সকাল ৯টা এবং বেলা ১১টার দিকে সারদা থানাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ককটেল বিস্ফোরণের এই ঘটনাগুলো ঘটে।
ভোট কেন্দ্রে হাত বোমা বিস্ফোরণের পরে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী জাকিরুল ইসলাম বিকুল ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। দুপুর দেড়টায় পৌর এলাকার মিয়পুর মহল্লায় নিজের বাড়িতে তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন: পৌরসভা নির্বাচন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মেয়র পদে লড়বেন ৬ জন
পৌরসভার বর্তমান মেয়র বিকুল বলেন, ‘ভোটকেন্দ্র দখলে নিতে আমার সামনেই হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। কোনো কেন্দ্রে ধানের শীষের এজেন্ট থাকতে দেয়া হয়নি। প্রশাসন নিরপেক্ষ নির্বাচনের আশ্বাস দিলেও শেষ পর্যন্ত তা হচ্ছে না। বার বার অভিযোগ করেও কোনো সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। প্রশাসন সহযোগিতা না করার কারণে আমি মনে করি, ভোটে আমার থাকা উচিত নয়।’
আরও পড়ুন:ভোলা পৌরসভা নির্বাচন: দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে নারীসহ আহত ২০
তবে ককটেল বিস্ফোরণের হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। ঘটনার সময় আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী একরামুল হক এবং বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী জাকিরুল ইসলাম বিকুল ওই ভোটকেন্দ্রেই ছিলেন।
ওই মুহূর্তে দুই মেয়র প্রার্থী টেলিভিশন সাংবাদিকদের ইন্টারভিউ দিচ্ছিলেন। তখনই সামান্য দূরে ভোটারদের সারির পেছনে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
আরও পড়ুন:পৌরসভা নির্বাচনে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ বিএনপির
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুটি ককটেলের একটি বিস্ফোরিত হয় এবং অন্যটি অবিস্ফোরিত অবস্থায় পড়ে থাকে। পরে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা অবিস্ফোরিত ককটেলটি উদ্ধার করে। এরপর সেটি নিষ্ক্রিয় করা হয়। এর আগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকেও ওই ভোটকেন্দ্রের বাইরে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
এদিকে, ভোটকেন্দ্রে ককটেল বিস্ফোরণের এই ঘটনার জন্য দুই প্রার্থী একে-অন্যকে দুষছেন।
জাকিরুল ইসলাম বিকুল বলেন, ‘নৌকার প্রার্থীর সমর্থকেরা ভোটকেন্দ্র দখলে নিতে চায়। এ কারণে ভোটারদের আতঙ্কিত করে ভোটকেন্দ্র ফাঁকা করতে তারা ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।’
আরও পড়ুন:পৌরসভা নির্বাচন: বোয়ালমারীতে মেয়র পদে চারজনের মনোনয়নপত্র দাখিল
সরকার দলীয় প্রার্থী একরামুল হক বলেন, এটা বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের ক্যাডারদের কাজ। তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সাংবাদিকদের সামনেই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।
রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. রবিউল আলম বলেন, ‘কারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন তা বলতে পারব না। তবে এ ধরনের একটা ঘটনা ঘটেছে।’
পৌরসভা নির্বাচনের পঞ্চম ধাপে রাজশাহীর দুটি পৌরসভায় ভোটগ্রহণ চলছে। চারঘাট ছাড়া অন্যটি হলো জেলার দুর্গাপুর পৌরসভা।
আরও পড়ুন: চসিক নির্বাচন: বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী আটক