এ ঘটনায় অভিযুক্ত বাসচালক ফিরোজ ওরফে সোহেলকে (৩১) আটকের পাশাপাশি সেতু পরিবহন নামের ওই বাসটিও জব্দ করেছে পুলিশ। আটক সোহলের বাড়ি রাজবাড়ী জেলার পাংশা থানায়। সে ধামরাইর বড় জেঠাইল এলাকায় শ্বশুর বাড়িতে বসবাস করত।
এর আগে শনিবার ভোর রাতে ধামরাইর হিজলী খোলা এলাকার একটি নির্জন স্থান থেকে ওই নারী শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করে ধামরাই থানা পুলিশ।
নিহত নারী শ্রমিক মমতা বেগম (১৯) ধামরাইয়ের ডাউটিয়া এলাকার পথিক সিরামিক্স নামের একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন। স্বামীর সাথে ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়া ওই নারী ধামরাই কুশুরা ইউনিয়নের কাঁঠালিয়া এলাকার শাহাজান খানের মেয়ে।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার ভোর রাত সাড়ে ৪টার দিকে ধামরাই কাঁঠালিয়াপাড়া এলাকা থেকে ডাউটিয়া কর্মস্থলের উদ্দেশে শ্রমিকবাহী এক বাসে উঠেন মমতা। পরে বাসটি ডাউটিয়া না নিয়ে হিজলীখোলা এলাকায় নিয়ে চলন্ত বাসে তাকে ধর্ষণ করে বাসচালক ফিরোজ ওরফে সোহেল। পরে তাকে হত্যা করে লাশ কৌশলে একটি রাস্তার পাশে নির্জন স্থানে ফেলে যান তিনি।
রাতে ওই নারী শ্রমিক মমতা বাড়ি না ফিরলে তার মা জুলেখা বেগম ধামরাই থানায় একটি নিখোঁজের সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাতেই ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাস চালককে আটক করেন। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী শনিবার ভোর রাতে হিজলীখোলা এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ লাশের ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় স্থানীয় শ্রমিকদের মাঝে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। এর আগেও ধামরাইয়ে চলন্ত বাসে কয়েকজন নারী শ্রমিক ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন।
নিহত নারী শ্রমিকের ভাই আলমগীর হোসেন জানান, সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে তারা নিস্ব হয়ে পড়েছেন। তারা এক ভাই ও এক বোন ছিলেন।
ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা জানান, ধর্ষণে অভিযুক্ত আটক বাস চালক সোহেলকে আজ (শনিবার) দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।