ভিনিসিউস
ভিনিসিউসকে বিক্রি করে দিতে এবার পেরেসকে চাপ
ভিনিসিউস জুনিয়র ব্যালন দ’র না জেতার খবরে ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ডের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে সম্প্রতি ফ্রান্স ফুটবলের অনুষ্ঠানই বর্জন করে রিয়াল মাদ্রিদ। অথচ সেই ভিনিসিউসকেই নাকি বিক্রি করে দিতে ক্লাবের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের চাপের মুখে পড়েছেন রিয়াল মাদ্রিদ সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেস।
ব্যালন দ’র না পেলেও তার পর থেকে দারুণভাবে জ্বলে ওঠা ভিনিসিউসকে নিয়ে রিয়াল মাদ্রিদের এমন খবর সত্যিই বোমা ফাটানোর মতো।
চলতি মৌসুমে রিয়ালের আক্রমণভাগের দুঃসময়ের মাঝেও প্রতিটি ম্যাচে নিজের উপস্থিতির জানান দিয়ে চলেছেন ২৪ বছর বয়সী এই উইঙ্গার। লা লিগায় ১২ ম্যাচে ৮ গোল ও চার অ্যাসিস্ট করে এখন পর্যন্ত রিয়ালের সবচেয়ে সফল স্ট্রাইকার তিনিই। চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও চার ম্যাচে চারটি গোলের দেখা পেয়েছেন এই ফরোয়ার্ড।
লেফট উইংয়ে তার চেয়ে ক্ষিপ্র গতির আক্রমণাত্মক ফুটবলার বর্তমানে খুঁজে পাওয়া মুশকিল। সমালোচকদের চোখেও তিনি ইউরোপের এ সময়ের সেরা উইঙ্গার এবং সেরা ফুটবলারদের একজন। অথচ সেই ভিনিসিউসকেই নাকি ছেড়ে দিতে চান রিয়ালের পরিচালনা বোর্ডের সদস্যরা।
আরও পড়ুন: ভিনিসিউসের জন্য সৌদির ৫০০ মিলিয়ন ইউরোর প্রস্তাব ফেরাল রিয়াল
গত গ্রীষ্মে সৌদি আরব থেকে বিরাট অঙ্কের অর্থিক প্রস্তাব পেয়েছিলেন ভিনিসিউস। পাঁচ বছরের চুক্তিতে এই ফুটবলারকে এক বিলিয়ন ইউরোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন সৌদি পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের (পিআইএফ) কর্মকর্তারা। পাশাপাশি ভিনিকে ২০৩৪ সালে সৌদি আরবে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপের দূত হওয়ারও একটি বিশেষ প্রস্তাব রাখা হয়েছিল চুক্তিতে।
এমনকি রিলিজ ক্লস হিসেবে রিয়াল মাদ্রিদকে ৫০০ মিলিয়ন ইউরো দেওয়ারও প্রস্তাব দিয়েছিল তারা। তবে সৌদি থেকে আসা সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে ভিনিসিউস জানিয়েছিলেন, রিয়ালেই আজীবন থাকতে চান তিনি।
অথচ মাত্র ছয় মাসের ব্যবধানে পাল্টে গেছে ক্লাবের অভ্যন্তরীণ চিত্র। রিয়ালের আর্থিক অবস্থায় ভারসাম্য আনতে ভিনিসিউসকে নাকি তুরুপের তাস হিসেবে ব্যবহার করতে চান ক্লাবটির কর্তারা।
আরও পড়ুন: আক্রমণভাগে পরিবর্তন আসায় দলে ভারসাম্যের অভাব দেখছেন আনচেলত্তি
সূত্রের বরাত দিয়ে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম স্পোর্তের খবরে বলা হয়েছে, ভিনিসিউসকে ছেড়ে দিতে ক্লাব সভাপতি পেরেসকে চাপ দিয়ে আসছে তার উপদেষ্টা পরিষদ। এবার এ বিষয়ে সরব হয়েছেন তার ছেলে চিভোও।
রিয়াল মাদ্রিদে পেরেসের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং তার ব্যক্তিগত ব্যবসায়ের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার চিভোর দাবি, রিয়াল মাদ্রিদ যে আর্থিক টানাপোড়েনের মধ্যে আছে, ভিনিসিউসকে বিক্রি করে দিলে তার সমাধান হয়ে যাবে। এছাড়া ভিনি সরে গেলে তার জায়গায় কিলিয়ান এমবাপে খেললে দলের আক্রমণভাগের সমস্যাও মিটে যাবে।
সৌদি আরবের প্রস্তাব পেয়ে ভিনিসিউসের এজেন্ট সেসময় জানিয়েছিলেন, মাদ্রিদে সুখে থাকলেও এই ধরনের বিরাট অঙ্কের প্রস্তাব অবশ্যই সতর্কতার সঙ্গে বিবেচনা করা উচিৎ।
