চট্টগ্রাম
চাঁদপুরে ভাইয়ের কোপে ছোট ভাইয়ের মৃত্যুর অভিযোগ
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ সুবিদপুরে সম্পত্তিগত বিরোধে বড় ভাই বিল্লাল হোসেনের দায়ের আঘাতে প্রবাসী ছোট ভাই জহির হোসেনের (৪৮) মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড সুবিদপুর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আমিনুল হকের বাড়িতে এই র্দুঘটনা ঘটে।
নিহত জহির হোসেন ও অভিযুক্ত বিল্লাল হোসেন মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে। নিহত সৌদি প্রবাসী জহির কিছুদিন আগে ছুটিতে দেশে আসেন।
আরও পড়ুন: ক্রসফায়ার ও গুম-খুনের অভিযোগ নিয়ে ট্রাইব্যুনালে বিএনপি
নিহতের প্রতিবেশেী আব্দুল হাই বলেন, ৪০ পয়েন্ট জায়গা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে দুই ভাইয়ের মধ্যে বিরোধ চলছে। আম গাছের চারা রোপনকে কেন্দ্র করে আজ দুই ভাইয়ের মধ্যে হাতাহাতি ও মারধরের ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে বড় ভাই বিল্লাল হোসেন ছোট ভাই জহির হোসেনকে দা দিয়ে দিয়ে আঘাত করলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আহমেদ তানভীর হাসান ইউএনবিকে বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বিষয়টি তদন্ত চলছে। অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
৩০৫ দিন আগে
ফেনীতে সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিকের ওপর হামলা
ফেনীতে সংবাদ প্রকাশ করায় ওমর ফারুক নামের এক সংবাদকর্মীর ওপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও বিক্রির সংবাদ প্রকাশের জেরে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
ফেনী সদর উপজেলার কালিদহ ইউনিয়নের গোবিন্দপুর সিলোনীয়া মাদ্রাসা-সংলগ্ন সালেহ আহমেদের দোকানের সামনে ফারুকের ওপর হামলা করেন কয়েকজন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। এছাড়া হামলাকারীরা ২৫ ফেব্রুয়ারি তার বাড়িতে গিয়ে পরিবারের লোকজনকে হুমকি দিয়ে আসেন বলেও অভিযোগ করেছেন ওমর ফারুক।
তিনি দৈনিক ইনকিলাবের ফেনী সংবাদদাতা।
খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে আহত সাংবাদিকের সঙ্গে দেখা করেন পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সামসুজ্জামান ও স্থানীয় সাংবাদিকরা।
ফেনী জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের হামলায় ওমর ফারুক ঘাড়, মাথা, বুক ও কোমরে আঘাত পেয়েছেন।’
ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘২৪ ঘণ্টার মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তার করা না হলে কঠোর কর্মসূচি পালন করা হবে।’
আরও পড়ুন: ‘জামায়াত নেতার নেতৃত্বে’ বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতার বাড়িতে হামলা
ফেনীর পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘এ হামলায় জড়িতদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। আসামিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।’
এ ঘটনায় রিপোর্টার্স ইউনিটি, ফেনী প্রেসক্লাব, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম ফেনী জেলা শাখা ও সাংবাদিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে আসামিদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়েছে। এছাড়া মামলার প্রস্তুতিও চলছে।
গত ৪ জানুয়ারি দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার ‘ফেনীতে হত্যা মামলার আসামি তাঁতী লীগ নেতার বিরুদ্ধে বালু লুটের অভিযোগ’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করে সাংবাদিক ওমর ফারুক। ওই সংবাদে উল্লেখ করা হয়—বালু লুটে তাকে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন জেলা যুবদল নেতা শিপন, ইউনিয়ন যুবদল নেতা জামাই ফারুক, ইউনিয়ন তাঁতী দলের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর, সদর উপজেলা শ্রমীক দল নেতা মামুন, সদর উপজেলা ছাত্র দলের সাবেক সেক্রেটারী রাফিকসহ অনেকেই। এর পরেই তার ওপর এই হামলার ঘটনা ঘটে।
