চীনসহ বিশ্বের ১২টিরও বেশি দেশে নতুন এই ভাইরাসটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার এক জরুরি বৈঠকের পর সংস্থাটির পক্ষ থেকে এই ঘোষণা আসে।
জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থা বৈশ্বিক জরুরি অবস্থাটিকে একটি ‘অস্বাভাবিক ঘটনা’ হিসেবে উল্লেখ করেছে। এটি এখন শুধু চীনের উদ্বেগের বিষয় নয়, বরং বিশ্বের অন্যান্য দেশের জন্যও উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং এর জন্য সমন্বিত আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার প্রয়োজন।
ডিসেম্বরের শেষের দিকে চীন প্রথমবারের মতো ডব্লিউএইচওকে নতুন ভাইরাসের বিষয়টি সম্পর্কে জানায়। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত চীনে ১৭০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে সাত হাজার ৮০০ জনের বেশি মানুষ। চীনের বাইরে ১৮টি দেশে এমন ভাইরাসের অস্তিত্বের খবর পাওয়া গেছে, যাদের বেশির ভাগই চীনের উহান রাজ্য থেকে আসা।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাস: চীনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৭০
ঠিক কীভাবে ভাইরাসটি ছড়াচ্ছে এবং এটি কতটা মারাত্মক, তা বোঝার জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীনের মানুষদের মধ্যে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার উল্লেখযোগ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে এবং আমেরিকা, ফ্রান্স, জাপান, জার্মানি, কানাডা, দক্ষিণ কোরিয়া এবং ভিয়েতনামসহ অন্যান্য দেশে মানবদেহের মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: চীনে আক্রান্তের সংখ্যায় সার্সকে ছাড়িয়ে গেল নতুন করোনাভাইরাস
জেনেভায় সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ডব্লিউএইচও’র প্রধান টেড্রস আধানম গ্যাব্রিয়েসুস চীনের বাইরের মানুষদের মধ্যে ভাইরাসটির উদ্বেগজনক প্রাদুর্ভাবের কথা উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক জরুরি অবস্থার ঘোষণা করার মূল কারণ চীনে যা ঘটছে তা নয়, বরং অন্যান্য দেশেও এটি ছড়িয়ে পড়ছে, এটি আশঙ্কাজনক। আমাদের সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে যেসব দেশের স্বাস্থ্যসেবা ততটা উন্নত নয়, সেসব দেশেও এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেসব দেশে এই ভাইরাস মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত নয়।’
‘বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা ঘোষণার ফলে সাধারণত আরও বেশি অর্থ ও সাহায্য পাওয়া যাবে। ভাইরাসে আক্রান্ত দেশসমূহে ভ্রমণ এবং বাণিজ্য সীমাবদ্ধ করতে বিভিন্ন দেশের সরকারকে অনুরোধ জানানো যেতে পারে,’ উল্লেখ করেন তিনি।