রিয়ালের সঙ্গে ভিসিসিউসের বর্তমান চুক্তির মেয়াদ রয়েছে ২০২৭ সালের জুন পর্যন্ত। ফলে নতুন চুক্তির ব্যাপারে ভিনির এজেন্টের সঙ্গে আলোচনার সময় এগিয়ে আসছে। এমন পরিস্থিতিতে ক্লাব কর্তাদের এহেন সিদ্ধান্তে রিয়ালে ভিনিসিউসের ভবিষ্যত যে খানিকটা অনিশ্চয়তায় পড়ে গেল, সে বিষয়ে সন্দেহ নেই।
তবে বিষয়টি আলোর মুখ দেখতে এখনও অনেক দেরি। আবার ক্যারিয়ারের তুঙ্গে থাকাকালে ইউরোপীয় ফুটবল ছেড়ে ভিনিসিউস সৌদি আরবে যাবেন কিনা, সেটিও দেখার বিষয়। তবে পিআইএফ যদি ভিনিসিউসকে পাওয়ার আশা না ছাড়ে, আর নতুন চুক্তিতে বেতন-বোনাস নিয়ে রিয়ালের সঙ্গে ভিনিসিউস যদি ঐক্যমত্যে না পৌঁছাতে পারেন, তাহলে তিনি রোনালদো-নেইমার-বেনজেমাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করলে তাতে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
২ দিন আগে
ভিনিসিউসের হ্যাটট্রিকে রিয়ালের দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন
ঘরের মাঠে পরপর দুই ম্যাচ হারের পর জয়ে ফিরতে শিষ্যদের যে তাগিদ দিয়েছিলেন কার্লো আনচেলত্তি, তার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়েই যেন দুর্বার ফুটবল খেলল রিয়াল মাদ্রিদের খেলোয়াড়রা। আর তাদের নৈপুণ্য ও ক্ষিপ্র ফুটবলে ভেসে গেল ওসাসুনা।
সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে শনিবার লা লিগায় ওসাসুনাকে ৪-০ গোলে হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।
এদিন চমৎকার এক হ্যাটট্রিকের দেখা পেয়েছেন ভিনিসিউস। আর মৌসুমের প্রথম গোল পেয়েছেন সমালোচনায় জর্জরিত জুড বেলিংহ্যাম।
আরও পড়ুন: সমাধান খুঁজে পেয়েছি, এখন মাঠে দেখানোর পালা: আনচেলত্তি
তবে বড় জয়ের দিন দুর্ভাবনা নিয়ে মাঠ ছেড়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। এই ম্যাচে চোট নিয়ে প্রথমার্ধেই মাঠ ছাড়তে হয় এদের মিলিতাও ও রদ্রিগোকে। এছাড়া হাঁটুর চোটে বিরতির পর আর মাঠে নামা হয়নি লুকাস ভাসকেসের।
১ সপ্তাহ আগে
বের্নাবেউতে এবার রিয়ালকে গুঁড়িয়ে দিল মিলান
গত সপ্তাহে এল ক্লাসিকোতে ঘরের মাঠে বার্সেলোনার কাছে ৪-০ গোলে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয়ে মাঠে নেমেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। কিন্তু চলতি মৌসুমে ধুঁকতে থাকা এসি মিলানকে তারা হারাতে তো পারলই না, বরং মিলানের কাছেই বিধ্বস্ত হলো কার্লো আনচেলত্তির দল।
মঙ্গলবার রাতে সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে এসি মিলানের কাছে ৩-১ গোলে হেরেছে রিয়াল মাদ্রিদ।
এর ফলে পাঁচ বছরের বেশি সময় পর ঘরের মাঠে টানা দুই ম্যাচ হারল লা লিগা ও ইউরোপ চ্যাম্পিয়নরা। সবশেষ ২০১৯ সালে এমনভাবে হারে মাদ্রিদ জায়ান্টরা। ২০১৮-১৯ মৌসুমে ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে বের্নাবেউতে টানা চার ম্যাচ হেরে ক্লাবের ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে টানা হারের রেকর্ডটি গড়ে।
১৭ ফেব্রুয়ারি লা লিগায় জিরোনার বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে হারের পর কোপা দেল রের ম্যাচে ২৭ ফ্রেব্রুয়ারি বার্সেলোনার কাছে ৩-০ গোলে হারের মুখ দেখে রিয়াল মাদ্রিদ। এরপর ২ মার্চ লা লিগায় আবারও বার্সার কাছে ১-০ গোলে হারের পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তাদের ৪-০ গোলে উড়িয়ে দেয় আয়াক্স। ফলে চরম বিপর্যয়ের পর সেবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় নিতে হয় ইউরোপের ইতিহাসের সফলতম ক্লাবটিকে।