৩০৫ দিন আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আলেম-ওলামাদের মহাসড়ক অবরোধ
হেফাজতে ইসলামের আলেম-ওলামা ও তৌহিদী জনতাদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের কাউতলী মোড় এলাকা অবরোধ করা হয়েছে।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে শুরু করে দুপুর ১টা পর্যন্ত আলেম ওলামা ও সর্বস্তরের তৌহিদী জনতার ব্যানারে এই অবরোধ কমসূচি পালন করা হয়।
আরও পড়ুন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে জাবি শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ
এ সময় বক্তরা বলেন, ২০১৬, ২০২০ ও ২০২১ সালে হেফাজতের আলেম-ওলামাসহ বিভিন্ন মানুষের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছিল। ইতোমধ্যে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের পর বিভিন্ন দলের নেতা-কর্মীরা মুক্তি পেলেও আলেম-ওলামাদের বিরুদ্ধে করা মামলাগুলো প্রত্যাহার করা হয়নি। যদি প্রশাসন থেকে মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত না দেওয়া হয়, তাহলে কঠোর আন্দোলনের যাওয়া হবে।
এ সময় ৩ ঘণ্টা অবরোধ চলাকালে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পরায় মহাসড়কের দুপাশে যানজট তৈরি হয়। যান চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় যাত্রীদের।
৩০৫ দিন আগে
চাঁদপুরে ফ্ল্যাট থেকে দম্পতির লাশ উদ্ধার
চাঁদপুরে একটি ফ্ল্যাট বাসা থেকে দম্পতির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) শহরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের পালপাড়ার শাহজাহান পাটোয়ারীর বাড়ি থেকে লাশদুটি উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন— ঢাকা যাত্রাবাড়ীর দনিয়া এলাকার জিন্নাত আলীর ছেলে মোহাম্মদ সবুজ ও তার স্ত্রী শিউলী বেগম। তারা শাহজাহান পাটোয়ারীর বাড়ির দ্বিতীয় তলায় ভাড়া থাকতেন।
শিউলী চাঁদপুর সদর উপজেলার মধ্য তরপুরচন্ডী এলাকার মৃধা বাড়ির আবু তাহেরের মেয়ে। তার পরিচালিত ইউনিভিশন নামের নিজস্ব একটি ওষুধ কোম্পানি রয়েছে।
ভবনের মালিক শাহজাহান পাটোয়ারী ইউএনবিকে বলেন, ‘সবুজ ও শিউলী প্রায় ৬ মাস ধরে আমার ভবনে ভাড়া থাকতেন। দুপুরে শিউলীর মা দরজা খোলা না পেয়ে আমাদের জানায়। পরে ৯৯৯ কল দিয়ে পুলিশকে অবগত করলে তারা এসে লাশগুলো উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।’
নিহত শিউলী আক্তারের মা খুরশিদা বলেন, ‘সবুজ আমার মেয়ের দ্বিতীয় স্বামী। সকাল থেকে শিউলীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করি, কিন্তু সে কল রিসিভ না করা তার বাসায় এসে দেখি ভেতর থেকে দরজা বন্ধ। পরে বাড়ির মালিক ও পুলিশের সহায়তায় তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।’
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত জামায়াত নেতার মৃত্যু
রাফসান ও রাফি নামে শিউলীর আগের ঘরের দুটি সন্তান রয়েছে বলে জানান তিনি।
ছেলে রাফসান ও রাফি বলেন, ‘আমরা মায়ের সঙ্গে থাকতাম না। শহরের চেয়ারম্যানঘাট এলাকার একটি ভাড়া বাসায় থাকি আমরা। মা সেই বাসার ভাড়ার টাকা দিত।’
চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাহার মিয়া বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের কারণে দম্পতি আত্মহত্যা করেছে। লাশদুটি ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।’
৩০৬ দিন আগে
১০ বছর ধরে নেই কোনো মুসলিম শিক্ষক, ইসলাম শিক্ষা পড়াচ্ছেন হিন্দু শিক্ষকরা
ফেনী সদর উপজেলার তুলাবাড়ীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘ ১০ বছর কোনো মুসলিম শিক্ষক না থাকায় বাধ্য হয়ে শিক্ষার্থীদের ইসলাম শিক্ষা পড়াচ্ছেন হিন্দু শিক্ষকরা। ফলে তাদের পক্ষে ইসলাম ধর্মের আরবি ভাষার সূরা, কালাম পড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। শুধুমাত্র বাংলা অর্থটুকুই পড়াচ্ছেন তারা। এতে করে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় বিঘ্ন ঘটছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ওই বিদ্যালয়ে ৯ জন শিক্ষক থাকলেও মুসলিম কোনো শিক্ষক নেই। ফলে সব বিষয়ের ক্লাস তারাই নিয়ে থাকেন।
