ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর অভিবাসন নীতির বিরাট বিপরীতমুখী পরিবর্তন হতে যাচ্ছে বাইডেনের সিদ্ধান্তটি।
আরও পড়ুন: বাইডেনের অভিষেক: হামলার শঙ্কায় নজরদারিতে থাকবে ওয়াশিংটনে আগত সৈন্যরা
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনামলে চার বছর ধরে নিয়ন্ত্রণমূলক নীতি ও গণহারে দেশে পাঠিয়ে দেয়ার শিকার হওয়া ল্যাটিন ও অন্যান্য অভিবাসী সম্প্রদায়ের জন্য বাইডেন যে প্রধান নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তার প্রতি এক ধাপ এগিয়ে যাওয়া হবে নতুন বিলটি।
এর মাধ্যমে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কোনো ধরনের বৈধ মর্যাদা ছাড়াই যারা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন তা অন্যতম দ্রুততায় নাগরিকত্ব পাবেন। বাইডেন বুধবার শপথ নেয়ার পরই বিলটি আনা হবে বলে এর সাথে পরিচিত একজন নাম প্রকাশ না করে জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: কয়েক লাখ অভিবাসীকে নাগরিকত্বের মর্যাদা দিতে যাচ্ছেন বাইডেন
নির্বাচনী প্রচারণার সময় বাইডেন অভিবাসীদের বিষয়ে ট্রাম্পের পদক্ষেপকে আমেরিকান মূল্যবোধের প্রতি নির্মম আক্রমণ হিসেবে বর্ণনা করেন এবং বলেন, তিনি এ ক্ষতি পূরণের পাশাপাশি সীমান্ত রক্ষায় কাজ করে যাবেন।
নতুন আইনে যারা ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে বৈধ মর্যাদা ছাড়া বসবাস করছেন তারা যদি যাচাইয়ে উত্তীর্ণ হন, কর পরিশোধ এবং অন্যান্য প্রাথমিক প্রয়োজনীয়তা পূরণ করেন তাহলে সাময়িক বৈধতা বা গ্রিন কার্ডের জন্য পাঁচ বছর সময় পাবেন। সেখান থেকে নাগরিক হতে চাইলে এ জন্য সময় পাওয়া যাবে তিন বছর।
আরও পড়ুন: ক্যাপিটল হিলে সংঘর্ষের পর অভিশংসিত ট্রাম্প
কিছু অভিবাসীর জন্য প্রক্রিয়াটি হবে আরও দ্রুত। যারা শিশু হিসেবে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন তাদের পাশাপাশি কৃষি কর্মী ও সাময়িক সুরক্ষা মর্যাদার আওতায় থাকা ব্যক্তিরা যদি কাজে থাকেন, পড়াশোনা করেন বা অন্যান্য প্রয়োজনীয়তা পূরণ করেন তাহলে আরও অবিলম্বে গ্রিন কার্ড পাওয়ার যোগ্য হবেন।
বাইডেন যখন ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন সেই ওবামা প্রশাসনে অভিবাসন বিষয়টি ঢেলে সাজাতে সর্বশেষ যে বড় ধরনের প্রস্তাব এসেছিল তার তুলনায় নতুন বিলটি ব্যাপক নয়। যেমন এটিতে নতুন করে কর্মী নেয়া বা অন্যান্য ভিসা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়নি। তবে এতে মধ্য আমেরিকা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনের কিছু মূল কারণ সমাধান এবং জনশক্তির উন্নয়ন ও ইংরেজি ভাষা শিক্ষায় তহবিল রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পেন্সকে প্রতিনিধি পরিষদের অনুরোধ
অভিবাসন বিষয়ে ট্রাম্পের অন্যান্য পদক্ষেপও পাল্টে দিতে বাইডেন দ্রুত নির্বাহী উদ্যোগ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। যার মধ্যে রয়েছে কিছু মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার যে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে তার ইতি টানা।
নির্বাচনী প্রচারণার সময় বাইডেন বারবার বলে আসছিলেন যে অভিবাসনের বিষয়টি হবে তার প্রথম দিনের অগ্রাধিকার, যেখানে নিজের নির্বাহী ক্ষমতা দিয়ে পাল্টে দেবেন ট্রাম্পের নীতিগুলো।
আরও পড়ুন: আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে সশস্ত্র বিক্ষোভ সম্পর্কে সতর্ক করল এফবিআই