আজকের ম্যাচের শুরুতেই দলকে এগিয়ে নেন মালিক থিয়া। এরপর ২৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ভিনিসিউস দলকে সমতায় ফেরানোর পর ৩৯তম মিনিটে মিলানকে আবারও এগিয়ে নিয়ে বিরতিতে যান আলভারো মোরাতা। বিরতির পর রিয়ালের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন তিজানি রেইন্ডার্স।
আরও পড়ুন: হেরে বার্সেলোনার রেকর্ড ভাঙার স্বপ্ন ধূলিসাৎ রিয়ালের
এদিন শুরু থেকেই ভয়ডরহীন ফুটবল খেলতে থাকে দুদল। এর ফলস্বরূপ শুরুতেই দারুণ সুযোগ পেয়ে যান এমবাপে, কিন্তু কোনাকুনি শট লক্ষ্যে রাখতে ব্যর্থ হন তিনি। দুই মিনিট পর ছয় গজ বক্সের বাইরে সতীর্থের বাড়ানো বল পেয়েও শট নিতে ব্যর্থ হন এই ফরাসি ফরোয়ার্ড।
এরপরই দুর্দান্ত এক গোলে বের্নাবেউয়ের সমর্থকদের স্তব্ধ করে দেন থিয়া। দ্বাদশ মিনিটে ক্রিশ্চিয়ান পুলিসিকের কর্নার থেকে পাঠানো ক্রসে মাথা লাগিয়ে বল জালে পাঠিয়ে দেন এই জার্মান ডিফেন্ডার।
২৩তম মিনিটে পেনাল্টি আদায় করে তা থেকে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান ভিনিসিউস।
জুড বেলিংহ্যামের বাড়ানো পাস ধরে এগিয়ে গিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন ভিনিসিউস, এরপর মিলানের ব্রাজিলীয় ফুলব্যাক এমেরসন রয়াল তাকে স্লাইড করে ফেলে দিলে সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। দারুণ একটি পানেনকা স্পট কিকে গোলরক্ষককে পরাস্ত করে সমতা টানেন ভিনি।
১ সপ্তাহ আগে
রদ্রির হাতেই উঠল ব্যালন দ’র
সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ম্যানচেস্টার সিটির স্প্যানিশ মিডফিল্ডার রদ্রিগো এর্নান্দেসের (রদ্রি) হাতেই উঠল এবারের ব্যালন দ’র। শুরু থেকে ফুটবলের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত এই পুরস্কারটি রিয়াল মাদ্রিদের ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ড ভিনিসিউসের হাতে উঠছে বলে জোর গুঞ্জন থাকলেও অবশেষে রদ্রিই জিতেছেন এটি।
সোমবার দিবাগত রাতে প্যারিসের থিয়েটার দু শাতলেতে জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে ব্যালন দ’র অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বিজয়ী ঘোষণার পর ক্রাচে ভর দিয়ে পুরস্কার নিতে মঞ্চে ওঠেন এসিএলের চোট পাওয়া রদ্রি। এরপর ব্যালন দ’রের ইতিহাসের ৫০তম খেলোয়াড় হিসেবে তার হাতে ‘ফুটবলের অস্কার’ খ্যাত এই পুরস্কার তুলে দেন লাইবেরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট, এসি মিলান কিংবদন্তি ও ১৯৯৫ ব্যালন দ’রজয়ী জর্জ উইয়াহ।
এর ফলে ৬৪ বছর পর ফুটবলের মর্যাদাপূর্ণ ব্যক্তিগত এ পুরস্কারটি জিতলেন স্পেনের কোনো পুরুষ ফুটবলার। সবশেষ ১৯৬০ সালে এটি জিতেছিলেন বার্সেলোনা ও ইন্টার মিলানের সাবেক মিডফিল্ডার লুইস সুয়ারেস। এতদিন স্পেনে জন্ম নেওয়া একমাত্র ব্যালন দ’র জয়ী ছিলেন তিনিই। এবার তার পাশে বসলেন আরেক মিডফিল্ডার।
আরও পড়ুন: ব্যালন দ’র: কে কোন পুরস্কার জিতলেন
পুরস্কার নেওয়ার পর অনভূতি জানাতে গিয়ে রদ্রি বলেন, ‘এটি শুধু আমার একার জয় নয়, গোটা স্প্যানিশ ফুটবলের বিজয়। যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও এতদিন (স্পেনের) যেসব খেলোয়াড় এই পুরস্কারটি থেকে বঞ্চিত ছিলেন- (আন্দ্রেস) ইনিয়েস্তা, শাভি (এর্নান্দেস), ইকের (ক্যাসিয়াস) ও বুসি (সের্হিও বুসকেটস), এই পুরস্কার আমাদের সবার।’
এ সময় বার্সেলোনার উদীয়মান ফুটবলার লামিন ইয়ামালের প্রতিভার প্রশংসা ঝরে রদ্রির কণ্ঠে।
তিনি বলেন, ‘লামিন খুব তাড়াতাড়িই এটি জিততে চলেছে। এতে আমার কোনো সংশয় নেই। কঠোর পরিশ্রম করতে থাক, (ব্যালন দ’র নিতে) একদিন তুমিও এখানে (মঞ্চে) দাঁড়াবে।’