বিদ্যালয় থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, ১৯৪৪ প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টিতে ৩২৭ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে মুসলমান শিক্ষার্থী রয়েছে ২৮ জন। এদের মধ্যে পাক-প্রাথমিকে ২ জন, প্রথম শ্রেণিতে ৩ জন, দ্বিতীয় শ্রেণিতে ৫ জন, তৃতীয় শ্রেণিতে ১০ জন, চতুর্থ শ্রেণিতে ৬ জন, পঞ্চম শ্রেণিতে ২ জন মুসলিম শিক্ষার্থী বর্তমানে পড়াশোনা করছে।
এদিকে, দীর্ঘ ১০ বছর ধরে একজনও মুসলিম শিক্ষক না থাকায় অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে বিরূপ প্রতিক্রিয়া। ইসলাম ধর্ম বিষয়ের জন্য মুসলিম শিক্ষক না থাকায় স্থানীয় মুসল্লিদের অনেকেই তাদের সন্তানদের বিদ্যালয়ে ভর্তিতে অনাগ্রহ প্রকাশ করেন। অনেকে আবার পার্শ্ববর্তী মাদ্রাসায় সন্তানদের ভর্তি করাচ্ছেন।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শ্রিপ্রা রানী পাল বলেন, ‘মুসলমান শিক্ষক না থাকায় হিন্দু শিক্ষক দিয়েই ক্লাস নিতে হচ্ছে। এতে করে শুধু শিক্ষার্থীরাই নয়, আমাদেরও যথেষ্ট সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।’
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুলতানা নাসরিন কান্তা বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা ছিল না। শিক্ষা অফিসে আলোচনা করে শুব শিগগিরই এই সমস্যার সমাধান করা হবে।’
আরও পড়ুন: কুয়েটের আবাসিক হল বন্ধ ঘোষণা
তবে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) আবদুল গনি বলেন, ‘নীতিমালায় হিন্দু ও মুসলমান আলাদা করে শিক্ষকদের পদায়ন করা না থাকায় বিষয়টি সুরাহা করা যাচ্ছে না। তবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বসে বিষয়টির সমাধান করার চেষ্টা করব।’
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (চলতি দায়িত্ব) ফিরোজ আহাম্মদ বলেন, ‘আমি নতুন এসেছি। সব উপজেলা থেকে শিক্ষকদের তালিকা চাওয়া হয়েছে। রমজানের পর এ বিষয়ে সমাধানের ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি ঢাকার কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব মহি উদ্দিন খন্দকার বলেন, ‘আমাদের দেশের সব মুসলমান মা-বাবারই ইচ্ছা থাকে, তার সন্তান পবিত্র কোরআন শিখবে ও পড়বে। কিন্তু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইসলাম শিক্ষা ও কোরআন শিক্ষার ভালো শিক্ষক না থাকায় অনেকে তাদের সন্তানকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিবর্তে মাদ্রাসায় পাঠান। ফলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি আশঙ্কাজনক ভাবে কমছে। তাই ছাত্র-ছাত্রী ধরে রাখার স্বার্থে এবং দেশের ভবিষ্যৎ নাগরিকদের জীবন-জীবিকার ও শিক্ষার পাশাপাশি ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত করে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষকের পদ সৃষ্টি করে নিয়োগ দেওয়া আবশ্যক।’
৩০৬ দিন আগে
সাজেকের রিসোর্টে আগুন, নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সেনাবাহিনী ও স্থানীয়রা
রাঙ্গামাটির পর্যটন কেন্দ্র সাজেকে ভয়াবহ আগুনে পুড়ে গেছে রিসোর্ট ও কটেজ এবং দোকান।
সোমবার দুপুর ১টার দিকে অবকাশ রিসোর্ট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে মুহূর্তেই আগুন আশপাশের রিসোর্টে ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয়রা জানান, সোমবার দুপুরে প্রথমে সাজেক অবকাশ রিসোর্টে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। পরে মুহূর্তে আগুন চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে এরই মধ্যে সাজেক অবকাশ রিসোর্ট, ইকো ভ্যালি রিসোর্ট, মেঘছুট রিসোর্ট, মনটানা রেস্টুরেন্ট, মারুয়াতি রেস্টুরেন্টসহ ১৫টি রিসোর্ট ও কটেজ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করে যাচ্ছে সেনাবাহিনীর বাঘাইহাট জোন এবং ২৭ ও ৫৪ বিজিবির সদস্যরা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখনো আগুণ নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
