নিহত লিপি আক্তার (৩৫) ওই গ্রামের আজিজুল ইসলামের স্ত্রী। আর রাসেল একই এলাকার আলাল উদ্দিনের ছেলে ও নিহত লিপির স্বামীর চাচাতো ভাই।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, লিপির স্বামী আজিজুল বিজিবিতে পঞ্চগড়ে কর্মরত। আলিফ নামের তাদের ১২ বছরের এক ছেলে আছে। লিপি তার ছেলেকে নিয়ে বাড়িতেই থাকেন। ঘটনার দিন রাতে লিপি তার ছেলেকে নিয়ে নিজ ঘরের এক পাশে ও লিপির দেবর সিরাজুল ইসলাম তার স্ত্রীকে নিয়ে একই ঘরের অন্য পাশে ঘুমাচ্ছিলেন। রাত ৩টার দিকে হঠাৎ ঘরে ঘুঙ্গানির শব্দ শুনে পরিবারের অন্য সদস্যরা জেগে দেখেন ঘরের মেঝেতে লিপি ও রাসেল গলা কাটা অবস্থায় পড়ে আছে। তাদের চিৎকারে বাড়ির লোকজন এসে আহত দুজনকে উদ্ধার করে পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক লিপিকে মৃত ঘোষণা করেন ও রাসেলকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।
লিপির শ্বশুর জালাল উদ্দিন জানান, তার ছেলে আজিজুল বিজিবিতে যোগদানের পর উপজেলার জারিয়া গ্রামে বিয়ে করেন। তাদের দাম্পত্য জীবন ভালো চললেও গত ৩-৪ বছর ধরে লিপির সাথে রাসেলের পরকিয়ার সম্পর্কের কথা শোনা যাচ্ছিল। এক সপ্তাহ আগে তার ছেলে আজিজুল ছুটিতে বাড়িতে এসে এ নিয়ে পারিবারিকভাবে দেনদরবার করে কর্মস্থলে ফিরে যান। কি কারণে ও কীভাবে ঘটনাটি ঘটেছে তা তিনি বুঝে উঠতে পারছেন না।
খবর পেয়ে নেত্রকোণা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো.ফখরুজ্জামান জুয়েল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মোরশেদা খাতুন, পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তাওহীদুর রহমান, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রফিকুল ইসলাম ও ময়মনসিংহ থেকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ক্রাইম সিন ইউনিটের একটি দল ঘটনাস্থ পরিদর্শন করেন।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোরশেদা খাতুন বলেন, ঘটনাস্থল থেকে একটি রক্তমাখা ছুরি (কাগজ কাটার এন্টিকাটার) উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও ঘটনার প্রকৃত কারণ বলা যাচ্ছে না। তদন্ত চলছে।