২ সপ্তাহ আগে
এবার রিয়ালের মাঠেই বর্ণবিদ্বেষের শিকার বার্সার তিন খেলোয়াড়
প্রতিপক্ষের সমর্থকদের কাছ থেকে বর্ণবাদী স্লোগান শুনতে শুনতে জেরবার রিয়াল মাদ্রিদের ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ড ভিনিসিউস জুনিয়র। এ নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই তার; এমনকি রিয়ালের সমর্থকরাও ভিনিসিউসের পক্ষ নিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘৃণ্য এ আচরণের সমালোচনায় মুখর থাকেন। এবার সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে সেই রিয়াল সমর্থকদের কাছেই বর্ণবিদ্বেষের শিকার হয়েছেন বার্সেলোনার তিন খেলোয়াড়।
ঘটনাটি ঘটে শনিবার রাতে এল ক্লাসিকো চলাকালে। ৪-০ গোলে বার্সার কাছে বিধ্বস্ত হওয়ার ওই রাতে ম্যাচের ৭৭তম মিনিটে রাফিনিয়ার অ্যাসিস্টে তৃতীয় গোলটি করেন বার্সেলোনার ১৭ বছর বয়সী প্রতিভাবান উইঙ্গার লামিন ইয়ামাল।
এল ক্লাসিকোতে সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে গোলের রেকর্ড করে মাঠেই উদযাপন শুরু করেন তিনি। এ সময় গ্যালারি থেকে তার উদ্দেশে বর্ণবাদী স্লোগান দিতে শুরু করে রিয়ালের কিছু সমর্থক। এমনকি ম্যাচের শেষ দিকে যখন রাফিনিয়ার সঙ্গে কর্নার কিক নিতে যান লামিন, তখন উচ্ছৃঙ্খল সমর্থকরা আরও বেপরোয়া হয়ে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন।
ম্যাচের পর স্পেনের ক্রীড়াবিষয়ক সংবাদমাধ্যম রেলেভো জানায়, শুধু লামিন নন; আনসু ফাতি ও আলেহান্দ্রো বালদেও গ্যালারি থেকে বর্ণবিদ্বেষের শিকার হয়েছেন।
এ ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে গোটা স্প্যানিশ প্রশাসন। সমর্থকদের এমন আচরণে লজ্জা প্রকাশ করে এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।
এছাড়া এ ঘটনার পেছনের কারিগরদের চিহ্নিত করতে ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে ক্লাবটির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বর্ণবাদ পরিস্থিতির উন্নতি না হলে স্পেনে বিশ্বকাপ চান না ভিনিসিউস
এ ঘটনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে লা লিগা কর্তৃপক্ষও তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। স্পেনের বর্ণবাদবিরোধী সংস্থার কাছে অভিযোগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
লা লিগা তাদের বিবৃতিতে বলেছে, ‘বার্সেলোনার খেলোয়াড়দের উদ্দেশে ওঠা বর্ণবাদী স্লোগান নিয়ে স্পেনের জাতীয় পুলিশের হেট ক্রাইম ইউনিটে অভিযোগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে লা লিগা। পাশাপাশি স্টেট অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসের হেট ক্রাইমস অ্যান্ড ডিসক্রিমিনেশন ইউনিটের সমন্বয়কারী প্রসিকিউটরকেও এ বিষয়ে অবহিত করা হবে।’
‘লা লিগা সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে এবং স্টেডিয়ামের ভেতরে ও বাইরে যেকোনো ধরনের বর্ণবাদী আচরণ ও ঘৃণা দূর করতে নিজেদের অঙ্গীকারে অটল রয়েছে।’
২ সপ্তাহ আগে
হেরে বার্সেলোনার রেকর্ড ভাঙার স্বপ্ন ধূলিসাৎ রিয়ালের
সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে খেলা শুরুর পর থেকে প্রায় ৭৮ হাজার রিয়াল মাদ্রিদ সমর্থকের যে বিশাল গর্জনে বুক কেঁপে কেঁপে উঠছিল বার্সেলোনার তরুণ খেলোয়াড়দের, দ্বিতীয়ার্ধের কিছুক্ষণ পর থেকে সেই উল্লাস কোথায় যেন মিলিয়ে গেল, আর এক কোনায় থাকা মাত্র ৪০০ ব্লাউগ্রানা সমর্থকের চিৎকারে ছাপিয়ে গেল গোটা গ্যালারির স্তব্ধতা। বার্সেলোনাকে আরও একবার হারিয়ে, কিংবা অন্তত হার এড়িয়ে বার্সারই টানা জয়ের রেকর্ড ভাঙার যে স্বপ্ন নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন ভিনিসিউস-এমবাপ্পে-বেলিংহ্যামরা, ম্যাচ শেষ হওয়ার আগেই সেই স্বপ্ন ভেঙে খানখান হয়ে গেল।
সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে লা লিগায় মৌসুমের প্রথম এল ক্লাসিকোতে রিয়ালের মাঠেই বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে হান্সি ফ্লিকের ছোঁয়ায় বদলে যাওয়া বার্সেলোনা।
২০২২ সালের ২০ মার্চের পর ঘরের মাঠে এটিই রিয়ালের সবচেয়ে বড় হার। ওই ম্যাচটিও তারা হেরেছিল বার্সেলোনার কাছেই, একই ব্যবধানে।
এছাড়া সব মিলিয়ে টানা চার ম্যাচ জেতার পর এদিন বার্সার কাছে হারল রিয়াল মাদ্রিদ। ২০২৩ সালের ২৯ জুলাই সর্বশেষ রিয়ালকে ৩-০ গোলে হারিয়েছিল শাভি এরনান্দেসের শিষ্যরা।
আরও পড়ুন: সেভিয়াকে বিধ্বস্ত করে এল ক্লাসিকোর প্রস্তুতি সারল বার্সেলোনা
চলতি মৌসুমে ভালো শুরু না পেলেও নানাভাবে হার এড়িয়ে লা লিগায় টানা ৪২ ম্যাচ অপরাজিত ছিল রিয়াল মাদ্রিদ। সর্বশেষ ম্যাচে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে দুই গোলে পিছিয়ে পড়েও দুর্দান্তভাবে ঘরে দাঁড়িয়ে ৫-২ গোলে জিতে দারুণভাবে এল ক্লাসিকোর প্রস্তুতিও সারে কার্লো আনচেলত্তির দল। তবে ক্লাসিকোতে বড় হারে সব প্রস্তুতি ধূলায় মিশে গেছে দলটির। অন্যদিকে, রিয়ালকে হারিয়ে নিজেদের রেকর্ড অক্ষত রেখেছে বার্সেলোনা।
এই ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে এসে ভিনিসিউস-এমবাপের মতো ক্ষিপ্র গতির খেলোয়াড়দের আটকানোর কৌশল বাতলে দিয়েছিলেন বার্সা বস ফ্লিক। সেই কৌশল অবলম্বন করেই রিয়ালের বিষদাঁত বের করতে দেননি এই জার্মান।
ম্যাচে শুধু এমবাপেই ৮ বার বার্সার অফসাইডের ফাঁদে পড়েছেন। ফরাসি এই স্ট্রাইকারের নৈপুণ্যে ম্যাচের ৩০তম মিনিটে এগিয়েও গিয়েছিল রিয়াল, তবে অফসাইডে কাটা পড়ে তার গোলটি।
আরও পড়ুন: রিয়ালের অগ্নিঝরা ফুটবলে পুড়ে ছাই ডর্টমুন্ড
প্রথমার্ধে মাঠে তেমনভাবে প্রভাব বিস্তার করতে না পারলেও দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই নিজেদের জাত চেনাতে শুরু করে রিয়ালের খেলোয়াড়রা। তবে বলের দখল, গতি নিয়ন্ত্রণ, রক্ষণ, কাউন্টার প্রেসিং ও ফিনিশিংয়ে তাদের চেয়ে পরিষ্কারভাবে এগিয়ে ছিল বার্সেলোনার খেলোয়াড়রা; আর এর ফলও পেয়েছে তারা।
৩ সপ্তাহ আগে
রিয়াল-ডর্টমুন্ড: ধ্রুব লড়াইয়ে ম্যাচজুড়ে যা হলো
ম্যাচের আগে শিষ্যদের প্রতি দলগত ঐক্যের যে ডাক দিয়েছিলেন নুরি সাহিন, মাঠে তার প্রতিফলনের মাধ্যমেই প্রথমার্ধে দাপুটে ফুটবল উপহার দিয়ে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। তবে দ্বিতীয়ার্ধে কার্লো আনচেলত্তির মাস্টারমাইন্ডের কাছে মার খেয়ে যায় তার কৌশল। ফলে দুই গোলে এগিয়ে থেকেও শোচনীয় পরাজয় বরণ করে মাঠ ছাড়তে হয়েছে গতবারের রানার-আপদের।
সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে মঙ্গলবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচে খেলতে নামে গতবারের দুই ফাইনালিস্ট। প্রতিশোধের উদ্দেশ্যে মাঠে নেমে শুরুতে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেলেও ঘুরে দাঁড়িয়ে ডর্টমুন্ডকে ৫-২ গোলে হারিয়েছে রিয়াল।