আরও পড়ুন: সাজেকে গোলাগুলি, আটকা পড়েছেন ৫ শতাধিক পর্যটক
সাজেকের হিলভিউ রিসোর্টের স্বত্বাধিকারী ইন্দ্রজিৎ চাকমা জানান, আগুন নেভাতে সেনাবাহিনী ও স্থানীয় লোকজন চেষ্টা চালাচ্ছেন। ইতোমধ্যে ১৫ থেকে ১৬টি রিসোর্ট পুড়ে গেছে। দীঘিনালা থেকে ফায়ার সার্ভিস সাজেকে পৌঁছাতে কমপক্ষে দুই ঘণ্টা লেগে যায়।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আকতার জানান, দুপুরের দিকে সাজেকের একটি রিসোর্ট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে জানা গেছে। তাৎক্ষণিকভাবে সেনাবাহিনী ও স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা চালায়। সাজেকে দমকল বাহিনীর কোনো ইউনিট না থাকায় খাগড়াছড়ির দীঘিনালা থেকে ফায়ার সার্ভিস রওনা হয়েছে।
বর্তমানে আগুন যাতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে তার জন্য কাজ করছে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও স্থানীয় লোকজন। তবে কিভাবে আগুণের সূত্রপাত হয়েছে, তা পরে জানা যাবে বলে জানান তিনি।
৩০৭ দিন আগে
কক্সবাজার বিমান ঘাঁটিতে অতর্কিত হামলা: আইএসপিআর
কক্সবাজার সমিতি পাড়ার কাছে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি ঘাঁটিতে দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়েছে। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন খবর দিয়েছে।
এতে বলা হয়, বিমান বাহিনী ঘাঁটি কক্সবাজার সংলগ্ন সমিতি পাড়ার কিছু দুর্বৃত্ত বিমান বাহিনী ঘাঁটি কক্সবাজারের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লা আদালতে বাদীর ওপর বিবাদীপক্ষের হামলা, আটক ২
৩০৮ দিন আগে
কুমিল্লা আদালতে বাদীর ওপর বিবাদীপক্ষের হামলা, আটক ২
কুমিল্লায় আদালতে মামলার বাদীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে বিবাদীপক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পুলিশ দুজনকে আটক করেছে।
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) কুমিল্লা আদালত প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে।
আহত সুমন মিয়া হোমনা উপজেলার শ্রীমদ্দি এলাকার বাসিন্দা। আর আটকরা হলেন— একই এলাকার মতিন মিয়া (৪৮) ও সাদ্দাম হোসেনকে (২৯)।
সুমনের বড় বোন ইয়াসমিন বলেন, ‘গত ১৫ জানুয়ারি জমি-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মারামারির ঘটনায় তাদের প্রতিবেশী মতিন মিয়া ও সাদ্দাম হোসেনের বাবা খালেক মিয়াসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন সুমন। এর জেরে ১৫ ফেব্রুয়ারি সুমনের বাবা দৌলত মিয়াকে পেটায় আসামিপক্ষ। এই ঘটনায় উভয় পক্ষ আবারও থানায় অভিযোগ দেয়। এসব মামলায় রবিবার আসামিরা আদালতে আইনি পরামর্শ চাইতে গেলে সুমন তাদের সামনে পড়েন। তখন আসামিরা তাকে বেধড়ক পেটান। এ সময় আদালতে উপস্থিত লোকজন সুমনকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। মতিন মিয়া ও সাদ্দাম হোসেনকেও আটক করে পুলিশে দেয় জনগণ।’
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার গাজী আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘সুমনকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে।’
কুমিল্লা কোতয়ালী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সালাহ উদ্দিন বলেন, ‘আদালতে জনগণের হাতে আটক মতিন ও সাদ্দামকে কোতয়ালি থানায় নেওয়া হয়েছে। আহত সুমনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’
৩০৮ দিন আগে
চট্টগ্রামে পঞ্চম বিয়ে করায় চতুর্থ স্ত্রীর হাতে স্বামী খুন!
