রুশ
রুশ অধিকৃত ইউক্রেনের বাজারে গোলাবর্ষণে নিহত ১৩
রুশ অধিকৃত ইউক্রেনের দোনেৎস্ক শহরের উপকণ্ঠে একটি বাজারে গোলাবর্ষণে অন্তত ১৩ জন নিহত হয়েছেন।
রবিবার (২১ জানুয়ারি) এ হামলা চালানো হয়েছে বলে স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে।
এদিকে তেকস্তিলশিকের শহরতলিতে হামলায় আরও ১০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন দোনেৎস্কের রুশ নিয়ন্ত্রিত কর্তৃপক্ষের প্রধান ডেনিস পুশিলিন। তিনি বলেন, ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী এই গোলা নিক্ষেপ করেছে।
আরও পড়ুন: ইতালির ভেনিসের কাছে বাস দুর্ঘটনায় ইউক্রেনীয় পর্যটকসহ নিহত ২১
কিয়েভ এই ঘটনা সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেনি। রুশ কর্তৃপক্ষের দাবি স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)।
জরুরি বিভাগের কর্মীরা ঘটনাস্থলে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন পুশিলিন।
আঞ্চলিক কর্মকর্তারা জানান, রবিবার রাশিয়ার উস্ত-লুগা বন্দরের একটি রাসায়নিক পরিবহন টার্মিনালে দুটি বিস্ফোরণের পর অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বন্দরটিতে হামলা চালিয়েছে ইউক্রেনের ড্রোন, এ ঘটনায় একটি গ্যাস ট্যাংক বিস্ফোরিত হয়েছে।
সেন্ট পিটার্সবার্গ থেকে ১৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে রাশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান নোভাটেক পরিচালিত একটি স্থানে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
আরও পড়ুন: রাতে রুশ হামলায় হতাহত হয়েছেন বেশ কিছু বেসামরিক নাগরিক: ইউক্রেনীয় কর্মকর্তা
রাশিয়ার কিংগিসেপ অঞ্চলের বন্দরের প্রধান ইউরি জাপালাতস্কি এক বিবৃতিতে জানান, এতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি, তবে জেলায় উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
সংবাদ মাধ্যম ফন্টানকা জানিয়েছে, রবিবার সকালে দুটি ড্রোন সেন্ট পিটার্সবার্গের দিকে উড়তে দেখা গেছে, কিন্তু সেগুলো কিংগিসেপ অঞ্চলের দিকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস স্বাধীনভাবে এই প্রতিবেদনগুলো যাচাই করতে পারেনি।
তবে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিদিনের ব্রিফিংয়ে কিংগিসেপ এলাকায় কোনো ড্রোন তৎপরতার কথা বলা হয়নি। ব্রিফিংয়ে বলা হয়, রাশিয়ার স্মোলেনস্ক অঞ্চলে চারটি ইউক্রেনীয় ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে এবং ওরিওল ও তুলা অঞ্চলে আরও দুটি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে।
এর আগে রুশ কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছিলেন যে, বৃহস্পতিবার সেন্ট পিটার্সবার্গের উপকণ্ঠে একটি ইউক্রেনীয় ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে ক্যাফেতে রুশ হামলায় ৫১ জন নিহত
৯ মাস আগে
ইউক্রেনে ক্যাফেতে রুশ হামলায় ৫১ জন নিহত
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের গ্রাম হ্রোজার একটি ক্যাফেতে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) রুশ রকেট হামলায় কমপক্ষে ৫১ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং কিয়েভের অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তাদের মতে, কয়েক মাসের মধ্যে যুদ্ধের সবচেয়ে মারাত্মক হামলার মধ্যে বৃহস্পতিবারেরটি অন্যতম।
উদ্ধারকারীরা হ্রোজা গ্রামের একমাত্র ক্যাফের ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিতদের উদ্ধারের চেষ্টা করছে।
ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ক্ষেপণাস্ত্রটি যখন আঘাত হানে তখন শিশুসহ কমপক্ষে ৬০ জন ক্যাফেটিতে উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, জেলেনস্কি ইউক্রেনের মিত্রদের সমর্থন জোগাড় করতে স্পেনে প্রায় ৫০ জন ইউরোপীয় নেতার উপস্থিতিতে ‘গ্রানাডা সম্মেলন’-এ যোগ দিয়েছেন।
সেখানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি রাশিয়ার এই ধরনের হামলাকে ‘নৃশংস রুশ অপরাধ’ এবং ‘সম্পূর্ণ ইচ্ছাকৃত সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ড’ বলে নিন্দা করেছেন।
কিয়েভ থেকে পাওয়া প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, গ্রামটিতে একটি ইস্কান্দার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে ২০০ মিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র
মার্কিন হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জিন-পিয়ের এই হামলাকে ‘ভয়াবহ’ বলে অভিহিত করেছেন।
তিনি বলেছেন, এটি প্রমাণ করে, কেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ‘ইউক্রেনের সাহসী জনগণকে তাদের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করতে, তাদের গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করতে সহায়তা করার জন্য সবকিছু করতে পারে।’
খারকিভের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় গ্রাম হ্রোজায় যুদ্ধের আগে প্রায় ৫০০ জন বাসিন্দা ছিল। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে রাশিয়া এই অঞ্চল দখল করে, এরপর ইউক্রেন তার এই অঞ্চলটি পুনরুদ্ধার করে।
এটি রাশিয়ান সামরিক হামলার মূল লক্ষ্য কুপিয়ানস্ক থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার (১৯ মাইল) পশ্চিমে অবস্থিত।
জেলেনস্কি মঙ্গলবার সৈন্যদের সঙ্গে দেখা করতে এবং পশ্চিমের সরবরাহ করা সরঞ্জাম পরিদর্শন করতে এই এলাকা পরিদর্শন করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা দিমিত্রো নেচভোলট দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) বলেছেন, তিনি তার ৬০ বছর বয়সী বাবাকে খুঁজছেন।
নেচভোলট জানান, তার বাবার লাল গাড়িটি তখনও ক্যাফের কাছাকাছি পার্ক করা ছিল। তার বাবা জীবিত নাকি মৃত তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য তিনি অপেক্ষায় আছেন।
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার জেলেনস্কি স্পেনের গ্রানাডায় ইউরোপের রাজনৈতিক নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনে পশ্চিমা সমর্থন বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, ‘রাশিয়ান সন্ত্রাস বন্ধ করতে হবে।’
আরও পড়ুন: ইউক্রেনের কাখোভকা বাঁধ ধ্বংস, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭
জেলেনস্কি তার টেলিগ্রাম চ্যানেলে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘রাশিয়া শুধু একটি কারণে এইরকম সন্ত্রাসী হামলা করছে, তা হলো তার গণহত্যামূলক আগ্রাসনকে পুরো বিশ্বের জন্য নতুন আদর্শে পরিণত করা।’
তিনি আবও বলেন, ‘এখন আমরা ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলছি। বিশেষ করে আমাদের বিমান প্রতিরক্ষা শক্তিশালী করা, আমাদের সৈন্যদের শক্তিশালী করা, আমাদের দেশকে সন্ত্রাস থেকে রক্ষা করা। আমরা সন্ত্রাসীদের জবাব দেবো।’
সম্মেলনে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজ বলেন, জার্মানি ইউক্রেনকে আরেকটি প্যাট্রিয়ট মিসাইল এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম সরবরাহ করবে।
