এর আগে শুক্রবার অভিযানের এক পর্যায়ে বেলা ১১টার দিকে চার ব্যক্তি র্যাবের কাছে আত্মসর্মপণ করেন।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ‘জঙ্গি আস্তানায়’ অভিযান, আটক ৪
তারা হলেন-জেএমবির পাবনা-সিরাজগঞ্জ আঞ্চলের প্রধান পাবনার সাঁথিয়ার কিরণ (২২), একই এলাকার নাঈমুল ইসলাম (২১), দিনাজপুর সদরের আতিয়ার রহমান (২২) ও সাতক্ষীরার তালা উপজেলার আমিনুল ইসলাম শান্ত (২৫)।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ সাংবাদিকদের জানান, তারা চলতি মাসের ৫ তারিখে ছাত্র পরিচয়ে ওই বাড়িটি ভাড়া নিয়ে জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার রাতে রাজশাহীর শাহ মখদুম এলাকায় এক জঙ্গিবিরোধী অভিযানে তিন জঙ্গি সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে র্যাবের অতিরিক্তি মহাপরিচালকের (অপারেশন) নেতৃত্বে ওইদিন গভীর রাতে র্যাবের একটি চৌকসদল ওই মহল্লার উপসহকারী প্রকৌশলী (ফ্যাসিলিটিজ) শামসুল হক রাজার বাড়ি ঘিরে রাখে। ওই অস্তানায় অবস্থানরত জঙ্গিরা র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে শুক্রবার ভোরে ৪-৫ রাউন্ড পিস্তলের গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে র্যাব সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালায়।
র্যাবের পক্ষ থেকে হ্যান্ড মাইকে জঙ্গিদের আত্মসমর্পণ করতে বলা হয় এবং বেলা ১১টার দিকে চার ব্যক্তি র্যাবের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। এ সময় দুটি পিস্তল, বোমা তৈরির সরঞ্জাম ও জিহাদি বইসহ প্রশিক্ষণের বিভিন্ন সামগ্রী উদ্ধার করা হয়।
অভিযানে শাহজহাদপুর থানা পুলিশও সহযোগিতা করেছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সংশ্লিষ্ট থানায় সোপর্দ করা হবে।
এ ব্যাপারে তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন আইন, অস্ত্র আইন, বিস্ফোরক দ্রব্য আইন ও সরকারি কাজে বাধা দানের পৃথক চারটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এদিকে, র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এ সময় র্যাব হেড কোয়ার্টারের ইনটেলিজেন্ট শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. খায়রুল ইসলাম পিএসসি ও র্যাব-১২ এর অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।