এদিন দুই অর্ধে দুই দলের দাপট দেখে দর্শক। প্রথমার্ধে রিয়ালের মাঠে তাদের ওপরই ছড়ি ঘুরিয়ে এবং কার্যকর রক্ষণাত্মক ফুটবলে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় ডর্টমুন্ড। তবে দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের পর আক্রমণে এমন চাপ সৃষ্টি করে রিয়াল যে তা সইবার সামর্থ্য ছিল না ডর্টমুন্ডের রক্ষণভাগের। ফলে রিয়াল মাদ্রিদ একটি গোল পাওয়ার পরই বালির বাঁধের মতো ভেসে যায় দলটির রক্ষণ দেওয়াল।
আরও পড়ুন: রিয়ালের অগ্নিঝরা ফুটবলে পুড়ে ছাই ডর্টমুন্ড
প্রথমার্ধে যেখানে কেবল একটি শট গোলে রাখতে সক্ষম হয় রিয়াল মাদ্রিদ, দ্বিতীয়ার্ধে গিয়ে সেখানে আক্রমণই শানায় তারা ১৭টি, তার ৯টি শট ছিল লক্ষ্যে। অপরদিকে, প্রথমার্ধে নেওয়া ৬টি শটের পাঁচটিই লক্ষ্যে রাখলেও দ্বিতীয়ার্ধে ডর্টমুন্ড শটই নিতে পারে মাত্র দুটি; দুটিই অবশ্য লক্ষ্যে ছিল।
এদিন সাবধানি শুরুর পর ম্যাচের ৩০তম মিনিটে খেলা গড়াতেই ডর্টমুন্ডের অনবদ্য একটি দলীয় প্রচেষ্টা দেখে দর্শক। আর এতেই দারুণ একটি গোল পেয়ে ম্যাচে এগিয়ে যায় সফরকারীরা।
লম্বা লম্বা পাসে মাঠের এপাশ থেকে ওপাশে বল আদান-প্রদান করতে করতে রিয়ালের বক্সের সামনে উঠে আসে ডর্টমুন্ড। সেখান থেকে হঠাৎ বক্সের ভেতরে কিছুটা ডান দিকে বল ঠেলে দেন সেরিউ গিরাসি, তা ধরেই থিবো কোর্তোয়াকে পরাস্ত করেন ডনিয়েল মালেন।
এর পাঁচ মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ডর্টমুন্ডের জেমি গিটেন্স। এবার তাকে অ্যাসিস্ট করেন মালেন।
রিয়ালের একটি আক্রমণ প্রতিহত করে পাল্টা আক্রমণে উঠে ডান পাশ দিয়ে প্রতিপক্ষের বক্সে ঢুকে পড়েন মালেন। এরপর বিপরীত দিকে ক্রস বাড়ান তিনি। তা দেখে পেছন থেকে দ্রুত এগিয়ে গিয়ে পা প্রসারিত করে বল একপ্রকার ফাঁকা জালে বল জড়িয়ে দেন ২০ বছর বয়সী এই ইংলিশ উইঙ্গার। অবাক করার বিষয় হচ্ছে, রিয়ালের দুজন ডিফেন্ডারের মাঝখান দিয়ে তিনি ভেতরে ঢুকে পড়লেও তাকে মার্কই করেননি তাদের কেউ।
এর ফলে, রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সর্বকনিষ্ঠ ইংলিশ ফুটবলার বনে যান গিটেন্স। ২০ বছর ৭৫ দিন বয়সে তিনি এ রেকর্ড গড়েন। এর আগে এই রেকর্ডটি ছিল লিডস ইউনাইটেডের অ্যালান স্মিথের দখলে। ২০০১ সালে ২০ বছর ১২৯ দিন বয়সে রিয়াল মাদ্রিদের জালে বল জড়ান তিনি। শুধু তা-ই নয়, প্রথম ডাচ ফুটবলার হিসেবে সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে রিয়ালের বিপক্ষে একই ম্যাচে গোল ও অ্যাসিস্ট করার কীর্তি গড়েন মালেন।
৩ সপ্তাহ আগে
রিয়ালের অগ্নিঝরা ফুটবলে পুড়ে ছাই ডর্টমুন্ড
প্রথমার্ধে যেভাবে চকিতে দুই গোল করে ম্যাচে এগিয়ে গিয়েছিল বরুশিয়া ডর্টমুন্ড, দ্বিতীয়ার্ধে তেমনভাবেই চমকে দিয়ে দুই গোল করে সমতায় ফেরে রিয়াল মাদ্রিদ। আর এরপর লস ব্লাঙ্কোসদের আক্রমণের তোড়ে কোথায় যেন ভেসে গেল জার্মান ক্লাবটি।
সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে মঙ্গলবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচে খেলতে নামে গতবারের দুই ফাইনালিস্ট। প্রতিশোধের উদ্দেশ্যে মাঠে নেমে শুরুতে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেলেও ঘুরে দাঁড়িয়ে ডর্টমুন্ডকে ৫-২ গোলে হারিয়েছে রিয়াল।
এদিন ম্যাচের দুই অর্ধে আধিপত্য বিস্তার করে দুই দল। ম্যাচের ৩০ ও ৩৪ মিনিটে দুটি গোল করে ডর্টমুন্ডকে এগিয়ে নেন যথাক্রমে ডনিয়েল মালেন ও জেমি গিটেন্স।
এরপর দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই এমন আক্রমণ শুরু করে রিয়াল মাদ্রিদ যে তাদের আক্রমণের তোড়ে ডর্টমুন্ডের ভেসে যাওয়ার উপক্রম হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ৬০ ও ৬২তম মিনিটে যথাক্রমে আন্টনিও রুয়েডিগার ও ভিনিসিউস জুনিয়রের হঠাৎ দুটি গোলে প্রতিপক্ষের মতোই চকিতে সমতায় ফেরে রিয়াল।