তিনি আশঙ্কা করেন, রাশিয়া আবার শীতের মাসগুলোতে ইউক্রেন জুড়ে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ও শহরগুলোকে লক্ষ্য করে হামলা চালাবে।
গত শীতকালে রাশিয়া ইউক্রেনের জ্বালানি ব্যবস্থা এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোকে লক্ষ্য করে নিরবচ্ছিন্ন ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায়। যার ফলে ইউক্রেনজুড়ে বারবার বিদ্যুৎ বিভ্রাট শুরু হয়।
ইউক্রেনের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা উচ্চ মাত্রার স্থিতিস্থাপকতা ও নমনীয়তা দেখিয়েছে। তবে শীতকাল ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে রাশিয়া আবারও বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উপর হামলা চালাবে বলে উদ্বেগ বাড়ছে।
জেলেনস্কি উল্লেখ করেছেন, গ্রানাডা শীর্ষ সম্মেলনে কৃষ্ণ সাগরে ‘বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তা এবং নৌ চলাচলের স্বাধীনতার সুরক্ষার জন্য যৌথ দায়িত্ব’ এর উপরও আলোকপাত করা হবে।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তর গোয়েন্দা তথ্যের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, রাশিয়া ইউক্রেনের বন্দরগুলোতে বেসামরিক শিপিং লক্ষ্যবস্তুতে সামুদ্রিক মাইন স্থাপন করতে পারে এবং তারা ইউক্রেনের উপর দোষারোপ করতে পারে।
আরও পড়ুন: হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ১৪ জন নিহত
এর আগে বৃহস্পতিবার ড্রোন দিয়ে ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা চালায় রাশিয়া।
ইউক্রেনের বিমান বাহিনী বলেছে, দেশটির বিমান প্রতিরক্ষা ইরানের তৈরি ২৯টি ড্রোনের মধ্যে ২৪টি জব্দ করেছে। রাশিয়া যেগুলো ওডেসা, মাইকোলাইভ ও কিরোভোহরাদ অঞ্চলে চালাচ্ছে।
কিরোভোহরাদ আঞ্চলিক প্রশাসনের প্রধান আন্দ্রি রায়কোভিচ বলেছেন, এই অঞ্চলে একটি অবকাঠামোতে আঘাত করা হয়েছিল। আগুন নেভানোর জন্য জরুরি পরিষেবাগুলো মোতায়েন করা হয়েছিল, তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় জানিয়েছে, গত দিন অন্যান্য রাশিয়ান হামলায় দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খেরসনে দুই বেসামরিক নাগরিক নিহত হয় এবং পূর্ব দোনেৎস্ক অঞ্চলের ক্রাসনহোরিভকা শহরে হামলায় একজন মারা যায়। এসময় কমপক্ষে আটজন আহত হয়েছেন।
আঞ্চলিক প্রশাসনের প্রধান ওলেক্সান্ডার প্রোকুদিনের মতে, খেরসন অঞ্চলের বেরিসলাভ শহরের একটি হাসপাতাল রুশ হামলায় ধ্বংস হয়েছে এবং দুই চিকিৎসাকর্মী আহত হয়েছে।
ইউক্রেনও সীমান্তজুড়ে নিয়মিত ড্রোন হামলা করে রাশিয়াকে বিপর্যস্ত করেছে।
ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে গভর্নর রোমান স্টারোভয়েট বলেছেন, ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলার ফলে বেশ কয়েকটি এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
তিনি আরও বলেন, ইউক্রেনীয় বাহিনী সীমান্ত শহর রিলস্কে কামান ছুঁড়েছে, এতে একজন বাসিন্দা আহত হয়েছে এবং বেশ কয়েকটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
১ বছর আগে
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যাভরভ ঢাকায়, আজই বৈঠকে বসবেন মোমেনের সঙ্গে
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ দুই দিনের সরকারি সফরে ঢাকায় এসেছেন। বর্তমানের বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে তার সফরকে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে মনে করা হচ্ছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা ১৭ মিনিটে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
