি বাসা ভাড়া করে শিউলী ও ভুক্তভোগী একই স্থানে অবস্থান করে। পরে ওই তিনজন আসামি যোগসাজেশে তাকে আ. রব ওরফে রাহুলের কাছে বিক্রি করে দেন। পরে হাসিনা ভারত থেকে দেশে ফিরে আসে। সেখানে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক দেহ ব্যবসায়ে নিয়োজিত করে। পরে পুলিশের সহায়তায় ভুক্তভোগীকে ভারতের বোম্বে থেকে উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন:খুলনায় বাস-ট্রাকের সংঘর্ষ, প্রাণ গেল ট্রাকচালক ও ৯ গরুর
চালককে হত্যার পর ইজিবাইক ছিনতাইয়ের চেষ্টা, খুলনায় আটক ২
২ বছর আগে
নারীর প্রতি সহিংসতা বাড়ছে: এমএসএফের প্রতিবেদন
দেশে মার্চে নারী ও শিশুদের ওপর প্রায় ৩৯৭টি মতো সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে যা আগের মাসের তুলনায় বেশি।
বৃহস্পতিবার মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের (এমএসএফ) তাদের মাসিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়। এছাড়া ফেব্রুয়ারিতে সারাদেশে এ ধরনের ঘটনার সংখ্যা ছিল ৩৬৫টি।
আরও পড়ুন: ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ব্যাপারে সরকার কঠোর: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
গণমাধ্যমের প্রতিবেদন ও এমএসএফের সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী, ধর্ষণ, হত্যা ও পারিবারিক সহিংসতার মতো ঘটনার সংখ্যা আগের মাসের তুলনায় বেড়েছে। এটি খুবই উদ্বেগজনক বলে এমএসএফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনার মধ্যে ৬৯টি ধর্ষণের ঘটনা, ২৩টি সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, তিনটি ধর্ষণের পর হত্যা ও ছয়টি শারীরিক প্রতিবন্ধী শিশু ও কিশোরী ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।
৬৯টি ধর্ষণের ঘটনার মধ্যে ৫৩ জন শিশু ও কিশোরী ধষর্ণের শিকার হয়েছে এবং ২৩টি সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকারের মধ্যে সাত জন কিশোরী রয়েছে।
আরও পড়ুন: নারী নির্যাতন থেকে মুক্তি পেতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে: তোফায়েল
এছাড়া ৩৬ জন শিশু ও কিশোরীসহ প্রায় ৯৬ জন নারী আত্মহত্যা করেছেন। মার্চ মাসে আটটি রহস্যজনক মৃত্যুসহ প্রায় ৮১টি হত্যার ঘটনা ঘটেছে এবং এর মধ্যে ২৭ জন শিশু ও কিশোরী রয়েছে।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিশোধ, পারিবারিক কলহ, যৌতুক, প্রেমঘটিত কারণে এই সব হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
২ বছর আগে
ভারতে ৩ বছর কারাভোগের পর দেশে ফিরল ২৩ বাংলাদেশি নারী ও শিশু
ভারতে ৩ বছর কারাভোগের পর দেশে ফিরল ২৩ বাংলাদেশি নারী ও শিশু। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারতীয় ইমিগ্রেশন পুলিশ বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে তাদের বেনাপোল ইমিগ্রেশনে হস্থান্তর করেছে।
পাচার হয়ে যাওয়া এসব নারী শিশুদের সাজার মেয়াদ শেষে বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে তাদের দেশে ফেরত আনা হয়।
ফেরত আসাদের মধ্যে ১৪ জন নারী ও ৯ জন শিশু রয়েছে। তাদের বাড়ি খুলনা, নড়াইল,যশোর, বাগেরহাট, পাবনা, নোয়াখালী ও কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন এলাকায়।
কোলাকাতা দূতাবাসের ফাস্ট সেক্রেটারি শামীমা ইয়াসমিন স্মৃতি জানান, পাচার রোধে দুই দেশের সরকার সার্বক্ষণিক যৌথভাবে কাজ করছে। পাচার রোধে সমাজের সকল শ্রেণি পেশার মানুষের সহয়তা প্রয়োজন।
বেনাপোল পুলিশ ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজু আহমেদ জানান, অভাবের কারণে দালালের খপ্পরে পড়ে গত সাড়ে তিন বছর আগে অবৈধ পথে ভারতে যান তারা। ভারতের কোলকাতা শহরে বিভিন্ন বাসা বাড়িতে কাজ করার সময় সে দেশের পুলিশ তাদের আটক করে।
আরও পড়ুন: ভারত থেকে করোনা পজিটিভ নিয়ে দেশে ফিরলেন ২ বাংলাদেশি
পুলিশ তাদের আদালতে সোপর্দ করলে কোলকাতা আদালত তাদের তিন বছরের সাজা দিয়ে জেলে পাঠায়। সাজার মেয়াদ শেষে সেখানকার সুকর্না, কিশোলয়া নামে দুটি এনজিও তাদের ছাড়িয়ে নিজেদের শেল্টার হোমে রাখে। পরে দু’দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন আইনে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।
সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাদের বেনাপোল পোর্টথানা পুলিশের হাতে হস্থান্তর করা হয়। এরপর কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ফেরত আসা নারী শিশুদের তাদের অভিভাবকদের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য যশোর জাস্টিস এন্ড কেয়ার, জেলা মহিলা আইনজীবী সমিতি ও রাইটস যশোর তাদের সেল্টার হোমে রাখার জন্য থানা থেকে নিয়ে গেছেন।
আরও পড়ুন: শ্রমিককে মারধর, বেনাপোল বন্দরে লোড-আনলোড বন্ধ
২ বছর আগে
ফরিদপুরে খিচুড়ি খেয়ে একই পরিবারের ৬ জনসহ অজ্ঞান ১৫
ফরিদপুরে খিচুড়ি খেয়ে এক পরিবারের ছয় সদস্যসহ ১৫ জন অজ্ঞান হয়ে পড়েছে।
৩ বছর আগে
ভারতে যাওয়ার সময় মহেশপুর সীমান্তে আটক ১৭
ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়ার সময় নারী ও শিশুসহ ১৭ জনকে আটক করেছে বিজিবি।
৪ বছর আগে
ঝিনাইদহ সীমান্তে নারী ও শিশুসহ আটক ১৮
মহেশপুর উপজেলার খোশালপুর সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়ার সময় খোশালপুর বাজারের কাছ থেকে বুধবার রাতে নারী ও শিশুসহ ১৮ জনকে আটক করেছে বিজিবি।
৪ বছর আগে