তবে এরপর ম্যাচের রাশ টেনে ধরতে ব্যর্থ হয়ে ম্যাচ থেকেই কার্যত ছিটকে যায় সফরকারীরা। মাঝে ৮৩তম মিনিটে লুকাস ভাসকেসের গোলে প্রথমবার এগিয়ে যাওয়ার পর ৮৬তম ও যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে আরও দুটি গোল করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নিজের প্রথম হ্যাটট্রিক পূরণ করেন ভিনিসিউস।
আরও পড়ুন: রিয়ালকে হারাতে শুধু মনোবলই যথেষ্ট নয়: ডর্টমুন্ড কোচ
এই জয়ে তিন ম্যাচের দুটি জিতে টেবিলের নবম স্থানে উঠে এসেছে রিয়াল মাদ্রিদ। সেইসঙ্গে শীর্ষে থাকা ডর্টমুন্ডকে টেনে পঞ্চম স্থানে নামিয়ে এনেছে তারা। দুই দলের পয়েন্টই সমান (৬), তবে গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় টেবিলের উপরের দিকে রয়েছে ডর্টমুন্ড।
দিনের অপর ম্যাচে ৪০তম মিনিটে ১০ জনের দলে পরিণত হওয়া ক্লাব ব্রুজের বিপক্ষে ৩-১ গোলে জিতে প্রথম পয়েন্টের দেখা মিলেছে এসি মিলানের। এর আগে লিভারপুল ও লেভারকুজেনের কাছে হারে পাওলো ফনসেকার শিষ্যরা।
এছাড়া, রেডস্টার বেলগ্রেডকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে তিন ম্যাচে দুই জয় ও এক ড্রয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে মোনাকো। এ ছাড়াও শাখতার দোনেৎস্ককে বিপক্ষে ১-০ গোলে আর্সেনাল, স্লোভান ব্রাতিস্লাভার বিপক্ষে ২-০ গোলে জিরোনা, স্ট্রাম গ্রাসের বিপক্ষে ২-০ গোলে স্পোর্তিং ও ইতালির ক্লাব বোলোনিয়ার বিপক্ষে ২-০ গোলের জয় পেয়েছে অ্যাস্টন ভিলা।
আজকের ম্যাচ জিতে টানা তিন জয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষস্থান দখল করেছে উনাই এমেরির দল।
তবে হোঁচট খেয়েছে ইউভেন্তুস ও পিএসজি। শেষের দিকে দশজনের দলের পরিণত হওয়া ইউভেন্তুস স্টুটগার্টের কাছে হেরেছে ১-০ গোলে। যোগ করা সময়ে গোল হজম করে ঘরের মাঠ থেকে পয়েন্ট খুইয়েছে তারা। আর পিএসভি আইন্ডহোভেনের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ১-১ গোলে ড্র করেছে লুইস এনরিকের পিএসজি।
৩ সপ্তাহ আগে
জয়ে আনচেলত্তির ৩০০তম ম্যাচ রাঙাল রিয়াল মাদ্রিদ
কার্লো আনচেলত্তির কোচিং ক্যারিয়ারের ৩০০তম ম্যাচ ছিল এটি। তবে মাঠে নেমে দারুণ এক জয়ের মাধ্যমে তাকে গুরুদক্ষিণা দিয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের খেলোয়াড়রা।
লা লিগায় সপ্তম রাউন্ডের ম্যাচে মঙ্গলবার রাতে সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে দেপর্তিভো আলাভাসকে আতিথ্য দেয় রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যাচটি ৩-২ গোলের বড় ব্যবধানে জিতেছে আনচেলত্তির শিষ্যরা।
অবশ্য স্কোরলাইন দেখে মনে হতে পারে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করেছে দুদল। তবে পুরো ম্যাচজুড়েই আলাভেসকে কোণঠাসা করে রাখে স্বাগতিকরা। আর শেষ মুহূর্তে সান্ত্বনাসূচক দুটি গোল পেয়ে যায় আলাভেস।
দলের হয়ে প্রথম মিনিটেই প্রথম গোলটি করে রিয়াল মাদ্রিদকে এগিয়ে নেন রাইট ব্যাক লুকাস ভাসকেস। এরপর কিলিয়ান এমবাপ্পে ও রদ্রিগোর গোলে ব্যবধান বাড়ায় তারা। তারপর ম্যাচের শেষ সময়ে আলাভেসের গোলদুটি করেন কার্লোস বেনাভিদেস ও কিকে গার্সিয়া।
এই জয়ে লিগে টানা ৩৯ ম্যাচ অপরাজিত রইল মাদ্রিদ জায়ান্টরা। বার্সেলোনার ৪৩ ম্যাচের রেকর্ড ছোঁয়ার লক্ষ্যে আরও একধাপ এগোল ভিনিসিউস-এমবাপ্পেরা। শুধু তা-ই নয়, লিগে প্রথম ৬ ম্যাচ মিলিয়ে প্রথমার্ধে মাত্র একটি গোল করা রিয়াল মাদ্রিদ এই ম্যাচে গোল পেয়েছে দুটি।