স্বাধীনতার পর রাশিয়ার কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এটাই প্রথম বাংলাদেশ সফর।
আজ সন্ধ্যায় ঢাকার একটি হোটেলে দুই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে। বৈঠকের পর তারা যৌথভাবে একটি সংবাদ সম্মেলন করবেন এবং একই ভেন্যুতে নৈশভোজে অংশ নেবেন।
শুক্রবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এদিন ফিরে যাওয়ার আগে তিনি ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করবেন।
আরও পড়ুন: খাদ্য, জ্বালানি ও রোহিঙ্গা ইস্যুর মতো বিষয়ে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যাভরভের সঙ্গে আলোচনা করবে ঢাকা
খাদ্য, সার, জ্বালানি ও রোহিঙ্গা সংকটসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করবে বাংলাদেশ ও রাশিয়া।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘ইউক্রেন সংকটের পর থেকে বিশ্বজুড়ে যে জটিল পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে আমরা তা নিয়ে আলোচনা করব। আমাদের যে সমস্যাগুলো আছে সেগুলো আমরা তুলে ধরব।’
রাশিয়ার সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, যত দ্রুত সম্ভব ইউক্রেন সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য বাংলাদেশ রাশিয়াকে অনুরোধ করতে পারে।
মঙ্গলবার ঢাকায় রাশিয়ান দূতাবাস জানিয়েছে, দুই দেশ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উন্নয়নের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করবে এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে মত বিনিময় করবে।
এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেছিলেন, বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ মেয়াদে থাকা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যাভরভের সফরে বাংলাদেশ রোহিঙ্গা ইস্যুটি উত্থাপন করবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, ‘তিনি যেদিন এখানে আসবেন সেদিন আমাদের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে। আমাদের অনেক দ্বিপক্ষীয় বিষয় আলোচনা করার আছে। আমাদেরও রোহিঙ্গা ইস্যু আছে।’
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর শেষ করে ৯-১০ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেবেন।
গত বছরের ২৪ নভেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত ২২তম আইওআরএ মন্ত্রী পরিষদের বৈঠকে যোগদানের জন্য ২৩ নভেম্বর ল্যাভরভের বাংলাদেশ সফরের কথা ছিল।কিন্তু শেষ মুহূর্তে এই সফর বাতিল করা হয়।
আরও পড়ুন: রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যাভরভের সঙ্গে মোমেনের বৈঠক ৭ সেপ্টেম্বর
বাংলাদেশ সফরে আসছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী লাভরভ
১ বছর আগে
রুশ হামলায় এ পর্যন্ত মারা গেছে ৯ হাজার ইউক্রেনীয় সৈন্য
ইউক্রেনে রুশদের হামলায় গত ছয় মাসে ৯ হাজার ইউক্রেনীয় সৈন্য মারা গেছে। সোমবার তথ্যটি জানিয়ে দেশটির সেনাপ্রধান বলেন, এই যুদ্ধ বন্ধের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
ইউক্রেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ভ্যালেরি জালুঝনি এক অনুষ্ঠানে বলেন, অনেক ইউক্রেনীয় শিশুর দেখভাল প্রয়োজন। কারণ তাদের বাবা যুদ্ধক্ষেত্রে গেছে এবং সম্ভবত তারাও ৯ হাজার মৃত সৈন্যের মধ্যে আছে।
