জেলার ১৭ৎটি উপজেলায় মাস্ক ব্যবহার না করা ব্যক্তিদের কাছ থেকে ১৩ লাখ ১০ হাজার ৫৫০ টাকা জরিমানা আদায় করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় মাস্ক না পরায় জরিমানা
শনিবার কুমিল্লার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনা সংক্রমণের পর থেকে জেলায় এই পর্যন্ত বিনা মূল্যে ৯ লাখ ৬৫ হাজার পিস মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে।
এব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সায়িদ জানান, জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা মতো করোনা প্রতিরোধে এমন কার্যক্রম চলমান থাকবে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ১০ লাখ মাস্ক উৎপাদন করল রোহিঙ্গা ও স্থানীয়রা
বিবিসির বাংলার এক প্রতিবেদণে বলা হয়, বিশ্বের বহু দেশেই সংক্রমণ ঠেকানোর একটি জনপ্রিয় ব্যবস্থা হচ্ছে মাস্ক ব্যবহার। বিশেষ করে চীনে, যেখান থেকে শুরু হয়েছে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা, সেখানেও মানুষ বায়ুর দূষণের হাত থেকে বাঁচতে হরহামেশা নাক আর মুখ ঢাকা মুখোশ পরে ঘুরে বেড়ায়।
অবশ্য বায়ুবাহিত ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে এই মাস্ক কতটা কার্যকর সে ব্যাপারে যথেষ্টই সংশয়ে আছেন ভাইরাস বিশেষজ্ঞরা, যাদেরকে বলা হয় ভাইরোলজিস্ট।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে মাস্ক না পরায় ২৫ জনকে জরিমানা
তবে হাত থেকে মুখে সংক্রমণ ঠেকাতে এই মাস্ক ব্যবহার করে সুফল পাওয়ার কিছু নজির আছে।
আঠারো শতকে প্রথম সার্জিক্যাল মাস্কের চল শুরু হয়। কিন্তু ১৯১৯ সালে স্প্যানিশ ফ্লু মহামারির আগ পর্যন্ত এই মাস্ক আমজনতার হাতে এসে পৌঁছায়নি।
ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনে সেন্ট জর্জেসের ড. ডেভিড ক্যারিংটন বলেন, ‘সাধারণ সার্জিক্যাল মাস্ক বায়ুবাহিত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে যথেষ্ট নয়।’
আরও পড়ুন: মাস্ক পরা নিয়ে শক্তিশালী প্রচারণার পরামর্শ মাঠ প্রশাসনের
‘বেশিরভাগ ভাইরাসই’ বায়ুবাহিত, তিনি বলেন, এবং এই মাস্কগুলো এতই ঢিলেঢালা থাকে যে এটা বায়ুকে ফিল্টার করতে পারেনা ঠিকঠাক। তাছাড়া যিনি এই মাস্ক ব্যবহার করছেন, তার চক্ষু থাকছে উন্মুক্ত।
তবে হাঁচি বা কাশি থেকে ভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি কিছুটা কমাতে সাহায্য করতে পারে এই মাস্ক। আর হাত থেকে মুখের সংক্রমণের বিরুদ্ধেও কিছু সুরক্ষা এটা দেয়।
২০১৬ সালে নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি সমীক্ষায় বলা হয়, মানুষ প্রতি ঘণ্টায় গড়ে ২৩ বার হাত দিয়ে মুখ স্পর্শ করে।