চট্টগ্রামে পঞ্চম বিয়ে করায় স্বামীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে চতুর্থ স্ত্রীর বিরুদ্ধে। শনিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ২টার দিকে হালিশহরের বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ৬ নম্বর লেইনের জোড়া খাম্বার পাশে মর্জিনার মায়ের কলোনির দ্বিতীয় তলার ৬ নম্বর কক্ষে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত আলাউদ্দিন নোয়াখালীর সুধারাম থানার ধর্মপুর ইউনিয়নের পূর্ব শোলকিয়া গ্রামের বাসিন্দা এবং পেশায় শ্রমিক ছিলেন। বর্তমানে বসুন্ধরায় বসবাস করতেন।
হালিশহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, ‘ নিহত আলাউদ্দিন কিছুদিন আগে নুর জাহানকে চতুর্থ স্ত্রী হিসেবে বিয়ে করেন। তবে তাকে না জানিয়েই সম্প্রতি পঞ্চম বিয়ে করেন তিনি। যা নিয়ে আলাউদ্দিন ও চতুর্থ স্ত্রী নুর জাহানের মধ্যে দাম্পত্য কলহ সৃষ্টি হয়। এর একপর্যায়ে আলাউদ্দিন নুর জাহানকে তালাক দেওয়ার হুমকি দিলে এতে ক্ষুব্ধ হয়ে নুর জাহান পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেন। ঘটনার দিন রাতে ঝগড়ার পর আলাউদ্দিন ঘুমিয়ে পড়লে দিবাহত রাতে নুর জাহান ধারালো দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তাকে হত্যা করে।’
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ভাতিজার হাতে চাচা খুনের অভিযোগ
‘পরে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আলাউদ্দিনের লাশ উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দা উদ্ধারসহ নুর জাহানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
ওসি মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া চলছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
৩০৮ দিন আগে
৫ দফা দাবিতে চমেক হাসপাতালে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি
স্বাস্থ্যখাত সংস্কারসহ ৫ দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে ইন্টার্ন চিকিৎসক কাউন্সিলের আহ্বানে এ কর্মসূচি শুরু করেন তারা।
চমেক হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক জোবায়ের আহমদ বলেন, ‘সকাল থেকে ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা কর্মবিরতি পালন করছেন। অন্যান্য মেডিকেল কলেজের মতো এই আন্দোলন চলছে। দাবি আদায়ের জন্য কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হলো। আজ মানববন্ধন শেষে আমরা অধ্যক্ষ ও পরিচালক বরাবরে স্মারকলিপি দেব।’
আরও পড়ুন: শাটডাউনের তৃতীয় দিনে অচল শেবাচিম ক্যাম্পাস
এ দাবিতে রবিবার সকাল ৮টা থেকে হাসপাতালের সব ওয়ার্ডে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রয়েছেন তারা। এতে ব্যাহত হচ্ছে ভর্তি রোগীদের চিকিৎসা সেবা।
তবে আন্দোলনের আওতামুক্ত রয়েছে জরুরি বিভাগ, অপারেশন সেবা ও বর্হিবিভাগ।
স্বাস্থ্য খাতকে নাট্যমঞ্চের রঙ্গশালায় পরিণত করা হয়েছে উল্লেখ করে ইন্টার্ন চিকিৎসক কাউন্সিলের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ৯০তম বারের মতো হাইকোর্ট রায় পেছানোর মাধ্যমে স্বাস্থ্য খাতকে নাট্যমঞ্চের রঙ্গশালায় পরিণত করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
ইন্টার্ন চিকিৎসকদের এ কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা জানিয়েছে মেডিকেল কলেজের সব বর্ষের শিক্ষার্থীরা। বর্জন করেছেন ক্লাস ও পরীক্ষা।
আন্দোলনকারীরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে তারা এসব দাবি সরকারের কাছে জানিয়ে আসলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে যে কেউ চিকিৎসক পদবি ব্যবহার করে অপচিকিৎসা করছেন। এতে মূল চিকিৎসকরা হেনস্থার শিকার হচ্ছেন।
আরও পড়ুন: সোমবার রাত ৮টা পর্যন্ত চিকিৎসকদের শাটডাউন স্থগিত
একই সঙ্গে বিসিএসে বয়সসীমা ৩৪ বছর করাসহ চিকিৎসক সংকট কাটাতে জরুরি ভিত্তিতে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন তারা। দাবি মানা না হলে কর্মবিরতি চলমান রাখাসহ কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
৩০৯ দিন আগে