একজন সরকারি কর্মকর্তা বলেন, ইউক্রেনের প্রধান পারমাণবিক বিদ্যুতকেন্দ্রের অদূরে নিপার নদীর পাশে অবস্থিত নিকোপোল শহরে রুশদের গোলাবর্ষণে সোমবার চারজন আহত হয়েছে। শহরটি গত ১২ জুলাই থেকে অনবরত হামলার শিকার হচ্ছে। এতে ৮৫০টি স্থাপনা ধ্বংস হয়েছে এবং শহরটির অর্ধেক নাগরিক (এক লাখ) পালিয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন সংঘাতে ৩৭৫২ বেসামারিক মানুষের প্রাণহানি: জাতিসংঘ
জাতিসংঘ জানায়, ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে পাঁচ হাজার ৫৮৭ জন বেসামরিক ব্যক্তি মারা যায় এবং সাত হাজার ৮৯০ জন আহত হয়। জাতিসংঘের শিশু সংস্থা সোমবার জানিয়েছে, রাশিয়ার হামলায় এ পর্যন্ত অন্তত ৯৭২ শিশু মারা গেছে। ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথেরিন রাসেল বলেন, ‘সংখ্যাগুলো জাতিসংঘ নিশ্চিত করলেও আমরা মনে করি তা আরও বেশি হতে পারে।’
আরও পড়ুন: ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ থেকে শুধু অস্ত্র উৎপাদনকারীরা লাভবান হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে
ইউক্রেন হামলার পর দ্বিতীয় রুশ জাহাজ মোংলায় পৌঁছেছে
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর দ্বিতীয় চালানে পণ্য নিয়ে রাশিয়ান জাহাজ মোংলা বন্দরে ভিড়েছে। লাইবেরিয়ান পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমভি ড্রাগনবল’- নামে ওই জাহাজটি শুক্রবার বিকালে বন্দরের পশুর চ্যানেলের হারবাড়িয়ায় ৭নং বয়ায় নোঙ্গর করেছে।
জাহাজটিতে দেশে চলমান মেগা প্রকল্পের অন্যতম রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের যন্ত্রাংশ এবং বিভিন্ন মালামাল রয়েছে। ওই জাহাজটির গভীরতা বেশি হওয়ায় বিকাল থেকে লাইটারেজে (নৌযান) কিছু পণ্য খালস করে জাহাজটিকে হালকা করা হচ্ছে।
মোংলা বন্দরের হারবার মাস্টার কমান্ডার শেখ ফকর উদ্দিন জানান, ‘এমভি ড্রাগনবল’ নামে ওই জাহাজটিতে রাশিয়া থেকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য আমদানিকরা দুই হাজার ৮৬২টি প্যাকেজ গুরুত্বপূর্ণ মেশিনারি ও যন্ত্রপাতি রয়েছে। এসব পণ্যের ওজন পাঁচ হাজার ৬০১ মেট্রিক টন। বন্দরের ৭নং বয়ায় জাহাজ থেকে কিছু পণ্য লাইটারেজে খালাস করে জাহাজটিকে হালকা করা হচ্ছে। শনিবার বিকালে জাহাজটি বন্দরের ৯নং জেটিতে আনা হবে। এরপর জেটিতে দ্রুত পণ্য খালাস করে ট্রাক-লরিতে করে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে পাঠানো হবে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালামাল মোংলা বন্দরের মাধ্যমে আসার ফলে দেশের একটি নবযুগের সূচনার সাক্ষী হয়ে থাকবে মোংলা বন্দর।
উল্লেখ্য, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে ২০২১ সালের ১৮ অক্টোবর রাশিয়া থেকে জাহাজ ‘এমভি ফেসকো আলিশ’- রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল নিয়ে মোংলা বন্দরে আসে। তারপর যুদ্ধ শুরু হলে সাড়ে ৯ মাস পর ১ আগস্ট প্রথম রাশিয়ান জাহাজ ‘এমভি কামিল্লা’- রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তিনহাজার ৩২৮ দশমিক ২৩৭ মেট্রিক টন মেশিনারিজ নিয়ে মোংলা বন্দরে ভেড়ে। মাত্র চারদিনের মাথায় রাশিয়া থেকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের যন্ত্রাংশ নিয়ে এমভি ড্রাগনবল মোংলা বন্দরে ভিড়েছে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন হামলার পর প্রথম রুশ জাহাজ মোংলায় পৌঁছেছে
পদ্মা সেতুর সুবাদে প্রথমবার গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানির সাক্ষী হলো মোংলা বন্দর
২ বছর আগে
লভিভের পশ্চিমাংশে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, আহত ৫
পশ্চিম লভিভ অঞ্চলের একটি রেল লাইনে একটি রুশ ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছে।
