বুধবার দুপুরে মানিকগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আলী হোসাইন এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি একরামুল হক রবিন মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া উপজেলার গোলড়া এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে।
আরও পড়ুন: যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের অভিযোগ, হাসপাতালে ভর্তি গৃহবধূ
রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি একেএম নুরুল হুদা রুবেল জানান, ২০০৭ সালে চাঁদপুরের মতলব উপজেলায় আশ্বিনপুর গ্রামে মনিরুল ইসলামের মেয়ে মিতুর পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর মিতুর পরিবারের কাছে যৌতুক দাবি করে একরামুল হক। ওই সময় এক লাখ ১০ হাজার টাকা রবিনকে দেন মিতুর পরিবারের লোকজন। পুনরায় মিতুর পরিবারের নিকট সাড়ে চার লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে রবিন। যৌতুকের টাকা না পেয়ে ২০০৮ সালের ১৭ জুলাই রাতে মিতুকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে হত্যা করে পালিয়ে যায় রবিন।
আরও পড়ুন: যৌতুকের জন্য নির্যাতন, বিবাহ বার্ষিকীতেই মৃত্যু গৃহবধূর
ঘটনার পরের দিন ১৮ জুলাই সাটুরিয়া থানায় মিতুর মামা ইকবাল হোসেন বাদি হয়ে মিতুর স্বামী একরামুল হক ও শ্বশুর রফিকুল ইসলামকে আসামমি করে মামলা করেন। ২০০৯ সালে তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে আসামি একরামুল হক রবিন ও তার বাবা রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আরও পড়ুন: যৌতুক না দেয়ায় স্ত্রীর শরীরে গরম খুন্তির ছ্যাঁকা!
এরপর মোট ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আসামি একরামুল হক রবিনের বিরুদ্ধে মুত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন এবং রবিনের বাবা রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালতের বিচারক তাকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন।
আরও পড়ুন: যৌতুকের দাবি: মাগুরায় স্বামীর লাঠির আঘাতে স্ত্রীর মৃত্যু
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি এ্যাড. একেএম নুরুল হুদা রুবেল এবং আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন এ্যাড. নিরঞ্জন বসাক এবং এ্যাড. মো. শফিকুল ইসলাম।