শনিবার ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন আয়োজিত ‘যদিও মানছি দূরত্ব, তবুও আছি সংযুক্ত’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
চট্টগ্রাম জেলার ডেপুটি কমিশনার ইলিয়াস হোসেন ওয়েবিনারে সভাপতিত্ব করেন।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু ঘিরে যথাযথ পরিকল্পনা গ্রহণের পরামর্শ অর্থনীতিবিদদের
হাছান মাহমুদ বলেন, 'শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আমাদের আওয়ামী লীগ সরকার যখন পদ্মা সেতুর কাজে হাত দেয়, তখন কোনো অর্থছাড়ের আগেই বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতি হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছিল। তখন বিশ্ব ব্যাংকের সাথে সুর মিলিয়ে বিএনপিসহ দেশের কিছু গবেষণা প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তিরা, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ বিভিন্ন সভা-সিম্পোজিয়ামে পদ্মা সেতু নিয়ে নানা অভিযোগ তুলেছিল। কিন্তু পরবর্তীতে কানাডার আদালতে বিশ্ব ব্যাংকের অভিযোগই মিথ্যা প্রমাণিত হয়।’
আরও পড়ুন:মুক্তিযোদ্ধাদের কাফের বলা ব্যক্তিদের পরবর্তী প্রজন্মই ভাস্কর্যবিরোধী: তথ্যমন্ত্রী
'বিশ্বব্যাংক পরবর্তীতে প্রকল্পে অর্থায়ন করতে চাইলেও প্রধানমন্ত্রী সে প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন এবং সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু তৈরির সিদ্ধান্ত নেন। তখনও বিএনপিসহ এসব ব্যক্তি-সংস্থার মুখ বন্ধ ছিল না, তারা সব সময়ই এ প্রকল্প নিয়ে নেতিবাচক বক্তব্য অব্যাহত রেখেছেন। কিন্তু গত ১০ ডিসেম্বর পদ্মার দুইপাড় সংযুক্ত হওয়ার পর তাদের আর কোন বক্তব্য শোনা যাচ্ছে না। তাই জনগণের এখন প্রশ্ন বিএনপিসহ এসব ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান কি লজ্জায় মুখ লুকিয়েছেন নাকি আশাহত হয়েছেন?' বলেন ড. হাছান।
শেখ হাসিনা আছেন বলেই স্বপ্নের পদ্মা সেতু আজ দৃশ্যমান: মন্ত্রী
দেশের বা সরকারের কোনো কাজে ভুলে পেলে বিদেশিরা যে সুরে কথা বলেন বিএনপিসহ এসব সংস্থা-ব্যক্তি তার চেয়েও দশগুণ সুরে আওয়াজ তোলেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, 'দেশের এমন সাফল্যে যেখানে সবাই শেখ হাসিনা ও তার দলকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন সেখানে তাদের এমন নীরবতাই আসলে প্রমাণ করে তারা আসলে আশাহত হয়েছেন।'
তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'বিএনপি চেয়ারপার্সন জনগণের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, আওয়ামী লীগ এ সেতু করতে পারবে না। আর করতে পারলেও কেউ এ সেতু দিয়ে যাবে না। তাই এখন জনগণের প্রশ্ন- বিএনপির নেতারা কি এখন সেতুর ওপর দিয়ে যাবেন না নিচ দিয়ে যাবেন।’
আরও পড়ুন: স্বপ্নের পদ্মা সেতু এখন পুরোপুরি দৃশ্যমান
‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বিষয়ে আলোকপাত করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্বে বর্তমানে আইসিটি নির্ভর চতুর্থ শিল্প বিপ্লব চলছে। বাংলাদেশ আগের তিনটি শিল্প বিপ্লবে পিছিয়ে থাকলেও বর্তমানের চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সাথে সাথেই পথ চলছে। ভারত যেখানে ২০১৬ সালে 'ডিজিটাল ভারত' কিংবা যুক্তরাজ্য যেখানে ২০১৮ সালে 'ডিজিটাল ইউকে' ঘোষণা দিয়েছিল, সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালেই ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে তার সুদক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশকে সত্যিই ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তর করেছেন।
ড. হাছান বলেন, দেশে এখন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ১১ কোটি, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ১০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, যা আগামী বছর দ্বিগুণ করা সরকারে লক্ষ্য। এ খাতে ২০০৮ সালের ২৬ মিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় এখন এক হাজার মিলিয়ন বা ১ বিলিয়ন।
আরও পড়ুন:বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে আঘাতকারীদের শাস্তি পেতেই হবে: তথ্যমন্ত্রী