লভিভের গভর্নর ম্যাকসিম কোজিটস্কি বলেছেন, বৃহস্পতিবারের হামলায় পাঁচজন আহত হয়েছে, বিস্তারিত তথ্য পরবর্তীতে পাওয়া যাবে।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর উপদেষ্টা আন্তন গেরাশচেঙ্কো বলেছেন, কারপাথিয়ান পর্বতমালার বেসকিডি রেলওয়ে সুড়ঙ্গে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে।
তবে ইউক্রেনীয় রেলওয়ে প্রধান বলেছেন, রেলপথের ক্ষতি এখনও মূল্যায়ন করা হচ্ছে, তবে টানেলটি বেঁচে গেছে।
তিনি আরও জানান, হামলার কারণে তিনটি যাত্রীবাহী ট্রেন বিলম্বিত হলেও পরবর্তীতে ট্রেনগুলো আবার যাত্রা শুরু করে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে মাঝারি রকেট সিস্টেম পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র: বাইডেন
পূর্ব ইউক্রেনের সর্বশেষ মুক্ত শহরে রুশ হামলা জোরদার
২ বছর আগে
বন্দি রুশ সেনার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু ইউক্রেনের
যুদ্ধের শুরুর দিকে একজন ইউক্রেনীয় বেসামরিক নাগরিককে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত একজন বন্দি রুশ সেনাকে বিচারের জন্য কিয়েভের একটি নিম্ন আদালতে বিচার শুরু হয়েছে।
ইউক্রেনের শীর্ষ এক প্রসিকিউটর বলেছেন, তার অফিস তদন্ত করছে এমন কয়েক ডজন যুদ্ধাপরাধের মামলার মধ্যে প্রথম এটির বিচার শুরু হলো।
অভিযুক্ত রুশ সার্জেন্ট ভাদিম শিশিমারিন (২১) এর বিচার শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে আবার দূতাবাস খুলছে ভারত
টানা দু’মাসের বেশি সময় ধরে দেশটির কৌশলগত বন্দর নগরী মারিউপোলে রুশ সেনাদের ক্রমবর্ধমান মরিয়া আক্রমণে শহরটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
মারিউপোলের পতনের ফলে ইউক্রেন একটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দর হারাবে। এর ফলে রাশিয়া ক্রিমিয়া উপদ্বীপে একটি স্থল করিডোর স্থাপন করতে পারবে। ২০১৪ সালে যেটিকে ইউক্রেন থেকে দখল করে নেয় রাশিয়া।
ধারণা করা হচ্ছে ক্রেমলিনের পূর্বের শিল্পাঞ্চল ডনবাস এরপর সেনাদের আক্রমণের প্রধান লক্ষ্য হবে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনীয় স্কুলে রাশিয়ার বোমা হামলায় বহু নিহতের আশঙ্কা
ইউক্রেনের ইস্পাত কারখানা থেকে আরও ৫০ নাগরিক সরিয়ে নেয়া হলো
২ বছর আগে
পিছু হটা রুশ সেনারা অসংখ্য মাইন রেখে গেছে: জেলেনস্কি
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তার দেশের জনগণকে সতর্ক করে বলেছেন, রুশ বাহিনী পিছু হটার সময় রাজধানী কিয়েভের বাইরে ‘সম্পূর্ণ বিপর্যয়ের’ ফাঁদ তৈরি করে রেখে গেছে। তারা আশেপাশের পুরো অঞ্চল জুড়ে; এমনকি বাড়িঘর ও লাশের নিচেও মাইন রেখে গেছে।
শনিবার ভোরে এমন সময় জেলেনস্কি এই সতর্কবার্তা দিলেন যখন মারিউপোলে মানবিক করিডোর খুলে দেয়া হয়েছে। বেসামরিক নাগরিকরা শহর ছাড়ার চেষ্টা করছেন। যদিও রুশ সেনারা এই প্রক্রিয়ায় বাধা দিচ্ছে বলেও অভিযোগ তুলেছে ইউক্রেন।
জেলেনস্কি জাতির উদ্দেশ্যে তার রাতের ভিডিও ভাষণেও বলেন, তারা পুরো এলাকায় মাইন রেখে গেছে। তারা বাড়ি-ঘর, যন্ত্রপাতি, এমনকি নিহত ব্যক্তিদের লাশের নিচেও মাইন ফেলে গেছে।
তিনি বাসিন্দাদের তাদের স্বাভাবিক জীবন শুরু করার জন্য অপেক্ষা করার আহ্বান জানান। যতক্ষণ না তারা আশ্বস্ত হয় যে মাইনগুলো পরিষ্কার করা হয়েছে এবং গোলাগুলির বিপদ কেটে গেছে।
এদিকে ক্রেমলিন ইউক্রেনীয়দের রাশিয়ার মাটিতে একটি জ্বালানি ডিপোতে হেলিকপ্টার হামলা চালানোর জন্য অভিযুক্ত করে। যদিও ইউক্রেন এই হামলার দায় অস্বীকার করেছে।
