ওয়ার্ল্ডওমিটার্সের (https://www.worldometers.info/coronavirus/) তথ্যানুসারে, সারা বিশ্বে শনিবার পর্যন্ত এ রোগে বিশ্বব্যাপী ১ লাখ ৪৫ হাজার ৮১০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৭২ হাজার ৫৩১ জন (মোট আক্রান্তের ৯৪ শতাংশ) পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এছাড়া ৬৭ হাজার ৮৪৩ জন বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১৪৫টি দেশ ও অঞ্চলে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে।
প্রতিনিয়ত করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বাড়তে থাকায় এবং এ বিষয়ে সরকারি পদক্ষেপ অপর্যাপ্ত হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বিশ্বব্যাপী চলমান এ সংকটকে বুধবার মহামারি ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। তবে করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে বিভিন্ন দেশের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার ক্ষেত্রে এখনও খুব বেশি দেরি হয়ে যায়নি বলেও উল্লেখ করেছে সংস্থাটি।
এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প করোনাভাইরাসের ক্রমবর্ধমান প্রাদুর্ভাব মোকাবিলার জন্য দেশটিতে জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ‘কোভিড-১৯’ রোগে এ পর্যন্ত ১,৭০১ জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৪০ জন মারা গেছেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রিয়াসুস ইউরোপকে বর্তমানে বৈশ্বিক মহামারির করোনাভাইরাসের ‘কেন্দ্রস্থল’ বলেছেন। ইতালিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ‘কোভিড-১৯’ রোগে ২৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা একদিনে সর্বোচ্চ মৃতের সংখ্যা। এছাড়া নতুন করে ১,২৬৬ জনসহ সর্বমোট ১৭,৬৬০ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: করোনা দীর্ঘায়িত হলে দেশের মোবাইল উৎপাদনে সমস্যা হবে: বিএমপিআইএ