নিহত রাজু সাহা (২৪) ঢাকায় ব্যবসা করতেন। তবে নতুন ভবন নির্মাণকাজ দেখাশোনার জন্য বর্তমানে তিনি বাড়িতেই থাকতেন।
পরিবারের দাবি, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গোয়ালন্দে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
সোমবার ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহত রাজুর মা অরুনা সাহা বলেন, ‘আমাদের বাড়িতে নতুন ভবন নির্মাণের কাজ চলছিল। শনিবার রাতে রাজুকে ফোন করে ডেকে নিয়ে যায় ভবন নির্মাণ কাজের মিস্ত্রি জসিম। জসিম রাজুকে ফোন করে বলে যে নির্মাণাধীন ভবনে তিনি একা থাকবে এ কারণে রাজুকে রাতে ডেকে নিয়ে যায় জসিম। রবিবার সকালে রাজুকে ডাকতে গেলে মিস্ত্রিরা বলে রাজু সকালে বের হয়ে গেছে।’
আরও পড়ুন: অপহরণের ৭ দিন পর সাভারে পোশাক শ্রমিকের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার
‘সকাল পেরিয়ে দুপুর হয়ে গেলেও রাজুর ফোন বন্ধ থাকায় তাকে খুঁজতে থাকি আমরা। এদিকে সকাল থেকেই বিভিন্ন মিস্ত্রি সমস্যা দেখিয়ে ছুটি নিয়ে চলে যায়। এক পর্যায়ে দুপুরে নতুন নির্মাণাধীন ভবনে রক্ত দেখে সন্দেহ হয়। পরে ভবনের পাশে মিস্ত্রিদের জন্য নির্মিত টয়লেটের মধ্যে ইটের খোয়া দিয়ে চাপা অবস্থায় রাজুর লাশ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে,’ বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: আশুলিয়ায় জঙ্গল থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
রাজুর বড় ভাই সুমন সাহা বলেন, ‘আমি ঢাকাতে থাকি। সকালে ঢাকা থেকে অনেকবার রাজুকে ফোন দেই। কিন্তু রাজুর মোবাইল ফোন বন্ধ পাই। পরে অন্য মিস্ত্রিদের মোবাইলে যোগাযোগ করলে একেকজন একেক কথা বলে। ওদের কথায় সন্দেহ হলে বাড়ির লোকজন ও পাশের লোকজনকে মোবাইলে বিষয়টি জানালে তারা রাজুকে খোঁজ করতে থাকে এবং মিস্ত্রিদের টয়লেট থেকে রাজুর লাশ উদ্ধার হয়।’
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দরের পিওনের লাশ উদ্ধার
তিনি জানান, কয়েক দিন আগে মিস্ত্রিদের সাথে রাজুর মতানৈক্য হয়। স্থপতি বাড়ির যে নকশা দিয়েছে মিস্ত্রিরা সে মতো কাজ করছিল না। এসব বিষয় নিয়ে রাজুর সাথে রাজমিস্ত্রি জসিমসহ অন্যদের ঝামেলা হয়। এ ঝামেলার কারণেই রাজমিস্ত্রিরা রাজুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে পুকুর থেকে নারীর লাশ উদ্ধার
মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে সন্ধ্যায় রাজুর লাশ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।