আরও পড়ুন: যুদ্ধে ইউক্রেনের ৫৩ ঐতিহাসিক স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত: ইউনেস্কো
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, নিশ্চয়ই এ ধরনের ঘটনা আলোচনা অব্যাহত রাখার জন্য আরামদায়কপরিস্থিতি তৈরি করবে না।
এই সপ্তাহের শুরুতে ইউক্রেনের রাজধানী এবং উত্তরের শহর চেরনিহিভের কাছে সামরিক তৎপরতা কমিয়ে দেয়ার কথা বলে, রাশিয়া কিয়েভের আশেপাশের এলাকা থেকে তার কিছু স্থল বাহিনী প্রত্যাহার করে নিচ্ছে।
রাশিয়া কিয়েভ ও চেরনিহিভের চারপাশে তাদের বোমাবর্ষণ অব্যাহত রাখলেও, ইউক্রেনীয় সেনারা পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে বেশ কয়েকটি শহর ও গ্রাম পুনরুদ্ধার করেছে।
ইউক্রেন ও তার মিত্ররা সতর্ক করে বলেছে, ক্রেমলিন দর কষাকষির টেবিলে যেভাবে সময়ক্ষেপণ করছে, তা মূলত ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রুশ সেনাদের পুনরায় মোতায়েন ও স্থানান্তরের উদ্দেশ্যে। রাশিয়া এখন পূর্বের ডনবাস অঞ্চলে (অধিকাংশ রুশ ভাষাভাষী) একটি তীব্র আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে মনে হচ্ছে; যার মধ্যে মারিউপোলও রয়েছে।
রাশিয়া তার সেনাদের পুনরায় মোতায়েন করা দেখে জেলেনস্কি সামনে কঠিন যুদ্ধের বিষয়ে তার দেশের মানুষকে সতর্ক করে বলেন, আমরা আরও সক্রিয় প্রতিরক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। তবে শুক্রবার ভিডিওর মাধ্যমে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ সংলাপের বিষয়ে জেলেনস্কি কিছু বলেননি।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার তেল ডিপোতে ইউক্রেনের হামলা: রুশ গভর্নর
চেরনোবিল ছেড়েছে রুশ সেনারা
২ বছর আগে
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: শরণার্থীর সংখ্যা প্রায় ৪০ লাখ
রুশ আগ্রাসনের কারণে ইতোমধ্যে প্রায় ৪০ লাখ লোক শরণার্থী হিসেবে ইউক্রেন ছেড়েছে। তবে সম্প্রতি শরণার্থীর ঢল কিছুটা হ্রাস পেয়েছে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার দেশটির বর্ডার গার্ড ও বিভিন্ন সাহায্যকারী সংস্থা এসব তথ্য জানিয়েছে।
এছাড়া দেশের পক্ষে যুদ্ধ করতে কিছু ইউক্রেনীয়কে তাদের দেশে আটকে রাখা হয়েছে, কেউ কেউ আবার নিজেদের বাড়ি ছাড়লেও শেষ পর্যন্ত যুদ্ধ কোনদিকে আগায় তা বোঝার জন্য দেশের অন্য প্রান্তে বসে অপেক্ষা করছে। কিছু বয়স্ক ও অসুস্থব্যক্তি এবং কিছু মানুষ নিজ ইচ্ছায়ই এখনও নিজেদের বাড়িতেই রয়ে গেছে।
২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া রুশ আগ্রাসনের পর বোমা হামলা থেকে বাঁচতে প্রথম দুই সপ্তাহেই ইউক্রেনের যুদ্ধ-পূর্ব জনসংখ্যার চার কোটি ৪০ লাখের মধ্যে প্রায় ২৫ লাখ দেশ ছেড়ে চলে যায়।
সোমবার জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) ঘোষিত সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, মোট শরণার্থীর সংখ্যা এখন ৩০ লাখ ৮৭ হাজারে পৌঁছেছে।
তবে, আগের ২৪ ঘন্টায় শুধুমাত্র ৪৫ হাজার মানুষ ইউক্রেনের সীমানা অতিক্রম করেছে।
আরও পড়ুন: নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়ে আলোচনার জন্য প্রস্তুত জেলেনস্কি
পোলিশ সীমান্ত রক্ষীদের একজন মুখপাত্র আনা মিচালস্কা বলেন, যারা যুদ্ধ শুরু হলে চলে যাওয়ার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিল তারা প্রথম দিকেই দেশ ছেড়েছে।