আরও পড়ুন: নিজের ‘এক্সপায়ার ডেট’ দেখতে পাচ্ছেন না আনচেলত্তি
এদিন কার্যত গোল খেয়েই ম্যাচ শুরু করে আলাভেস। ম্যাচের ৫৪তম সেকেন্ডে বাঁ পাশ দিয়ে বক্সে ঢুকে গোললাইনের কাছ থেকে গোলমুখে থাকা লুকাস ভাসকেসকে পাস দেন ভিনিসিউস। বল পেয়ে প্রথম ছোঁয়াতেই গোল আদায় করে নেন ভাসকেস। ফলে অধিনায়ক হিসেবে মাঠে নামার প্রথম মিনিটেই সমর্থকদের আনন্দে ভাসান ৩৩ বছর বয়সী এই রাইট ব্যাক।
১ মাস আগে
বর্ণবাদ রুখতে স্পেনের ফুটবলে নতুন আইন
বর্ণবাদের অভিযোগ তুলে বিশ্বকাপ আয়োজন সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে সম্প্রতি গোটা স্পেনজুড়ে হৈ চৈ ফেলে দিয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ড ভিনিসিউস জুনিয়র। ওই মন্তব্যের কারণে তিনি ব্যাপক সমালোচিত হলেও বর্ণবাদ রুখতে এবার লা লিগা ও স্পেনের আন্তর্জাতিক ফুটবলে নতুন আইন চালু করছে দেশটি।
স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন (আরএফইএফ) ও লা লিগা বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) জানিয়েছে, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে রেফারিদের জন্য নতুন আইন চালু করা হবে। খেলা চলাকালে বর্ণবাদী আচরণের ঘটনা ঘটলে মাঠ থেকেই এ বিষয়ে সংকেত দিতে পারবেন রেফারি।
চলতি বছরের মে মাসে ব্যাংককে অনুষ্ঠিত ফিফার কংগ্রেসে বর্ণবাদবিরোধী ‘ক্রস-আর্ম’ অঙ্গভঙ্গির অনুমোদন পায়। এবার সেই আইনটি গ্রহণ করতে চলেছে স্পেন।
আইনে বলা হয়েছে, রেফারিরা সরাসরি কোনো বর্ণবাদী আচরণ প্রত্যক্ষ করলে কিংবা খেলোয়াড়রা এ নিয়ে অভিযোগ দিলে, এমনকি মাঠের নিরাপত্তাকর্মীরাও এ বিষয়ে অভিযোগ দিলে প্রধান রেফারি সংকেত দেবেন। তিন ধাপের সংকেত পদ্ধতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ম্যাচ থামাতে, স্থগিত করতে, এমনকি পরিত্যক্ত পর্যন্ত করতে পারবেন রেফারি।
আরও পড়ুন: বর্ণবাদ পরিস্থিতির উন্নতি না হলে স্পেনে বিশ্বকাপ চান না ভিনিসিউস
আরএফইএফ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘ফুটবলে যে কোনো ধরনের বৈষম্যের বিরুদ্ধে, বিশেষ করে বর্ণবাদী মনোভাব ও আচরণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে উভয় প্রতিষ্ঠান তাদের অঙ্গীকারে দৃঢ় থাকতে এই আইন বাস্তবায়ন করবে।’
গত কয়েক মৌসুম ধরে ভিনিসিউস জুনিয়র বেশ কয়েকবার বর্ণবাদী আচরণ ও মন্তব্যের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করে আসছেন। ২০২৩ সালের মে মাসে ভ্যালেন্সিয়ার মেস্তায়া স্টেডিয়ামে এই ফুটবলারের সঙ্গে বর্ণবাদী আচরণের দায়ে ঘরের মাঠের তিন সমর্থককে চলতি বছর কারাদণ্ডও দিয়েছে দেশটির আদালত।
এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৬ সালে অনুষ্ঠিত হতে চলা বিশ্বকাপের আয়োজন স্পেন থেকে সরিয়ে নিতে সম্প্রতি প্রস্তাব করেন ভিনিসিউস। তার মন্তব্যের পর স্পেনের রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ থেকে শুরু করে ফুটবল পাড়ার মানুষ- সবাই তার বিরুদ্ধে সরব হন। এমনকি তার ক্লাব সতীর্থদেরও তার মন্তব্যের সমালোচনা করতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন: ভিনিসিউসের মন্তব্যে ‘চটেছে’ রিয়াল মাদ্রিদ
ভিনির মন্তব্যের সমালোনা করলেও দেশ থেকে বর্ণবাদ নিশ্চিহ্ন করতে কাজ করছেন বলে মন্তব্য করেন মাদ্রিদের মেয়র। এর প্রায় এক সপ্তাহ পর দেশটির ফুটবল ফেডারেশন ও লা লিগা থেকে এই ঘোষণা এল।
২ মাস আগে