ইউএনএইচসিআর বলেছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে খারাপ শরণার্থী সংকটের সূত্রপাত করেছে এই যুদ্ধ। পোল্যান্ড, রোমানিয়া, মলদোভা, হাঙ্গেরি, স্লোভাকিয়ায় বিপুল সংখ্যক ইউক্রেনীয় আশ্রয় নিয়েছে। শুধুমাত্র পোল্যান্ডেই ২৩ লাখ শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছে। অন্যদিকে রোমানিয়ায় রয়েছে প্রায় ছয় শরণার্থী। এছাড়াও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এক লাখ শরণার্থীকে আশ্রয় দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
সিরিয়ায় ১১ বছর ধরে চলা বিধ্বংসী যুদ্ধেও এত দ্রুত, এত অধিক সংখ্যক শরণার্থী সংকট তৈরি হয়নি।
পোল্যান্ডে ইউএনএইচসিআর-এর জ্যেষ্ঠ জরুরি সমন্বয়কারী অ্যালেক্স মুন্ড বলেছেন, আমরা আশা করি নতুন করে শরণার্থীর ঢল হ্রাস পাবে। তবে আমি বিশ্বাস করি যুদ্ধের একটি রাজনৈতিক সমাধান না হওয়া পর্যন্ত, এটা হওয়ার কোনও গ্যারান্টি আছে।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থাও (আইওএম) অনুমান করেছে, ইউক্রেনের আরও ৬৫ লাখ মানুষ রুশ আগ্রাসনের ফলে তাদের বাড়িঘর থেকে বিতাড়িত হয়েছে, কিন্তু তারা দেশের অভ্যন্তরে বাস্তুচ্যুত হয়ে রয়েছে।
আরও পড়ুন: দোহা ফোরামে জেলেনস্কির ভিডিও বার্তা
রাশিয়াকে থামাতে বিলম্ব করেছে ইউরোপ: জেলেনস্কি
২ বছর আগে
ঢাকা ও মস্কো লেনদেন-বাণিজ্য নিরবচ্ছিন্ন রাখতে কাজ করছে: রুশ রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মান্তিতস্কি জানিয়েছেন, তার দেশ এবং বাংলাদেশ ইউক্রেন সংকটের পর সুইফট সিস্টেম এড়িয়ে লেনদেন ও বাণিজ্য নিরবচ্ছিন্ন রাখার জন্য বিকল্প পদ্ধতি অনুসন্ধান করছে।
তিনি বলেন, জাতীয় মুদ্রার অদলবদল এবং তৃতীয় দেশের ব্যাংকের ব্যবহারসহ বিভিন্ন বিকল্প বিবেচনা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার রাশিয়ান ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ-রাশিয়া অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও এর উন্নয়নের কথা তুলে ধরে রুশ রাষ্ট্রদূত এ মন্তব্য করেন।
‘ওয়ান মান্থ অব দ্য রাশিয়া’স স্পেশাল মিলিটারি অপারেশন ইন ইউক্রেন: কজ অ্যান্ড রেজাল্ট। দ্য ওয়ার্ল্ড অব পোস্ট ট্রুথ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে পাঁচটি মূল বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এগুলো হলো- রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের পটভূমি, সংঘাত এড়ানোর লক্ষ্যে রাশিয়ার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা, রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযানের ফলাফল, ইউক্রেনের সামরিকীকরণ ও নাজিফিকেশনে পশ্চিমের ভূমিকা, সংঘাতের অর্থনৈতিক পরিণতি এবং রাশিয়া-বাংলাদেশ সম্পর্কের নতুন বাস্তবতা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রের ওপর জোর স্ক্যান্ডিনেভিয় রাষ্ট্রদূতদের
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষেদের বিশেষ অধিবেশনে ২ মার্চ বাংলাদেশের ভোটদানে বিরত থাকার বিষয়ক এক প্রশ্নের জবাবে রুশ রাষ্ট্রদূত বলেন, তারা রেজুলেশনের প্রতি বাংলাদেশের ‘দায়িত্ব ও ভারসাম্যপূর্ণ’ মনোভাবের প্রশংসা করেন।
তিনি আরও বলেন, ওই ভোটের সময় বাইরের প্রচণ্ড চাপ থাকা সত্ত্বেও নিরপেক্ষ অবস্থান নেয়ার জন্য আমরা বাংলাদেশি পক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.এ কে আব্দুল মোমেন অত্যন্ত সুনির্দিষ্টভাবে বাংলাদেশের ভোটদানে বিরত থাকার পেছনের উদ্দেশ্যগুলোকে সংজ্ঞায়িত করেছেন। তাই আমার আর এ বিষয়ে কিছু বলার নেই।’
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির কাছে পরিচয়পত্র পেশ করলেন রোমানিয়ার রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশে অর্থনৈতিক সহায়তা অব্যাহত রাখার আশ্বাস নর্ডিক দেশগুলোর
২ বছর আগে